মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসবেন না কেজরিওয়াল
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৪৫:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৩২ বার পড়া হয়েছে
এবার দিল্লির রাজনীতিতে নাটকীয় মোড়। আবগারি দুর্নীতি মামলায় জেলমুক্তির পর মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লির জনসভা থেকে তিনি ঘোষণা দিলেন, দু’দিন পরেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়ব। জনতার রায়ে জিতে আসার আগে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসব না।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) জেলমুক্তির পর প্রথম জনসভায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, যতোদিন না মানুষ আবার আমাকে নির্বাচিত করে আনছে ততোদিন মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে আর বসব না। আমি প্রত্যেকটা মানুষের বাড়িতে যাব। রাস্তায় যাব। কিন্তু মানুষের রায় না পাওয়া পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসব না।
কেজরির দাবি, আপকে ভেঙে দেয়ার উদ্দেশ্যেই তাকে জেলে পাঠিয়েছিলো বিজেপি। সভা থেকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ওরা ভেবেছিল জেলে পাঠিয়ে আমাদের দল ভেঙে দেবে। কিন্তু সেটা তা পারেনি। আমি সংবিধান বাঁচাতে চেয়েছিলাম, সেজন্যই জেল থেকে ইস্তফা দেইনি। সুপ্রিম কোর্টই প্রমাণ করে দিয়েছে জেল থেকেই সরকার চালানো যায়।
চলতি বছরের মার্চ মাসে আবগারি দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন কেজরিওয়াল। এরপর ছয় মাস জেল থেকেই সরকার চালিয়েছেন। তিনি যখন জেলে ছিলেন, তখন বারবার তার ইস্তফা চেয়েছে বিজেপি।
গেরুয়া শিবির দাবি করেছে, দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া কেজরিওয়াল মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন। বিজেপির সেই প্রবল চাপেও ইস্তফা দেননি আপ সুপ্রিমো। বরং অতিশি-সহ কয়েকজন মন্ত্রীকে দিয়ে জেলে বসেই সরকার চালিয়েছেন।
সেই আবগারি দুর্নীতি মামলায় অবশেষে জামিন পান তিনি। তার গ্রেপ্তারি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে সিবিআই। এমনকী, সিবিআইকে ফের খাঁচাবন্দি তোতাপাখি কটাক্ষও করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তাতেই সম্ভবত কেজরিওয়ালের মনে হয়েছে পরিস্থিতি তার অনুকূলে। এই পরিস্থিতিতে ইস্তফার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলে তার পক্ষে সহানুভূতি তৈরি হবে। বস্তুত, আপের জন্মই হয়েছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে। সেই আপেরই সুপ্রিমো দুর্নীতির দায়ে জেলে- বিজেপি এতদিন সেটাকে হাতিয়ার করেই করছিল। বিজেপির সেই অস্ত্র কেড়ে নিতেই সম্ভবত কেজরিওয়াল ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। তাঁর দাবি, নভেম্বরেই দিল্লিতে ভোট করানো হোক।