রাজধানীতেও স্থল নিম্নচাপ হাজির হয়েছে। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ছিলো থেমে থেমে বৃষ্টি। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি দেশের উপকূল দিয়ে ঢুকে স্থল নিম্নচাপ হয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কক্সবাজারের।

স্থল নিম্নচাপে কারণে ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা ঢলে দেশের ৮ জেলার নিম্নাঞ্চল এরমধ্যে প্লাবিত হতে শুরু করেছে। উপকূলীয় ৫টি শহরে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। অন্যদিকে দমকা হাওয়া ও ভারী বৃষ্টির কারণে দেশের সব কটি সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আজ রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) বৃষ্টির দাপট সারা দেশে বেড়ে রাজধানীতেও মাঝারি বৃষ্টি হানা দিতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা জয়েছে, আজ রোববার উপকূলের কয়েকটি এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলতে পারে। দমকা হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে চট্টগ্রাম, ফেনী, কক্সবাজার, কুমিল্লা, খুলনা, যশোর ও নোয়াখালী শহরে জলাবদ্ধতা তৈরি হতে পারে। চট্টগ্রামে পাহাড়ধস ও উপকূলীয় নদ-নদীগুলোতে এক নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আগামীকাল সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত বৃষ্টি বাড়তে পারে। এরপর বৃষ্টি দ্রুত কমে আসতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায়-২৭৩ মিলিমিটার। এ ছাড়া কক্সবাজার সদরে ২২৫ ও চট্টগ্রামে ২০৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। শনিবার বিকেলে স্থল নিম্নচাপের কেন্দ্রস্থল যশোর-খুলনার দিকে ছিলো। যশোরে শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আর রাজধানীতে বৃষ্টি ঝরেছে ৬ মিলিমিটার।