ঢাকা ০১:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে কলেজে কেউ পাশ করেনি, সেই কলেজে এখন গম চাষ

মোঃ বিপ্লব, রানীশংকৈল
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৪৫:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ ৪৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঠাকুরগাঁওয়ে রাণীশংকৈল উপজেলার গোগোর মহা বিদ্যালয়ে মাঠে এবার চলতি গম মৌসুমে গমের চাষ করা হয়েছে। এবার এইচএসসি পরীক্ষায় ৫ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করলেও একজনও পাশ করেনি।

সরেজমিনে দেখা যায়, মহাবিদ্যালয়ের মাঠ সীমানা প্রচীর দিয়ে ঘেরা। কলেজটির ভবনের বারান্দা ঘেঁষে শুরু হওয়া বেশ গমের চারায় প‚র্ণ। সীমানা প্রাচীরের ভেতরের মাঠটি দেখলে মনে হবে কোনো আবাদি জমি। দক্ষিণ পাশে থাকা ঘেঁষেই স্বল্প জায়গা রাখা হয়েছে ভবনে প্রবেশের জন্য ।

স্থানীয় কিছু মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, শিক্ষাগ্রহণের পাশাপাশি বিদ্যালয়ে যদি বিনোদনের ব্যবস্থা না থাকে তাহলে ছাত্র ছাত্রী উৎসাহীত হয় না। কিন্তু এখানে সহপাঠীদের সঙ্গে খেলার মাঠটুকুও নেই। এ কারণে আমাদের সন্তানসহ এলাকার কলেজ পড়ুয়া অনেক এই কলেজ ভর্তি হতে চায় না ।

জানা যায়, ১৯৯৯ সালে শিক্ষানুরাগী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বিদ্যালয়ে ২. একর জমি দান করে। তবে সম্প্রতি গমের চাষাবাদ করাহয় মাঠের অংশটুকু সেখানে চাষ শুরু করেছেন তারা।

বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার জমির গম চাষকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি।
গোগোর মহাবিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ মুঠোফোনে বলেন,কলেজের বিল বেতন নাই শিক্ষকরাও সেখানে থাকতে চায় না এজন্য কলেজের মাঠে ৩য় শ্রেনীর কর্মচারীরা সেখানে গম চাষ করছে।

রাণীশংকৈল উপজেল মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তোবার হুসেন বলেন আমি ঐ কলেজ বিষয়ে কিছু যানিনা তবে ঐ কলেজ থেকে কেও পাশ করেনি, তাছাড়া একটি বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরের ভেতরে চাষাবাদ কখনোই কাম্য নয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

যে কলেজে কেউ পাশ করেনি, সেই কলেজে এখন গম চাষ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৪৫:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫

ঠাকুরগাঁওয়ে রাণীশংকৈল উপজেলার গোগোর মহা বিদ্যালয়ে মাঠে এবার চলতি গম মৌসুমে গমের চাষ করা হয়েছে। এবার এইচএসসি পরীক্ষায় ৫ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করলেও একজনও পাশ করেনি।

সরেজমিনে দেখা যায়, মহাবিদ্যালয়ের মাঠ সীমানা প্রচীর দিয়ে ঘেরা। কলেজটির ভবনের বারান্দা ঘেঁষে শুরু হওয়া বেশ গমের চারায় প‚র্ণ। সীমানা প্রাচীরের ভেতরের মাঠটি দেখলে মনে হবে কোনো আবাদি জমি। দক্ষিণ পাশে থাকা ঘেঁষেই স্বল্প জায়গা রাখা হয়েছে ভবনে প্রবেশের জন্য ।

স্থানীয় কিছু মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, শিক্ষাগ্রহণের পাশাপাশি বিদ্যালয়ে যদি বিনোদনের ব্যবস্থা না থাকে তাহলে ছাত্র ছাত্রী উৎসাহীত হয় না। কিন্তু এখানে সহপাঠীদের সঙ্গে খেলার মাঠটুকুও নেই। এ কারণে আমাদের সন্তানসহ এলাকার কলেজ পড়ুয়া অনেক এই কলেজ ভর্তি হতে চায় না ।

জানা যায়, ১৯৯৯ সালে শিক্ষানুরাগী ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বিদ্যালয়ে ২. একর জমি দান করে। তবে সম্প্রতি গমের চাষাবাদ করাহয় মাঠের অংশটুকু সেখানে চাষ শুরু করেছেন তারা।

বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার জমির গম চাষকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি।
গোগোর মহাবিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ মুঠোফোনে বলেন,কলেজের বিল বেতন নাই শিক্ষকরাও সেখানে থাকতে চায় না এজন্য কলেজের মাঠে ৩য় শ্রেনীর কর্মচারীরা সেখানে গম চাষ করছে।

রাণীশংকৈল উপজেল মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তোবার হুসেন বলেন আমি ঐ কলেজ বিষয়ে কিছু যানিনা তবে ঐ কলেজ থেকে কেও পাশ করেনি, তাছাড়া একটি বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরের ভেতরে চাষাবাদ কখনোই কাম্য নয়।