ঢাকা ১০:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রংপুরে মেট্রোপলিটান পুলিশের প্রতীষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে আইজিপি ময়নুল

হত্যায় জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে

রংপুর প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৪৪:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪ ৬ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পুলিশের আইজিপি ময়নুল ইসলাম বলেছেন, জুলাই-আগষ্ট-এ ছাত্র-জনতার গণ অভুত্থানে নিহত শহীদদের যারা গুলি করে হত্যা করেছে স্বেরাচারের দোসরসহ পুলিশের যে সব কর্মকর্তা জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে। কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে না । যতবড় ক্ষমতাধর হোক না কেন তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হবে।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশের ৬ষ্ঠ প্রতীষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্ত্যব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের সবচেয়ে কষ্ট স্বৈরাচারী সরকার কতিপয় পুলিশ সদস্যদর ব্যাবহার করে সারাদেশে গুম হত্যা লুট করেছে তাদের কাউকেই ছাড়া হবে না।

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্ময়কারী সারজিস আলম জাতীয় পার্টিকে সংলাপে না ডাকার বিরোধীতা করায় তাকে রংপুরে জাতীয় পার্টি অবাঞ্চিত ঘোষণার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে জাপার নাম উল্লেখ না করে বলেন, এই আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিষ্ট করার জন্য বাংলাদেশের কিছু রাজনৈতিক দল প্রত্যাক্ষ পরোক্ষভাবে ১৬ বছর ধরে সংসদ থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি জায়গায় বৈধতা দেবার চেষ্টা করেছে।

রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে বলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন মনে করে রাষ্ট্রপতি আগে যে কথাটি তার মুখ দিয়ে বলেছেন এটি বাংলাদেশের সকল মানুষ যারা অভুত্থান ঘটিয়েছে তারা এটা শুনতে চায় না। আমরা মনে করি ফ্যাসিষ্টর কোন দোসর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করার কোন অধিকার নেই। এবং তিনি ওই কথার মাধ্যমে তার সকল অধিকার আগেও হারিয়েছেন এখন তিনি সেটি আবার প্রমান করেছেন।

সারজিদ আলম বলেন, আমরা আমাদের জায়গা থেকে বলেছি অবশ্যই সকল রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। রাজনৈতিক দলগুলো যদি একমত হয় তবে এই জায়গায় বাংলাদেশে কোন অপশক্তি তাকে ওই পদে বসিয়ে রাখতে পারবে না। সে জন্য বিগত দুদিন ধরে বিভি ন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে আমরা একাধিকবার আলোচনায় বসেছি আজকেও একটি দলের সাথে আলোচনা হয়েছে। আমরা অতিদ্রুত সময়ে সকল রাজনৈতিক দলের সমর্থন নিয়ে ফ্যাসিষ্টদের দোসর যিনি দেশের দায়িত্বপূর্ণ পদে বসে আছেন তাকে অপসারণের মাধ্যমে পুরো বাংলাদেশের মানুষের সম্মতিতে একজন ব্যাক্তিত্বপূর্ণ মানুষকে সেখানে বসাবো। যিনি ২৪ এরঅভুত্থানের স্পিরিটকে ধারন করে বাংলাদেশকে জনগনের প্রত্যাশার জায়গায় নিয়ে যাবে।

অনুষ্ঠানে রংপুর রেজ্ঞের ডিআইজি আমিনুল ইসলাম বলেন, স্বৈরাচারী সরকার ছাত্রলীগ নামের নিষিদ্ধ ঘোষিণত সংগঠনের নেতা কর্মীদের প্রত্যান্ত গ্রামের চৌকিদার থেকে শুরু করে দেশের সকল পর্যায়ে তারা এখন দাপটের সাথে অবস্থান করছে শেখ হাসিনার সাথে সাথে তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনতে হবে।

বেরোবির শিক্ষার্থী শহীদ আবু তাহের বড় ভাই আবু হোসেন কান্না বিজরিত কন্ঠে দাবি করেন তার ভাই আবু সাইদকে যারা গুলি করে হত্যা করেছে। সেই সাথে প্রত্যাক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে তাদের সহযোগীতা করেছে তাদেরকেও আইনের আনতে হবে সেই সাথে দ্রæত বিচার শুরু করার দাবি জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শহীদ আবু সাইদের মা মনোয়ারা বেগম। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী , লেঃ কর্নেল মাসুদ রংপুরে পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন , জেলা প্রশাসক রবিউল ফয়সাল, রংপুর মহানগর বিএনপির আহবায়ক শামসুজ্জামান শামু, জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে সুরার সদস্য মাহবুবার রহমান বেলাল সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানের শেষে রংপুরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদ ১০টি পরিবারকে পুলিশের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করা হয়।

এর আগে পুলিশের আইজিপি রংপুরের পীরগজ্ঞ উপজেলার বাবনুপুর গ্রামে শহীদ আবু সাইদের কবর জিয়ারত ও ফাতেহা পাঠ করেন পরে তিনি নিহত আবু সাইদের পরিবারের সাথে কথা বলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

রংপুরে মেট্রোপলিটান পুলিশের প্রতীষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে আইজিপি ময়নুল

হত্যায় জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৪৪:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

পুলিশের আইজিপি ময়নুল ইসলাম বলেছেন, জুলাই-আগষ্ট-এ ছাত্র-জনতার গণ অভুত্থানে নিহত শহীদদের যারা গুলি করে হত্যা করেছে স্বেরাচারের দোসরসহ পুলিশের যে সব কর্মকর্তা জড়িত সবাইকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে। কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে না । যতবড় ক্ষমতাধর হোক না কেন তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হবে।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশের ৬ষ্ঠ প্রতীষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্ত্যব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের সবচেয়ে কষ্ট স্বৈরাচারী সরকার কতিপয় পুলিশ সদস্যদর ব্যাবহার করে সারাদেশে গুম হত্যা লুট করেছে তাদের কাউকেই ছাড়া হবে না।

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্ময়কারী সারজিস আলম জাতীয় পার্টিকে সংলাপে না ডাকার বিরোধীতা করায় তাকে রংপুরে জাতীয় পার্টি অবাঞ্চিত ঘোষণার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে জাপার নাম উল্লেখ না করে বলেন, এই আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিষ্ট করার জন্য বাংলাদেশের কিছু রাজনৈতিক দল প্রত্যাক্ষ পরোক্ষভাবে ১৬ বছর ধরে সংসদ থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি জায়গায় বৈধতা দেবার চেষ্টা করেছে।

রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে বলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন মনে করে রাষ্ট্রপতি আগে যে কথাটি তার মুখ দিয়ে বলেছেন এটি বাংলাদেশের সকল মানুষ যারা অভুত্থান ঘটিয়েছে তারা এটা শুনতে চায় না। আমরা মনে করি ফ্যাসিষ্টর কোন দোসর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করার কোন অধিকার নেই। এবং তিনি ওই কথার মাধ্যমে তার সকল অধিকার আগেও হারিয়েছেন এখন তিনি সেটি আবার প্রমান করেছেন।

সারজিদ আলম বলেন, আমরা আমাদের জায়গা থেকে বলেছি অবশ্যই সকল রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। রাজনৈতিক দলগুলো যদি একমত হয় তবে এই জায়গায় বাংলাদেশে কোন অপশক্তি তাকে ওই পদে বসিয়ে রাখতে পারবে না। সে জন্য বিগত দুদিন ধরে বিভি ন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে আমরা একাধিকবার আলোচনায় বসেছি আজকেও একটি দলের সাথে আলোচনা হয়েছে। আমরা অতিদ্রুত সময়ে সকল রাজনৈতিক দলের সমর্থন নিয়ে ফ্যাসিষ্টদের দোসর যিনি দেশের দায়িত্বপূর্ণ পদে বসে আছেন তাকে অপসারণের মাধ্যমে পুরো বাংলাদেশের মানুষের সম্মতিতে একজন ব্যাক্তিত্বপূর্ণ মানুষকে সেখানে বসাবো। যিনি ২৪ এরঅভুত্থানের স্পিরিটকে ধারন করে বাংলাদেশকে জনগনের প্রত্যাশার জায়গায় নিয়ে যাবে।

অনুষ্ঠানে রংপুর রেজ্ঞের ডিআইজি আমিনুল ইসলাম বলেন, স্বৈরাচারী সরকার ছাত্রলীগ নামের নিষিদ্ধ ঘোষিণত সংগঠনের নেতা কর্মীদের প্রত্যান্ত গ্রামের চৌকিদার থেকে শুরু করে দেশের সকল পর্যায়ে তারা এখন দাপটের সাথে অবস্থান করছে শেখ হাসিনার সাথে সাথে তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনতে হবে।

বেরোবির শিক্ষার্থী শহীদ আবু তাহের বড় ভাই আবু হোসেন কান্না বিজরিত কন্ঠে দাবি করেন তার ভাই আবু সাইদকে যারা গুলি করে হত্যা করেছে। সেই সাথে প্রত্যাক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে তাদের সহযোগীতা করেছে তাদেরকেও আইনের আনতে হবে সেই সাথে দ্রæত বিচার শুরু করার দাবি জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শহীদ আবু সাইদের মা মনোয়ারা বেগম। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী , লেঃ কর্নেল মাসুদ রংপুরে পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন , জেলা প্রশাসক রবিউল ফয়সাল, রংপুর মহানগর বিএনপির আহবায়ক শামসুজ্জামান শামু, জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে সুরার সদস্য মাহবুবার রহমান বেলাল সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানের শেষে রংপুরে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদ ১০টি পরিবারকে পুলিশের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করা হয়।

এর আগে পুলিশের আইজিপি রংপুরের পীরগজ্ঞ উপজেলার বাবনুপুর গ্রামে শহীদ আবু সাইদের কবর জিয়ারত ও ফাতেহা পাঠ করেন পরে তিনি নিহত আবু সাইদের পরিবারের সাথে কথা বলেন।