ঢাকা ০৬:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকারের বেঁধে দেয়া দামে মিলছে না ডিম-মুরগী

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০২:৩১:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সপ্তাহের ব্যবধানে আরও বেড়েছে ডিম, ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম। যদিও এই দুই পণ্যের দামই নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। তবে বাস্তবে সে চিত্র ভিন্ন। বেঁধে দেওয়া দামের সাথে বাজারের দামের কোন মিল নেই। এছাড়া বৃষ্টির অজুহাতেও বেড়েছে সবজির দাম। ফলে পণ্যের দাম নিয়ে বিপাকে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তরা।

রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দেখা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় ডিমের দাম বেড়েছে। সেই সাথে সবজি ও মুরগির দামও বেড়েছে। পেঁয়াজ-আলুসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামও বাড়তি।

ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। তবে মহল্লার দোকানে একটি ডিম ১৫ টাকাও বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। শুক্রবার তা ১৯০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগির দামও ১০ টাকা বেড়ে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা হয়েছে। যা ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা ছিল গেল সপ্তাহে।

বাজারে বেশ কয়েক মাস ধরে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে আলু ও পেঁয়াজ। বর্তমানে প্রতি কেজি আলু ৬০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এক মাস আগে আলু ও পেঁয়াজের দাম কমাতে আমদানি পর্যায়ে শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আলু আমদানিতে বিদ্যমান ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়। এছাড়া আলু আমদানিতে থাকা ৩ শতাংশ এবং পেঁয়াজ আমদানিতে থাকা ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়। তবে এর প্রভাব নেই বাজারে।

বেগুন প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ ২৪০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, টমেটো ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, ঢেঁড়স, পটোল ও চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, চায়না গাজর ১৮০ টাকায়, ঝিঙ্গা ৮০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চালকুমড়া প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, লম্বা লাউ প্রতিটি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া লালশাক ১৫ টাকা, লাউশাক ৫০ টাকা, মুলাশাক ১৫ টাকা, পালংশাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, কলমিশাক ১০ টাকা, পুঁইশাক ৪০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, তেলাপিয়া, রুই, পাঙাশ মাছ আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি (চাষের) রুই ৩০০ থেকে ৩৬০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা ও পাঙাশ ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হয়। তবে ইলিশ এক হাজার ৬০০ থেকে এক হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নিয়ন্ত্রণে আসেনি চালের বাজার। প্রতি কেজি মোটা চাল ৫০-৫৫ ও মাঝারি ৫৫-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মানভেদে সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৪-৭৮ টাকা টাকা কেজি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

সরকারের বেঁধে দেয়া দামে মিলছে না ডিম-মুরগী

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০২:৩১:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সপ্তাহের ব্যবধানে আরও বেড়েছে ডিম, ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম। যদিও এই দুই পণ্যের দামই নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। তবে বাস্তবে সে চিত্র ভিন্ন। বেঁধে দেওয়া দামের সাথে বাজারের দামের কোন মিল নেই। এছাড়া বৃষ্টির অজুহাতেও বেড়েছে সবজির দাম। ফলে পণ্যের দাম নিয়ে বিপাকে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তরা।

রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দেখা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় ডিমের দাম বেড়েছে। সেই সাথে সবজি ও মুরগির দামও বেড়েছে। পেঁয়াজ-আলুসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দামও বাড়তি।

ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। তবে মহল্লার দোকানে একটি ডিম ১৫ টাকাও বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। শুক্রবার তা ১৯০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগির দামও ১০ টাকা বেড়ে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকা হয়েছে। যা ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা ছিল গেল সপ্তাহে।

বাজারে বেশ কয়েক মাস ধরে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে আলু ও পেঁয়াজ। বর্তমানে প্রতি কেজি আলু ৬০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এক মাস আগে আলু ও পেঁয়াজের দাম কমাতে আমদানি পর্যায়ে শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আলু আমদানিতে বিদ্যমান ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়। এছাড়া আলু আমদানিতে থাকা ৩ শতাংশ এবং পেঁয়াজ আমদানিতে থাকা ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়। তবে এর প্রভাব নেই বাজারে।

বেগুন প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ ২৪০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, টমেটো ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, ঢেঁড়স, পটোল ও চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, চায়না গাজর ১৮০ টাকায়, ঝিঙ্গা ৮০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চালকুমড়া প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, লম্বা লাউ প্রতিটি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া লালশাক ১৫ টাকা, লাউশাক ৫০ টাকা, মুলাশাক ১৫ টাকা, পালংশাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, কলমিশাক ১০ টাকা, পুঁইশাক ৪০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, তেলাপিয়া, রুই, পাঙাশ মাছ আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি (চাষের) রুই ৩০০ থেকে ৩৬০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা ও পাঙাশ ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হয়। তবে ইলিশ এক হাজার ৬০০ থেকে এক হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নিয়ন্ত্রণে আসেনি চালের বাজার। প্রতি কেজি মোটা চাল ৫০-৫৫ ও মাঝারি ৫৫-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মানভেদে সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৪-৭৮ টাকা টাকা কেজি।