বিসিএস পরীক্ষাসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) ৩ কর্মকর্তা ও সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় আদালতে ৭ আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। পরে সকলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

এদিকে, প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) উপপরিচালক মো. আবু জাফর ও জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির এবং পিএসসির কর্মচারী ডেসপাস রাইটার খলিলুর রহমান ও অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলামসহ ৫ জনকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে পিএসসি। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) পৃথক নোটিশে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

পিএসসির চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত বহিষ্কার আদেশের কপিতে দেখা যায়, চাকরি আইন অনুযায়ী সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে তারা বিধি অনুসারে খোরপোষ ভাতা পাবেন।

গ্রেপ্তার ১৭ আসামিকে এদিন আদালতে হাজির করা হয়। এরমধ্যে গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীসহ ৭ আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হয়েঠেন। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।

এছাড়া অপর ১০ আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া অপর আসামিরা হলো- সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির, পিএসসির উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সেনা সদস্য নোমান সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী মো. জাহিদুল ইসলাম, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত মো. মামুনুর রশীদ অডিটর প্রিয়নাথ রায়, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মেডিকেল টেকনিশিয়ান মো. নিয়ামুন হাসান।