এলডিসি থেকে উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ নিন: প্রধানমন্ত্রী
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৪৪:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ১২৯ বার পড়া হয়েছে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংশ্লিষ্ট সকলকে ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ( এলডিসি) থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ সুবিধা পেতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য কৌশল প্রণয়ন করতে বলেছেন ।
বৃহস্পতিবার( ২৮ মার্চ) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির( একনেক) ২য় সভায় সভায় সভাপতিত্বকালে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন । একনেক সভা শেষে ব্রিফিং করেন পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিৎ কর্মকার।
তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ হওয়ার বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে সমন্বয়ের কোনো সমস্যা নেই । এটি কোন নির্দিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নয়, বরং এটি একটি সার্বিক সমস্যা । এলডিসি থেকে উত্তরণে কিছু সম্ভাবনার পাশাপাশি চ্যালেঞ্জও রয়েছে ।
ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল( অব.) মো. আব্দুস সালাম ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহীদুজ্জামান সরকার বক্তব্য রাখেন । এ সময় পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন ।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, বৈঠকে মোট কোটি টাকা ব্যয়ের মোট ১১টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে । “ মোট প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে আসবে এবং বাকি৪৮৫.৬৪ কোটি টাকা প্রকল্প সহায়তা হিসাবে আসবে । ”
পরিকল্পনা সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিশরের কায়রোতে বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স ও আবাসিক ভবন নির্মাণের জন্য ১৬৬ কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়ার সময় প্রয়োজনীয় বিশ্রাম কক্ষ রাখা এবং প্রবাসী বাংলাদেশীরা যেন স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে পরিষেবা পান তার পর্যাপ্ত সংখ্যক বুথ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন ।
সারা দেশে ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স( তৃতীয় পর্যায়) নির্মাণের জন্য কোটি টাকার প্রকল্প সম্পর্কে সত্যজিৎ বলেন, প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে বাকি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সগুলির নির্মাণ দ্রæত সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন ।
এ বিষয়ে তিনি উপক ‚ লীয় এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের পাশাপাশি সোলার সিস্টেম রাখার জন্য একটি ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন ।
মিরপুরে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠায় ১১৫ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সেখানে নারীদের প্রশিক্ষণ দেয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন ।
সভায় অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো- অতিরিক্ত২৮৮.০৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০টি মিটার গেজ ডিজেল ইলেকট্রনিক লোকোমোটিভ এবং ১৫০টি মিটার গেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ সংগ্রহ( প্রথম সংশোধিত),৪৮১.৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে কাশিনাথপুর- রাজশাহী-দাশুরিয়া- নাটোর- নবাবগঞ্জ- কানসাট- সোনামসজিদ- বালিয়াদিঘি সীমান্ত জাতীয় মহাসড়কের যথাযথ মান উন্নয়ন,৩৭১.৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে সরকারি মৎস্য খামারের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প( প্রথম পর্যায়),২৩২.৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজার জেলায় বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের ফিশ ল্যান্ডিং সেন্টারের উন্নয়ন, অতিরিক্ত১৬৬.৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ে অবকাঠামো, উন্নত দক্ষতা ও তথ্যের প্রবেশাধিকারের মাধ্যমে দুর্বল জনগোষ্ঠীর জন্য টিকে থাকার সামর্থ বৃদ্ধি এবং অতিরিক্ত কোটি টাকা ব্যয়ে ৮টি বিভাগীয় শহরে পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার, হার্ট ও কিডনি রোগের চিকিৎসা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা ( প্রথম সংশোধিত) ।
সভায় কোনো খরচ না বাড়িয়ে শাহবাগ কমপ্লেক্স, বাংলাদেশ বেতার, আগারগাঁও, ঢাকা, ১ম পর্যায়, ৩য় সংশোধিত স্থানান্তর, নির্মাণ ও আধুনিকীকরণের জন্য প্রকল্পের সময়সীমা ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে ।