ঢাকা ০২:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বড় জয় পেলো বরিশাল

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৩৯:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫ ২৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সিলেটে স্ট্রাইকার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। ব্যাট করতে নেমে ১২৫ রানে অলআউট হয়ে যায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। ১২৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই তামিম ইকবালের উইকেট হারায় বরিশাল।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলেই তানজিম সাকিবের বলে জাকির হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৩ বলে ৪ রান করেই ফেরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।

৬ রানে ২ ওপেনারকে হারালে হাড্ডাহাড্ডি এক লড়াইয়ে আভাস পাওয়া যায়। তবে সেই লড়াইকে একপেশে করে দিলেন তাওহিদ হৃদয় এবং কাইল মায়ার্স। দুজনে মিলে গড়েন ১১৬ রানের জুটি। জয় থেকে যখন মাত্র ৪ রান দূরে বরিশাল, ঠিক তখন নিজের উইকেট বিলিয়ে দেন হৃদয়। ২৭ বলে ৪৮ রান করে সাকিবের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন এই ব্যাটার।

অন্যদিকে, ৩১ বলে ৫৯ রান করে অপরাজিত থাকেন কাইল মায়ার্স। ক্রিজে এসে প্রথম বলেই চার মেরে দেন জাহানদাদ খান। আর তাতেই ৭ উইকেটের জয় পায় ফরচুন বরিশাল। সিলেটের হয়ে ২ উইকেট নেন তানজিম হাসান সাকিব। একটি উইকেট নিয়েছেন রাকিম কর্নওয়াল।

টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই হোঁচট খায় সিলেট স্টাইকার্স। ওভারের তৃতীয় বলেই কাইল মায়ার্সকে বড় শট খেলতে গিয়ে তামিমের হাতে ধরা পড়েন রনি তালুকদার। কোন রান না করেই ফিরতে হয় তাকে।

দ্বিতীয় ওভারে শাহিন আফ্রিদির প্রথম বলেই বাউন্ডারি মারেন রাকিম কর্নওয়াল। দ্বিতীয় বল ডট হলেও পরের দুই বলে টানা দুটি বাউন্ডারি মারেন দানবীয় এই ব্যাটার। তবে তার ইনিংস তিনি বড় করতে পারেননি। শাহিনকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বল তুলে দেন আকাশে। সহজেই সেই ক্যাচ লুফে নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কর্নওয়াল ফেরেন ১২ বলে ১৮ রান করে।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে ছোট্ট একটা পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন মুসসে ও জাকির হাসান। জর্জ মুনসে ফিরলে ভাঙে তাদের ৪৯ রানের জুটি। ২৮ রান করা মুনসে ফেরার এক বল পরেই অ্যারন জোন্সকে ফেরান জাহানদাদ। ২ বলে কোনও রান না করেই সাজঘরে ফেরেন তিনি।

জাকির হাসান থিতু হয়েছিলেন ঠিকই, তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২৬ বল খেলে ২৫ রান করা জাকিরকে ফেরান রিশাদ। ব্যাট হাতে এ দিন ব্যর্থ হয়েছেন জাকের আলি। ৪ বল খেলে মাত্র এক রান করেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। রিশাদ হোসেনের বলে মাহমুদউল্লার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তানজিম হাসান সাকিব। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৫ বলে ১ রান।

৮৯ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে দল যখ খাদের কিনারায়, ঠিক তখনই ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন আরিফুল হক। এরপর ইনিংসের ১০ বল বাকি থাকতেই ১২৫ রানে অলআউট হয়ে যায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। রিশাদ ও জাহানদাদ নেন ৩টি করে উইকেট। এ ছাড়া ফাহিম আশরাফ ২টি, শাহিন আফ্রিদি ও কাইল মায়ার্স নেন একটি করে উইকেট।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বড় জয় পেলো বরিশাল

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:৩৯:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫

সিলেটে স্ট্রাইকার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। ব্যাট করতে নেমে ১২৫ রানে অলআউট হয়ে যায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। ১২৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই তামিম ইকবালের উইকেট হারায় বরিশাল।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলেই তানজিম সাকিবের বলে জাকির হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৩ বলে ৪ রান করেই ফেরেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।

৬ রানে ২ ওপেনারকে হারালে হাড্ডাহাড্ডি এক লড়াইয়ে আভাস পাওয়া যায়। তবে সেই লড়াইকে একপেশে করে দিলেন তাওহিদ হৃদয় এবং কাইল মায়ার্স। দুজনে মিলে গড়েন ১১৬ রানের জুটি। জয় থেকে যখন মাত্র ৪ রান দূরে বরিশাল, ঠিক তখন নিজের উইকেট বিলিয়ে দেন হৃদয়। ২৭ বলে ৪৮ রান করে সাকিবের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন এই ব্যাটার।

অন্যদিকে, ৩১ বলে ৫৯ রান করে অপরাজিত থাকেন কাইল মায়ার্স। ক্রিজে এসে প্রথম বলেই চার মেরে দেন জাহানদাদ খান। আর তাতেই ৭ উইকেটের জয় পায় ফরচুন বরিশাল। সিলেটের হয়ে ২ উইকেট নেন তানজিম হাসান সাকিব। একটি উইকেট নিয়েছেন রাকিম কর্নওয়াল।

টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই হোঁচট খায় সিলেট স্টাইকার্স। ওভারের তৃতীয় বলেই কাইল মায়ার্সকে বড় শট খেলতে গিয়ে তামিমের হাতে ধরা পড়েন রনি তালুকদার। কোন রান না করেই ফিরতে হয় তাকে।

দ্বিতীয় ওভারে শাহিন আফ্রিদির প্রথম বলেই বাউন্ডারি মারেন রাকিম কর্নওয়াল। দ্বিতীয় বল ডট হলেও পরের দুই বলে টানা দুটি বাউন্ডারি মারেন দানবীয় এই ব্যাটার। তবে তার ইনিংস তিনি বড় করতে পারেননি। শাহিনকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বল তুলে দেন আকাশে। সহজেই সেই ক্যাচ লুফে নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। কর্নওয়াল ফেরেন ১২ বলে ১৮ রান করে।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে ছোট্ট একটা পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন মুসসে ও জাকির হাসান। জর্জ মুনসে ফিরলে ভাঙে তাদের ৪৯ রানের জুটি। ২৮ রান করা মুনসে ফেরার এক বল পরেই অ্যারন জোন্সকে ফেরান জাহানদাদ। ২ বলে কোনও রান না করেই সাজঘরে ফেরেন তিনি।

জাকির হাসান থিতু হয়েছিলেন ঠিকই, তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২৬ বল খেলে ২৫ রান করা জাকিরকে ফেরান রিশাদ। ব্যাট হাতে এ দিন ব্যর্থ হয়েছেন জাকের আলি। ৪ বল খেলে মাত্র এক রান করেই সাজঘরে ফেরেন তিনি। রিশাদ হোসেনের বলে মাহমুদউল্লার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তানজিম হাসান সাকিব। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৫ বলে ১ রান।

৮৯ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে দল যখ খাদের কিনারায়, ঠিক তখনই ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন আরিফুল হক। এরপর ইনিংসের ১০ বল বাকি থাকতেই ১২৫ রানে অলআউট হয়ে যায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। রিশাদ ও জাহানদাদ নেন ৩টি করে উইকেট। এ ছাড়া ফাহিম আশরাফ ২টি, শাহিন আফ্রিদি ও কাইল মায়ার্স নেন একটি করে উইকেট।