জাবিতে ছাত্রলীগ নেতা হত্যায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মামলা
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:১০:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৯ বার পড়া হয়েছে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লা হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাদি হয়ে এই মামলা দায়ের করেছে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ভোরে আশুলিয়া থানায় মামলাটি নথিভুক্ত হয়। আশুলিয়া থানার ওসি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার সুদীপ্ত শাহীন এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেখানে সম্প্রতি অব্যাহতি পাওয়া সমন্বয়ক লাবিবসহ সদ্য সাময়িক বহিষ্কার হওয়া ৮ শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নিহত শামীম সাভারের আশুলিয়া থানার কাঠগড়া এলাকার মোল্লা বাড়ির ইয়াজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের (৩৯ ব্যাচ) ইতিহাসের বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
মামলার এজাহার ভুক্ত আসামিরা হলো-জাবির চার ছাত্রদল নেতা সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৬ ব্যাচের মোহাম্মদ রাজন মিয়া (২৫), একই বিভাগের ৪৫ ব্যাচের রাজু আহাম্মদ (২৫), ইংরেজি বিভাগের (৪৯ ব্যাচ) হামিদুল্লাহ সালমান (২১) এবং সিএসই বিভাগের (৪৭ ব্যাচ) সোহাগ মিয়া (২৩)। আসামি করা হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো: আহসান হাবীব (২৪)। এছাড়া ইংরেজি বিভাগের মাহমুদুল হাসান রায়হান (২০), ইতিহাস বিভাগের জুবায়ের আহমেদ (২৪), ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের (৪৯ ব্যাচ) মো: আতিকুজ্জামান (২১) নামে তিন সাধারণ শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়েছে।
এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২০/২৫ জন ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে শামীম মোল্লার মৃত্যুর ঘটনায় ওই ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মারধরের ঘটনায় শনাক্ত হওয়া সমন্বয়ক আহসান লাবিবকে অব্যাহতি দিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
প্রসঙ্গত, বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক গেট সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছিলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লা। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী সেখানে গিয়ে তাকে আটক করে মারধর করে। গণপিটুনির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম। একপর্যায়ে নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তায় শামীমকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীরা তাকে আরেকদফা গণপিটুনি দেয়। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সাভার গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শামীম মোল্লা।