ঢাকা ১০:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নবীজির শানে অবমাননায় ছাত্র-জনতার বি‌ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:২৪:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালামের মুবারক শানে কটূক্তিকারী ভারতের হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ এবং তাকে সমর্থনকারী বিজেপির বিধায়ক নিতেশ নারায়ণ রানের গ্রেফতার ও মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-জনতা।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে চারটায় রাজধানীর মালিবাগ মোড়ের ফাল ইয়াফরাহু চত্বরে ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-জনতা’র বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিল মালিবাগ মোড়ের ফাল ইয়াফরাহু চত্বর ঘুরে শাহজাহানপুর চৌরাস্তায় গি‌য়ে শেষ হয়।

সমাবেশে ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র জনতার আহবায়ক মুহম্মদ আরিফ আল খাবির বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের প্রাণের থেকেও প্রিয়। উনার পবিত্র শানে বিন্দু থেকে বিন্দুতম বেয়াদবী আমরা মেনে নেব না। পৃথিবীর যে প্রান্তেই সে কটূক্তিকারী থাকুক, তার একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। সারা বিশ্বের মুসলমানদের পক্ষে আমরা চাই অবিলম্বে সেই সেই কুলাঙ্গারকে গ্রেফতার করে তার শরঈ শাস্তি জারি করা হোক।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের উচিত হবে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এনে এই জঘন্য কর্মের শক্ত প্রতিবাদ করা। ভারত সরকারকে চাপ দেয়া যেন কুলাঙ্গার রামগিরিকে দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করে। ভারত সরকার যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়, তবে তার সাথে আমাদের দেশের সকল সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত। যে রাষ্ট্র নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র শানে মানহানীকারীকে প্রশ্রয় দেয়, তার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক থাকতে পারে না।

আরো বলেন, ভারতে যখন মুসলমানরা চরম নির্যাতিত হচ্ছে, মসজিদ ভাঙ্গা হচ্ছে, গরুর গোশতের জন্য মুসলমানদের শহীদ করা হচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশের হিন্দুরা শাহী হালে আছে। তাদের সরকারী সহায়তায় পূজা করতে দেয়া হচ্ছে। এটা কখনই ইনসাফ নয়। স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের আমলে সরকারী ত্রাণ তহবিল থেকে প্রতি মন্ডপে ৫০০ কেজি চাল বরাদ্দ দেয়া হতো। অথচ ঈদে বা কুরবানীতে মসজিদগুলোতে কিছুই দেয়া হতোনা। এটা ছিলো আওয়ামীলীগের চরম বেইনসাফ। পূজাতে কোন ত্রাণ দেয়া যাবেনা।

ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-জনতার বক্তব্যে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পূজা করার প্রয়োজন হলে মন্দিরের ভেতরেই পূজা করা উচিত, মন্দিরের বাইরে মণ্ডপ বানিয়ে জনদুর্ভোগ তৈরী করা কখনই মেনে নেয়া যায় না। পাশাপাশি, হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যেন পূজা শেষে মূর্তি উন্মুক্ত পানিতে ডুবিয়ে পরিবেশ দূষণ না করে সেদিকেও পরিবেশ অধিদফতরকে দৃষ্টি দেয়ার আহবান জানান তিনি।

উক্ত সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, ভারত বাংলাদেশের জাতীয় শত্রু। এটা বাংলাদেশের হিন্দুদের স্বীকার করতে হবে। নেপালের হিন্দুরা ভারত বিরোধী হলে, বাংলাদেশের হিন্দুদের ভারত বিরোধী হতে সমস্যা কোথায়? ভারতে আমাদের প্রিয় নবী হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে এত বড় কটূক্তির ঘটনা ঘটে গেছে, বাংলাদেশের হিন্দুদের উচিত তাদের আসন্ন দূর্গা পূজায় এ ব্যাপারে ভারতের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব পেশ করা এবং কটূক্তিকারীর শাস্তি দাবী করা। হিন্দুরা যে দেশদ্রোহী নয় তা প্রমাণের জন্য যারা অখনড ভারতের কথা বলে তাদেরকে ধরিয়ে দেয়াটা হিন্দুদেরই দায়িত্ব।

বিক্ষোভ সমাবেশে ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-জনতার শতাধিক কর্মী উপস্থিত ছিলেন। তারা বার বার শ্লোগান দিয়ে কুলাঙ্গার রামগিরির শাস্তি মৃত্যদন্ড দাবী করতে থাকেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

নবীজির শানে অবমাননায় ছাত্র-জনতার বি‌ক্ষোভ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:২৪:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালামের মুবারক শানে কটূক্তিকারী ভারতের হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ এবং তাকে সমর্থনকারী বিজেপির বিধায়ক নিতেশ নারায়ণ রানের গ্রেফতার ও মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-জনতা।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে চারটায় রাজধানীর মালিবাগ মোড়ের ফাল ইয়াফরাহু চত্বরে ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-জনতা’র বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিছিল মালিবাগ মোড়ের ফাল ইয়াফরাহু চত্বর ঘুরে শাহজাহানপুর চৌরাস্তায় গি‌য়ে শেষ হয়।

সমাবেশে ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র জনতার আহবায়ক মুহম্মদ আরিফ আল খাবির বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদের প্রাণের থেকেও প্রিয়। উনার পবিত্র শানে বিন্দু থেকে বিন্দুতম বেয়াদবী আমরা মেনে নেব না। পৃথিবীর যে প্রান্তেই সে কটূক্তিকারী থাকুক, তার একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। সারা বিশ্বের মুসলমানদের পক্ষে আমরা চাই অবিলম্বে সেই সেই কুলাঙ্গারকে গ্রেফতার করে তার শরঈ শাস্তি জারি করা হোক।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের উচিত হবে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এনে এই জঘন্য কর্মের শক্ত প্রতিবাদ করা। ভারত সরকারকে চাপ দেয়া যেন কুলাঙ্গার রামগিরিকে দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করে। ভারত সরকার যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়, তবে তার সাথে আমাদের দেশের সকল সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত। যে রাষ্ট্র নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র শানে মানহানীকারীকে প্রশ্রয় দেয়, তার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক থাকতে পারে না।

আরো বলেন, ভারতে যখন মুসলমানরা চরম নির্যাতিত হচ্ছে, মসজিদ ভাঙ্গা হচ্ছে, গরুর গোশতের জন্য মুসলমানদের শহীদ করা হচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশের হিন্দুরা শাহী হালে আছে। তাদের সরকারী সহায়তায় পূজা করতে দেয়া হচ্ছে। এটা কখনই ইনসাফ নয়। স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের আমলে সরকারী ত্রাণ তহবিল থেকে প্রতি মন্ডপে ৫০০ কেজি চাল বরাদ্দ দেয়া হতো। অথচ ঈদে বা কুরবানীতে মসজিদগুলোতে কিছুই দেয়া হতোনা। এটা ছিলো আওয়ামীলীগের চরম বেইনসাফ। পূজাতে কোন ত্রাণ দেয়া যাবেনা।

ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-জনতার বক্তব্যে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পূজা করার প্রয়োজন হলে মন্দিরের ভেতরেই পূজা করা উচিত, মন্দিরের বাইরে মণ্ডপ বানিয়ে জনদুর্ভোগ তৈরী করা কখনই মেনে নেয়া যায় না। পাশাপাশি, হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যেন পূজা শেষে মূর্তি উন্মুক্ত পানিতে ডুবিয়ে পরিবেশ দূষণ না করে সেদিকেও পরিবেশ অধিদফতরকে দৃষ্টি দেয়ার আহবান জানান তিনি।

উক্ত সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, ভারত বাংলাদেশের জাতীয় শত্রু। এটা বাংলাদেশের হিন্দুদের স্বীকার করতে হবে। নেপালের হিন্দুরা ভারত বিরোধী হলে, বাংলাদেশের হিন্দুদের ভারত বিরোধী হতে সমস্যা কোথায়? ভারতে আমাদের প্রিয় নবী হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে এত বড় কটূক্তির ঘটনা ঘটে গেছে, বাংলাদেশের হিন্দুদের উচিত তাদের আসন্ন দূর্গা পূজায় এ ব্যাপারে ভারতের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব পেশ করা এবং কটূক্তিকারীর শাস্তি দাবী করা। হিন্দুরা যে দেশদ্রোহী নয় তা প্রমাণের জন্য যারা অখনড ভারতের কথা বলে তাদেরকে ধরিয়ে দেয়াটা হিন্দুদেরই দায়িত্ব।

বিক্ষোভ সমাবেশে ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-জনতার শতাধিক কর্মী উপস্থিত ছিলেন। তারা বার বার শ্লোগান দিয়ে কুলাঙ্গার রামগিরির শাস্তি মৃত্যদন্ড দাবী করতে থাকেন।