ঢাকা ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোপালগঞ্জে বললেন কাদের সিদ্দিকী

বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ আর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এক নয়

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৩:২০:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪ ৩৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মাওলানা ভাসানী ও বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ আর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এক নয় বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর উত্তম বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে গোপালগঞ্জে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমি আওয়ামী লীগের কোন দুর্দিন দেখি নাই। কারন মাওলানা ভাসানী ও বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ আর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এক নয়। যে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে আর বর্তমান আওয়ামী লীগ এক নয়। আমি একটা দল করেছি কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নামে। যার প্রতিক গামছা। দলের একমাত্র উদ্দেশ্য মানুষকে পাহারা দেয়া, মানুষের সেবা করা।

সিদ্দিকী বলেন, আমি আমার রাজনৈতিক পিতার মুক্তির কারণেই টুঙ্গিপাড়া এসেছি। সবাই যখন ইঁদুরের গর্তে ছিল তখন বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছিলাম। তার জন্য সম্মান পাইনি। মানুষের কাছ থেকে পেয়েছি কিন্তু যাদের কাছ থেকে পাওয়া দরকার তাদের কাছ থেকে সম্মান পায়নি বরং অনেক অসম্মান হয়েছে। টুঙ্গিপাড়ার গিমাডাঙ্গা স্কুলের মাঠে বঙ্গবন্ধুর জন্য আমরা শোক দিবস পালন করতে চেয়েছিলাম। সেখানে কিন্তু আমাদের গাড়ি ভাঙ্গা হয়েছিল। আওয়ামী লীগের লোকেরাই ভেঙে ছিল।
বীর উত্তম কাদের বলেন, আমি আগে ও বঙ্গবন্ধুর ছিলাম, যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন বঙ্গবন্ধুকে বুকে লালন করেই বেঁচে থাকবো। বঙ্গবন্ধুর আদর্শই আমার আদর্শ। কিছু অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে আমি সব সময় ছিলাম আছি ও আগামীতেও থাকবো। আর টুঙ্গিপাড়ার মানুষদের অভিনন্দন জানাই। এরকম একটা দূর্বিপাকের মধ্যেও তারা জাতির পিতার যথাযথ সম্মান রেখেছে।

তিনি আরও বলেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সাফল্য আমি মনে প্রাণে কামনা করি এবং বিশ্বাস করি। কারন আগে দেশটা আমার ভালো চলে নাই। তবে আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছি। বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে বাংলাদেশের নেতৃত্ব করা যাবে না। আমার প্রেম আমার ভালোবাসা সমস্তটাই বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুকে না পেলে আমি একজন রিক্সাওয়ালা হতাম অথবা রাখাল হতাম। বঙ্গবন্ধুকে পাওয়ার পর আমি দেশকে ভালোবাসতে শিখেছিলাম। অনেকেই দেশপ্রেমের কথা বলে কিন্তু দেশপ্রেম এত সহজ জিনিস না। এখন মানুষের আয়ু একটু বাড়ছে, কিন্তু মানবতা কমেছে। মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা, দেশাত্মবোধ কমে গেছে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি আল্লাহ যেন বঙ্গবন্ধুর সম্মান রক্ষা করে।

এর আগে তিনি টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বিশ্রামাগারে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন। পরে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত করেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। এরপর বঙ্গবন্ধুর কবরের পাশে একান্তে দোয়া মোনাজাত করেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

গোপালগঞ্জে বললেন কাদের সিদ্দিকী

বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ আর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এক নয়

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৩:২০:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪

মাওলানা ভাসানী ও বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ আর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এক নয় বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর উত্তম বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে গোপালগঞ্জে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমি আওয়ামী লীগের কোন দুর্দিন দেখি নাই। কারন মাওলানা ভাসানী ও বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ আর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এক নয়। যে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে আর বর্তমান আওয়ামী লীগ এক নয়। আমি একটা দল করেছি কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নামে। যার প্রতিক গামছা। দলের একমাত্র উদ্দেশ্য মানুষকে পাহারা দেয়া, মানুষের সেবা করা।

সিদ্দিকী বলেন, আমি আমার রাজনৈতিক পিতার মুক্তির কারণেই টুঙ্গিপাড়া এসেছি। সবাই যখন ইঁদুরের গর্তে ছিল তখন বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছিলাম। তার জন্য সম্মান পাইনি। মানুষের কাছ থেকে পেয়েছি কিন্তু যাদের কাছ থেকে পাওয়া দরকার তাদের কাছ থেকে সম্মান পায়নি বরং অনেক অসম্মান হয়েছে। টুঙ্গিপাড়ার গিমাডাঙ্গা স্কুলের মাঠে বঙ্গবন্ধুর জন্য আমরা শোক দিবস পালন করতে চেয়েছিলাম। সেখানে কিন্তু আমাদের গাড়ি ভাঙ্গা হয়েছিল। আওয়ামী লীগের লোকেরাই ভেঙে ছিল।
বীর উত্তম কাদের বলেন, আমি আগে ও বঙ্গবন্ধুর ছিলাম, যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন বঙ্গবন্ধুকে বুকে লালন করেই বেঁচে থাকবো। বঙ্গবন্ধুর আদর্শই আমার আদর্শ। কিছু অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে আমি সব সময় ছিলাম আছি ও আগামীতেও থাকবো। আর টুঙ্গিপাড়ার মানুষদের অভিনন্দন জানাই। এরকম একটা দূর্বিপাকের মধ্যেও তারা জাতির পিতার যথাযথ সম্মান রেখেছে।

তিনি আরও বলেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সাফল্য আমি মনে প্রাণে কামনা করি এবং বিশ্বাস করি। কারন আগে দেশটা আমার ভালো চলে নাই। তবে আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছি। বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে বাংলাদেশের নেতৃত্ব করা যাবে না। আমার প্রেম আমার ভালোবাসা সমস্তটাই বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুকে না পেলে আমি একজন রিক্সাওয়ালা হতাম অথবা রাখাল হতাম। বঙ্গবন্ধুকে পাওয়ার পর আমি দেশকে ভালোবাসতে শিখেছিলাম। অনেকেই দেশপ্রেমের কথা বলে কিন্তু দেশপ্রেম এত সহজ জিনিস না। এখন মানুষের আয়ু একটু বাড়ছে, কিন্তু মানবতা কমেছে। মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা, দেশাত্মবোধ কমে গেছে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি আল্লাহ যেন বঙ্গবন্ধুর সম্মান রক্ষা করে।

এর আগে তিনি টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বিশ্রামাগারে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন। পরে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত করেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। এরপর বঙ্গবন্ধুর কবরের পাশে একান্তে দোয়া মোনাজাত করেন তিনি।