ঢাকা ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারী বৃষ্টিপাতে প্লাবিত, চিংড়ি ঘের ভেসে যাওয়ার শঙ্কা

আবু হানিফ, বাগেরহাট
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:৫৭:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

টানা তিন দিনের বৃষ্টিপাতে বাগেরহাট শহরের গুরুত্ব পূর্ন সড়কসহ প্লাবিত হয়েছে শতশত বসত বাড়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ভেসে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে চিংড়ি ও মাছের খামার। টানা ভারী বৃষ্টিপাতে জেলার শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, মোংলা, রামপাল, কচুয়া ও বাগেরহাট সদর উপজেলার বৃস্তির্ণ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

এরমধ্যে বাগেরহাট, মোরেলগঞ্জ ও মোংলা পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা হাটু পানিতে প্লাবিত হয়েছে। যে কারনে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। এছাড়া সুন্দরবনের বিভিন্ন খালে ও জেলার মৎস্য অবতরন কেন্দ্রে গুলোতে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে মাছ ধরা ট্রলার। মোংলা বন্দরকে ৩নং সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তবে ভারী বৃষ্টিপাতে ব্যাহত হচ্ছে মোংলা বন্দরের পণ্য ওঠা নামার কাজ।

এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় বাগেরহাট জেলা জুড়ে ২৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে মোংলা আবহওয়া অফিস। এখনও পর্যন্ত জেলার নদ-নদীর পানি বিপদ সীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও ভারী বৃষ্টিপাত অভ্যাহত থাকলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে বলে জানিয়েছে বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড। এছাড়া বৃষ্টিপাত অভ্যাহত থাকলে জেলার কয়েক হাজার চিংড়ি ঘের ও মাছের খামার ভেসে যাওয়ার শঙ্কা করছেন জেলা মৎস্য কর্মকতা এএসএম রাসেল।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহম্মেদ কামরুল হাসান জানান, জেলা জুড়ে বৃষ্টিপাত অভ্যাহত রয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে জেলার ৯টি উপজেলার ইউএনওদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন, রেড ক্রিসেন্টে স্বেচ্ছাসেবক টিম প্রস্তুত রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ভারী বৃষ্টিপাতে প্লাবিত, চিংড়ি ঘের ভেসে যাওয়ার শঙ্কা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:৫৭:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

টানা তিন দিনের বৃষ্টিপাতে বাগেরহাট শহরের গুরুত্ব পূর্ন সড়কসহ প্লাবিত হয়েছে শতশত বসত বাড়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ভেসে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছে চিংড়ি ও মাছের খামার। টানা ভারী বৃষ্টিপাতে জেলার শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, মোংলা, রামপাল, কচুয়া ও বাগেরহাট সদর উপজেলার বৃস্তির্ণ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

এরমধ্যে বাগেরহাট, মোরেলগঞ্জ ও মোংলা পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা হাটু পানিতে প্লাবিত হয়েছে। যে কারনে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। এছাড়া সুন্দরবনের বিভিন্ন খালে ও জেলার মৎস্য অবতরন কেন্দ্রে গুলোতে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে মাছ ধরা ট্রলার। মোংলা বন্দরকে ৩নং সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তবে ভারী বৃষ্টিপাতে ব্যাহত হচ্ছে মোংলা বন্দরের পণ্য ওঠা নামার কাজ।

এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় বাগেরহাট জেলা জুড়ে ২৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে মোংলা আবহওয়া অফিস। এখনও পর্যন্ত জেলার নদ-নদীর পানি বিপদ সীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও ভারী বৃষ্টিপাত অভ্যাহত থাকলে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে বলে জানিয়েছে বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড। এছাড়া বৃষ্টিপাত অভ্যাহত থাকলে জেলার কয়েক হাজার চিংড়ি ঘের ও মাছের খামার ভেসে যাওয়ার শঙ্কা করছেন জেলা মৎস্য কর্মকতা এএসএম রাসেল।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহম্মেদ কামরুল হাসান জানান, জেলা জুড়ে বৃষ্টিপাত অভ্যাহত রয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে জেলার ৯টি উপজেলার ইউএনওদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন, রেড ক্রিসেন্টে স্বেচ্ছাসেবক টিম প্রস্তুত রয়েছে।