ঢাকা ১০:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রুণু দত্ত আর নেই

বাংলা টাইমস ডেস্ক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:১৮:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪ ১৩৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জনপ্রিয় রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রুণু দত্ত মারা গেছেন। সোশাল মিডিয়ায় শিল্পীর ছবি পোস্ট করে দুঃসংবাদ জানালেন সঙ্গীত পরিচালক দেবজ্যোতি মিশ্র। সঙ্গে শেয়ার করলেন ঋতুপর্ণ ঘোষের গানের ওপার ধারাবাহিকে স্মৃতি। যেখানে মেন্টার হিসেবে ছিলেন রুণু দত্ত। বহুদিন ধরেই ক্যানসারে ভুগছিলেন শিল্পী।

দেবজ্যোতি মিশ্র সোশাল মিডিয়ায় লিখলেন, ”রুণুদি চলে গেলেন, রুণু দত্ত।শ্রাবণী খবরটা দিল । আমার মনটা এক মুহুর্তে চলে গেল সেই ‘গানের ওপারে’র দিন গুলোতে। রবীন্দ্রনাথের গান নিয়ে করা একটা অসম্ভব ইম্পর্ট্যান্ট কাজ ঋতু, ঋতুপর্ণ আর আমার। যখন করে ছিলাম তখন বুঝতে পারিনি কিন্তু পরবর্তী সময়ে বহু মানুষ বলেছেন এর কথা।এবং এটা সম্ভব হয়ে ছিল যে দুজন মানুষের জন্য তারা শ্রাবণী এবং রুণুদি ।রুণুদি ছিলেন সুমিত্রা সেনের একেবারে প্রথম তিনজন ছাত্রীর একজন।”

দেবজ্যোতি লিখলেন, ”গানের ওপারেতে ছিল গোরা র মত চরিত্র। তার গান গাওয়ার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল সমন্ত্যক কে। কিন্তু ও তখন পুরোপুরি রকে মজে। ইংরাজী এবং বাংলা রকই ছিল ওর বিশেষত্ব। সে অবস্থায় কাজ করতে শুরু করেছিল আমার সঙ্গে।অসম্ভব ভাল গলা ওর। কিন্তু ওকে তো রবীন্দ্রনাথের গান শিখতে হবে ।রুণু দির কাছে পাঠানো হল ওকে । রুণু দির আনন্দ পালিতের বাড়িতে গিয়ে ও গান শিখতো , ওকে তিনি নিজে হাতে তৈরি করলেন সেই গান গাওয়ার জন্য।তারপর ভাঙাভাঙি টা আমি করেছিলাম, কিন্তু রুণুদির হাতে গড়া ওই জিনিস না পেলে তো আমি ভাঙতে পারতাম না । এরপর এক দিন রুণু দিকেই আমরা বেছে নিয়েছিলাম ঠাম্মির , অলকনন্দা রায় এর লিপে গান গুলো গাওয়ার জন্য । মাঝখানে দীর্ঘ বিরতির পর রুণু দির সঙ্গে আবার দেখা হয়েছিল ২০১৫ য় যখন ‘গানের ওপারে’র অ্যালবাম লঞ্চ হলো। কি আনন্দিত , কি উজ্জ্বল ছিলেন রুণুদি। আজ মনে হচ্ছে প্রত্যাশাবিহীন ভাবে এঁদের মতন মানুষেরা কি অবলীলায় দিয়ে যেতেন, ক্রমাগত, দিয়ে যেতে পারতেন। আমরাও নির্দ্বিধায় আবদার করে যেতে পারতাম । এরকম আবদার রাখার লোক আর রইলনা। লাংস ক্যান্সারে ভুগছিলেন। কতটুকু খোঁজ নিতে পেরেছি বা নিয়েছি? এই কষ্ট আমার সঙ্গে থেকে যাবে। আমি নিজেকে ক্ষমা করতে পারব না। আজ রুণুদি আর নেই,শ্রাবণী বলেছে , কিন্তু আমি নিজেকে বোঝাই কিকরে?”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রুণু দত্ত আর নেই

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:১৮:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪

জনপ্রিয় রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রুণু দত্ত মারা গেছেন। সোশাল মিডিয়ায় শিল্পীর ছবি পোস্ট করে দুঃসংবাদ জানালেন সঙ্গীত পরিচালক দেবজ্যোতি মিশ্র। সঙ্গে শেয়ার করলেন ঋতুপর্ণ ঘোষের গানের ওপার ধারাবাহিকে স্মৃতি। যেখানে মেন্টার হিসেবে ছিলেন রুণু দত্ত। বহুদিন ধরেই ক্যানসারে ভুগছিলেন শিল্পী।

দেবজ্যোতি মিশ্র সোশাল মিডিয়ায় লিখলেন, ”রুণুদি চলে গেলেন, রুণু দত্ত।শ্রাবণী খবরটা দিল । আমার মনটা এক মুহুর্তে চলে গেল সেই ‘গানের ওপারে’র দিন গুলোতে। রবীন্দ্রনাথের গান নিয়ে করা একটা অসম্ভব ইম্পর্ট্যান্ট কাজ ঋতু, ঋতুপর্ণ আর আমার। যখন করে ছিলাম তখন বুঝতে পারিনি কিন্তু পরবর্তী সময়ে বহু মানুষ বলেছেন এর কথা।এবং এটা সম্ভব হয়ে ছিল যে দুজন মানুষের জন্য তারা শ্রাবণী এবং রুণুদি ।রুণুদি ছিলেন সুমিত্রা সেনের একেবারে প্রথম তিনজন ছাত্রীর একজন।”

দেবজ্যোতি লিখলেন, ”গানের ওপারেতে ছিল গোরা র মত চরিত্র। তার গান গাওয়ার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল সমন্ত্যক কে। কিন্তু ও তখন পুরোপুরি রকে মজে। ইংরাজী এবং বাংলা রকই ছিল ওর বিশেষত্ব। সে অবস্থায় কাজ করতে শুরু করেছিল আমার সঙ্গে।অসম্ভব ভাল গলা ওর। কিন্তু ওকে তো রবীন্দ্রনাথের গান শিখতে হবে ।রুণু দির কাছে পাঠানো হল ওকে । রুণু দির আনন্দ পালিতের বাড়িতে গিয়ে ও গান শিখতো , ওকে তিনি নিজে হাতে তৈরি করলেন সেই গান গাওয়ার জন্য।তারপর ভাঙাভাঙি টা আমি করেছিলাম, কিন্তু রুণুদির হাতে গড়া ওই জিনিস না পেলে তো আমি ভাঙতে পারতাম না । এরপর এক দিন রুণু দিকেই আমরা বেছে নিয়েছিলাম ঠাম্মির , অলকনন্দা রায় এর লিপে গান গুলো গাওয়ার জন্য । মাঝখানে দীর্ঘ বিরতির পর রুণু দির সঙ্গে আবার দেখা হয়েছিল ২০১৫ য় যখন ‘গানের ওপারে’র অ্যালবাম লঞ্চ হলো। কি আনন্দিত , কি উজ্জ্বল ছিলেন রুণুদি। আজ মনে হচ্ছে প্রত্যাশাবিহীন ভাবে এঁদের মতন মানুষেরা কি অবলীলায় দিয়ে যেতেন, ক্রমাগত, দিয়ে যেতে পারতেন। আমরাও নির্দ্বিধায় আবদার করে যেতে পারতাম । এরকম আবদার রাখার লোক আর রইলনা। লাংস ক্যান্সারে ভুগছিলেন। কতটুকু খোঁজ নিতে পেরেছি বা নিয়েছি? এই কষ্ট আমার সঙ্গে থেকে যাবে। আমি নিজেকে ক্ষমা করতে পারব না। আজ রুণুদি আর নেই,শ্রাবণী বলেছে , কিন্তু আমি নিজেকে বোঝাই কিকরে?”