মওলানা ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:২৪:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪ ৩০ বার পড়া হয়েছে
মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১৭ নভেম্বর। ১৯৭৬ সালের এই দিনে ঢাকার তৎকালীন পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। টাঙ্গাইলের সন্তোষে তাকে সমাহিত করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে টাঙ্গাইলে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
রোববার (১৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় সন্তোষে মওলানা ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডক্টর মোঃ আনোয়ারুল আজীম আখন্দ।
এরপর মাওলানা ভাসানীর পরিবার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-শিক্ষার্থী, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও মাওলানা ভাসানীর ভক্ত অনুসারীরা মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং মোনাজাত করেন।
দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা, ওরশ ও দোয়া মাহফিল এবং এতিম খানা ও দুঃস্থদের মাঝে খাবার পরিবেশন করা হবে।
আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাকনাম ছিল চেগা মিয়া। তবে তিনি লাল মওলানা হিসেবেও সমধিক পরিচিত। সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও জীবনের সিংহভাগই টাঙ্গাইলের সন্তোষে কাটিয়েছেন তিনি।
মওলানা ভাসানী কৈশোর-যৌবন থেকে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন তৎকালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট গঠনকারী প্রধান নেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে গঠিত প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতি ছিলেন তিনি।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অধিকারবঞ্চিত, অবহেলিত ও মেহনতি মানুষের অধিকার ও স্বার্থরক্ষায় সংগ্রাম করেছেন মওলানা ভাসানী। জাতীয় সংকটে জনগণকে পাশে নিয়ে গড়ে তুলতেন দুর্বার আন্দোলন। ক্ষমতার কাছে থাকলেও ক্ষমতার মোহ তাকে কখনও আবিষ্ট করেনি।
ব্যক্তিজীবনেও ছিলেন নির্মোহ, অনাড়ম্বর ও অত্যন্ত সাদাসিধে। তিনি সবসময় ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছেন।
বাঙালি জাতিসত্তা বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন মওলানা ভাসানী।