ঢাকা ০৫:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বললেন বিএনপি নেতা রিজভী

গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করাই অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:০৩:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪ ১৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ও প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে, দেশে প্রকৃত গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করা। গণতন্ত্র শুধু নির্বাচন নয়, নির্বাচন একটা বড় উপাদান। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তার পছন্দমতো ব্যক্তিকে ভোট দিতে পারেন- এটাই হচ্ছে গণতান্ত্রিক পরিবেশ।

সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে সাভার পৌর এলাকার ব্যাংক টাউনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ইয়ামিনের পরিবারে সদস্যদের সাথে দেখা করতে এসে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় রুহুল কবির রিজভী বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার করুক। কিন্তু সেটা যাতে উপসংহারহীন না হয়। সংস্কারের কথা বলতে বলতে এটার তো একটা উপসংহার টানতে হবে। এটা যদি অনন্তকাল হয় তখন তো একটা প্রশ্ন দেখা দেবে। আপনারা নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, বিচার বিভাগ ও জনপ্রশাসন নিয়ে যে কমিশনগুলো করেছেন সেগুলো যাতে দ্রুত কাজ করে এবং দ্রুত রিপোর্ট দেয়। অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। কারণ সংস্কারের মূল কাজটা করবে তো পলিটিক্যাল পার্টি।

তিনি আরও বলেন, এই যে রাস্তার দাঁড়িয়ে কথা বলছি, এর আগে কি হতো? আপনাদের ছত্রভঙ্গ করে দিতেন এবং এই যে একটা অবদান, এই যে একটা মুক্তি, মুক্তির সুবাতাসের মধ্যে আমরা আপাতত রয়েছি। এটা যাদের জন্য, তাদের পাশে বৃহত্তর রাজনৈতিক দল যারা ১৬ বছর ধরে লড়াই করেছে, তারাই তো আন্দোলনের চূড়ান্ত পটভূমি রচনা করেছে। আমরা দেশের প্রত্যেকটি জায়গায় যাচ্ছি, যেখানে নিহত-আহত হয়েছে। সেখানে শিশু আছে, ছাত্র-ছাত্রী আছে, নারী আছে এবং এমনকি সাংবাদিকও আছে। সিলেট নয়া দিগন্তের সাংবাদিক পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। এভাবেই সারা দেশে যাচ্ছে ‘বিএনপি পরিবার’। খোঁজ নিচ্ছি তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ।

অন্তবর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা প্রতি আহবান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, আপনারা কেন এখনো বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার করতে পারছেন না। অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করে সেই সমস্ত দুর্বৃত্ত সন্ত্রাসী তাদেরকে গ্রেপ্তার করে সমাজে শান্তি স্থিতিশীলতা কেন ফিরিয়ে আনছেন না? গণতান্ত্রিকগামী সফল দল তো আপনাদের সমর্থন করেছে।

যুগ্ম মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্র হচ্ছে শান্তির পক্ষে মানুষ যাতে বসবাস করেন, খোলা গলায় যাতে মানুষ কথা বলতে পারে সমালোচনা করতে পারে, এটাই গণতন্ত্র আইনের শাসন থাকবে। কে কোন দল করে সেটা বড় ব্যাপার নয়, যে অপরাধী তাকে পুলিশ ধরবে এবং বিচারের আওতায় আনবে এটাই তো গণতন্ত্র। এতো যে আত্মদান আবু সাঈদ, ইয়ামিন, নাফিসা এদের আত্মদান বৃথা হয়ে যাবে যদি সত্যিকারের গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে না পারেন বলে জানান তিনি ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বাবু, সাবেক পৌর মেয়র রেফাত উল্লাহ, সাভার পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান বদির, সাভার পৌর বিএনপির সভাপতি শাহ মঈনুল হোসেন বিল্টু, ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, সাবেক ঢাকা জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক বিএনপি রাশেদুল আহসান রাশেদ, ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহŸায়ক নাজমুল হাসান অভিসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বললেন বিএনপি নেতা রিজভী

গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করাই অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:০৩:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ও প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে, দেশে প্রকৃত গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করা। গণতন্ত্র শুধু নির্বাচন নয়, নির্বাচন একটা বড় উপাদান। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তার পছন্দমতো ব্যক্তিকে ভোট দিতে পারেন- এটাই হচ্ছে গণতান্ত্রিক পরিবেশ।

সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে সাভার পৌর এলাকার ব্যাংক টাউনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ইয়ামিনের পরিবারে সদস্যদের সাথে দেখা করতে এসে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় রুহুল কবির রিজভী বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার করুক। কিন্তু সেটা যাতে উপসংহারহীন না হয়। সংস্কারের কথা বলতে বলতে এটার তো একটা উপসংহার টানতে হবে। এটা যদি অনন্তকাল হয় তখন তো একটা প্রশ্ন দেখা দেবে। আপনারা নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, বিচার বিভাগ ও জনপ্রশাসন নিয়ে যে কমিশনগুলো করেছেন সেগুলো যাতে দ্রুত কাজ করে এবং দ্রুত রিপোর্ট দেয়। অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। কারণ সংস্কারের মূল কাজটা করবে তো পলিটিক্যাল পার্টি।

তিনি আরও বলেন, এই যে রাস্তার দাঁড়িয়ে কথা বলছি, এর আগে কি হতো? আপনাদের ছত্রভঙ্গ করে দিতেন এবং এই যে একটা অবদান, এই যে একটা মুক্তি, মুক্তির সুবাতাসের মধ্যে আমরা আপাতত রয়েছি। এটা যাদের জন্য, তাদের পাশে বৃহত্তর রাজনৈতিক দল যারা ১৬ বছর ধরে লড়াই করেছে, তারাই তো আন্দোলনের চূড়ান্ত পটভূমি রচনা করেছে। আমরা দেশের প্রত্যেকটি জায়গায় যাচ্ছি, যেখানে নিহত-আহত হয়েছে। সেখানে শিশু আছে, ছাত্র-ছাত্রী আছে, নারী আছে এবং এমনকি সাংবাদিকও আছে। সিলেট নয়া দিগন্তের সাংবাদিক পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। এভাবেই সারা দেশে যাচ্ছে ‘বিএনপি পরিবার’। খোঁজ নিচ্ছি তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ।

অন্তবর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা প্রতি আহবান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, আপনারা কেন এখনো বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার করতে পারছেন না। অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করে সেই সমস্ত দুর্বৃত্ত সন্ত্রাসী তাদেরকে গ্রেপ্তার করে সমাজে শান্তি স্থিতিশীলতা কেন ফিরিয়ে আনছেন না? গণতান্ত্রিকগামী সফল দল তো আপনাদের সমর্থন করেছে।

যুগ্ম মহাসচিব বলেন, গণতন্ত্র হচ্ছে শান্তির পক্ষে মানুষ যাতে বসবাস করেন, খোলা গলায় যাতে মানুষ কথা বলতে পারে সমালোচনা করতে পারে, এটাই গণতন্ত্র আইনের শাসন থাকবে। কে কোন দল করে সেটা বড় ব্যাপার নয়, যে অপরাধী তাকে পুলিশ ধরবে এবং বিচারের আওতায় আনবে এটাই তো গণতন্ত্র। এতো যে আত্মদান আবু সাঈদ, ইয়ামিন, নাফিসা এদের আত্মদান বৃথা হয়ে যাবে যদি সত্যিকারের গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে না পারেন বলে জানান তিনি ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সংসদ সদস্য দেওয়ান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বাবু, সাবেক পৌর মেয়র রেফাত উল্লাহ, সাভার পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান বদির, সাভার পৌর বিএনপির সভাপতি শাহ মঈনুল হোসেন বিল্টু, ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, সাবেক ঢাকা জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক বিএনপি রাশেদুল আহসান রাশেদ, ঢাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহŸায়ক নাজমুল হাসান অভিসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা।