একজন বাংলাদেশ পুলিশের উপ-পরিদর্শক, তিনি নাটোর র‍‍্যাব ক্যাম্পে কর্মরত। আরেকজন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অফিস সহায়ক পদে কর্মরত। এই পরিচয়ে বিভিন্ন ব্যক্তিকে চাকুরি দেয়ার প্রলোভন দিতেন তরিকুল ইসলাম সোহাগ (২৭) ও নাইম হোসেন (২০)।

তাদের ফাঁদে পা দিয়েছেন অনেকেই। তবে এবার সেই ফাঁদে নিজেরাই ফেঁসে গেলেন। গ্রেপ্তার হলো র‍‍্যাবের হাতে।

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রুকিন্দীপুর ইউনিয়নের মাস্টারপাড়া এলাকা থেকে শনিবার (১৩ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার তরিকুল নাটোর জেলার নলডাঙ্গা উপজেলার বাসুদেবপুর এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। নাইম হোসেন জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার চকবিলা গ্রামের মনোয়ার হোসেনের ছেলে।

রোববার (১৪ জুলাই) সকালে বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। র‍্যাব জানায়, রফিকুল  ইসলাম সোহাগ এসআই পদে থেকে র‍‍্যাব বাহিনীতে রয়েছেন। আর তার সহযোগী নাইম হোসেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অফিস সহায়ক পদে চাকুরি করেন- এসব কথা বলে বিভিন্নজনকে চাকুরির প্রলোভন দিতেন তারা। এমনভাবে মাস্টারপাড়া এলাকার এক ব্যক্তিকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সিভিল গাড়িচালক পদে চাকুরি দেয়ার আশ্বাস দেয়। ওই ব্যক্তির সাথে তরিকুল ও নাইমের মৌখিকভাবে ১২ লাখ টাকা চুক্তি হয়। শনিবার (১৩ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তারা দুইজন মাস্টারপাড়া এলাকায় আসেন। এরপর ওই পদের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেওয়ার নামে অগ্রিম ২৬ হাজার ৩শ টাকা দাবি করেন। বিষয়টি চাকুরিপ্রত্যাশী ব্যক্তির সন্দেহ হলে ঘটনাটি র‍‍্যাবকে জানায়। র‍‍্যাব ওই চাকুরি প্রত্যাশীর সাথে পরিকল্পনা করে তরিকুল ও নাইমকে গ্রেপ্তার করে।

জয়পুরহাট র‍‍্যাব ক্যাম্পের অধিনায়ক সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নুরুল হুদা জানান, গ্রেপ্তার দুইজন প্রতারক চক্রের সাথে জড়িত। তাদের মধ্যে তরিকুলের কাছে র‍‍্যাবের জ্যাকেট ও পরিচয় পত্র পাওয়া গেছে। তারা র‍‍্যাব সদস্য পরিচয়ে এসব অপরাধমূলক কাজ করতেন। গ্রেপ্তার দুইজনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তাদেরকে  জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।