ঢাকা ০৭:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সীমান্ত রেখা থেকে ৮ কি.মি. সম্পূর্ণ ফাঁকা রাখাসহ সংসদকে ৪ পরামর্শ হাইকোর্টের

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:১১:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪ ৫৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশের সীমান্ত নিরাপত্তা কার্যকারভাবে রক্ষা এবং আন্তঃরাষ্ট্র সীমান্ত অপরাধ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে এবং জাতীয় রাজস্ব আয় ফাঁকি প্রতিরোধ করতে সীমান্ত রেখা থেকে দেশের অভ্যান্তরে মশ মাইল বিজিবির সম্পত্তি ঘোষণা করা এবং সীমান্ত রেখা থেকে আট কিলোমিটার জমি সম্পূর্ণ ফাঁকা ও সমান রাখাসহ সংসদকে চার পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের একটি একক বেঞ্চ এক মামলার রায়ে এই পরামর্শ দিয়েছেন। ১৯৮৭ সালে চোরাচালানবিরোধী অভিযানে যশোর সীমান্তে ভারতীয় শাড়ি উদ্ধারের ঘটনায় বিজিবির দায়ের করা মামলায় আসামি জাকির হোসেনকে ৩ বছরের সাজা থেকে খালাসের রায়ে এ পরামর্শ এসেছে। শনিবার (১৩ জুলাই) এই রায় প্রকাশ করা হয়েছে।

আদালত রায়ে বলেছেন, বাংলাদেশের সীমান্ত নিরাপত্তা কার্যকারভাবে রক্ষা এবং আন্তঃরাষ্ট্র সীমান্ত অপরাধ শুন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে হলে এবং জাতীয় রাজস্ব আয় ফাঁকি প্রতিরোধ করতে হলে জাতীয় সংসদকে নিম্ন বর্ণিত পরামর্শসমূহকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে।

মহান জাতীয় সংসদকে প্রদত্ত পরামর্শ-

১. বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দশ মাইল পর্যন্ত সীমান্ত এলাকা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সম্পত্তি ঘোষণা করা।

২. ঘোষণার ফলে ক্ষতিগ্রন্থ সব ব্যক্তিগত সম্পত্তির মালিকদের ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করে সমমূল্যের সরকারি খাস সম্পত্তি হতে তাদের বরাদ্দ প্রদান।

৩. বাংলাদেশের সীমান্ত লাইন থেকে আট কিলোমিটার ভূমি সম্পূর্ণ ফাঁকা এবং সমান থাকবে। যেন এই আট কিলোমিটার প্রতিটি ইঞ্চি ৮ কিলোমিটার দূর থেকে পরিস্কার দেখা যায়।

৪. সীমান্ত রেখা থেকে ৮-১০ কিলোমিটার মধ্যবর্তী স্থান বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের যাবতীয় স্থাপনা, প্রশিক্ষণসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ডের জন্য সংরক্ষিত রাখা।

এই রায় ও আদেশের অনুলিপি অধস্তন আদালতের সব বিচারককে ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠানোর জন্য রেজিষ্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ প্রদান করা হয়। রায় ও আদেশের অনুলিপি মহাপরিচালক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠানোর জন্য রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ প্রদান করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রায় ও আদেশের অনুলিপি সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠানোর জন্য রেজিষ্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ প্রদান করা হয়।

রায়ে বলা হয়, এ রায় ও আদেশের অনুলিপি জাতীয় সংসদের সকল সম্মানিত সংসদ সদস্যকে ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠানোর জন্য রেজিষ্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ প্রদান করা হলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সীমান্ত রেখা থেকে ৮ কি.মি. সম্পূর্ণ ফাঁকা রাখাসহ সংসদকে ৪ পরামর্শ হাইকোর্টের

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:১১:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪

বাংলাদেশের সীমান্ত নিরাপত্তা কার্যকারভাবে রক্ষা এবং আন্তঃরাষ্ট্র সীমান্ত অপরাধ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে এবং জাতীয় রাজস্ব আয় ফাঁকি প্রতিরোধ করতে সীমান্ত রেখা থেকে দেশের অভ্যান্তরে মশ মাইল বিজিবির সম্পত্তি ঘোষণা করা এবং সীমান্ত রেখা থেকে আট কিলোমিটার জমি সম্পূর্ণ ফাঁকা ও সমান রাখাসহ সংসদকে চার পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের একটি একক বেঞ্চ এক মামলার রায়ে এই পরামর্শ দিয়েছেন। ১৯৮৭ সালে চোরাচালানবিরোধী অভিযানে যশোর সীমান্তে ভারতীয় শাড়ি উদ্ধারের ঘটনায় বিজিবির দায়ের করা মামলায় আসামি জাকির হোসেনকে ৩ বছরের সাজা থেকে খালাসের রায়ে এ পরামর্শ এসেছে। শনিবার (১৩ জুলাই) এই রায় প্রকাশ করা হয়েছে।

আদালত রায়ে বলেছেন, বাংলাদেশের সীমান্ত নিরাপত্তা কার্যকারভাবে রক্ষা এবং আন্তঃরাষ্ট্র সীমান্ত অপরাধ শুন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে হলে এবং জাতীয় রাজস্ব আয় ফাঁকি প্রতিরোধ করতে হলে জাতীয় সংসদকে নিম্ন বর্ণিত পরামর্শসমূহকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে।

মহান জাতীয় সংসদকে প্রদত্ত পরামর্শ-

১. বাংলাদেশের অভ্যন্তরে দশ মাইল পর্যন্ত সীমান্ত এলাকা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সম্পত্তি ঘোষণা করা।

২. ঘোষণার ফলে ক্ষতিগ্রন্থ সব ব্যক্তিগত সম্পত্তির মালিকদের ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করে সমমূল্যের সরকারি খাস সম্পত্তি হতে তাদের বরাদ্দ প্রদান।

৩. বাংলাদেশের সীমান্ত লাইন থেকে আট কিলোমিটার ভূমি সম্পূর্ণ ফাঁকা এবং সমান থাকবে। যেন এই আট কিলোমিটার প্রতিটি ইঞ্চি ৮ কিলোমিটার দূর থেকে পরিস্কার দেখা যায়।

৪. সীমান্ত রেখা থেকে ৮-১০ কিলোমিটার মধ্যবর্তী স্থান বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের যাবতীয় স্থাপনা, প্রশিক্ষণসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ডের জন্য সংরক্ষিত রাখা।

এই রায় ও আদেশের অনুলিপি অধস্তন আদালতের সব বিচারককে ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠানোর জন্য রেজিষ্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ প্রদান করা হয়। রায় ও আদেশের অনুলিপি মহাপরিচালক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠানোর জন্য রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ প্রদান করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রায় ও আদেশের অনুলিপি সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠানোর জন্য রেজিষ্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ প্রদান করা হয়।

রায়ে বলা হয়, এ রায় ও আদেশের অনুলিপি জাতীয় সংসদের সকল সম্মানিত সংসদ সদস্যকে ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠানোর জন্য রেজিষ্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ প্রদান করা হলো।