এইচএসসির স্থগিত হওয়া পরীক্ষা বাতিল
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:০৯:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ অগাস্ট ২০২৪ ৪২ বার পড়া হয়েছে
চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার স্থগিত হওয়া সব পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেলে এইচএসসি স্থগিত হওয়া বাকি পরীক্ষাগুলো বাতিলের সিদ্ধান্ত আসে। অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, অনেক পরীক্ষার্থী এখনো আহত, চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ কারণে অবশিষ্ট এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করা হলো। পরীক্ষার ফলাফলে মূল্যায়ন কীভাবে হবে তা পরে জানানো হবে।
এদিকে, নতুন করে আর এইচএসসি পরীক্ষা না নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশের দাবিতে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ে ঢুকে পড়ে শত শত পরীক্ষার্থী। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর জিরো পয়েন্টের দিকে সচিবালয়ের গেট দিয়ে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে ঢুকে পড়ে তারা।
এর আগে,মঙ্গলবার (২০ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সভাপাতিত্বে এক সভায় সিদ্ধান্ত হয়-চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার বাকি বিষয়গুলো অনুষ্ঠিত হবে অর্ধেক প্রশ্নত্তোরে। আর পরীক্ষা ১১ সেপ্টেম্বর থেকে আরো দুই সপ্তাহ পিছিয়ে যাবে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার সংবাদমাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়েছিলেন।
এর আগে স্থগিত হওয়া এইচএসসি পরীক্ষা ১১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরুর কথা জানিয়েছিলো শিক্ষা বোর্ড। সেই অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে এই সময়সূচি প্রকাশ করা হয়।
জানানো হয়, স্থগিত হওয়া এইচএসসি পরীক্ষা ১১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে। বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে এই সময়সূচি প্রকাশ করা হয়।
ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী এইচএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হবে ৮ অক্টোবর। আর ১৫ থেকে ২৩ অক্টোবর চলবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।
গত ১২ আগস্ট জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানোনা হয় এইচএসসি ও সমমানের স্থগিত পরীক্ষাগুলো পূর্ণ নম্বরেই নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩০ জুন সারাদেশে শুরু হয় এইচএসসি পরীক্ষা। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার কারণে ১৮, ২১, ২৩ ও ২৫, ২৮ জুলাই ও ১ ও ৪ আগস্টের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। সবশেষে ১১ আগস্ট থেকে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও প্রশ্নপত্র পুড়ে যাওয়ায় অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়। চলতি বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি বোর্ড ও মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন।