ঢাকা ০৯:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চড়া চালের বাজার, নাগালে আসছে না সবজি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:২৭:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ১৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজধানীর বাজারগুলোয় শীতকালীন সবজির সরবরাহ  বেড়েছে । ফলে সবজির বাজারের অস্থিরতা কিছুটা কমেছে। সবজিতে স্বস্তি ফিরলেও অস্বস্তি বাড়িয়েছে আলু ও পেঁয়াজ। এখনো ক্রেতাদের নাগালের বাইরে দ্রব্যমূল্যের দাম।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ারবাজারসহ বেশ কিছু এলাকার বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

সরজেমিন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দোকানগুলোতে শীতের সবজির পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। শাকের দাম নাগালের মধ্যে। বেশিরভাগ সবজিই ৫০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত সবজি আসতে শুরু করেছে। ফলে বেশিরভাগ সবজির দাম কমেছে। তবে নতুন আলু না আসা পর্যন্ত পুরোনো আলুর দাম বাড়তি থাকবে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন।

কারওয়ান বাজার, মহাখালী কাঁচাবাজার ও কাপ্তান বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৭০-৮০ টাকা, করলা ৬০-৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, লতি ৬০-৭০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ টাকা ও পটোল ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, গাজর ১৪০ টাকা, কচুরমুখী ৭০-৮০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা, শিম ৮০-১০০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়।

প্রতি কেজি ধনেপাতা ৬০-৮০ টাকা, পেঁয়াজের কালি ৬০ টাকা ও চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। আর মানভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা এবং লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা।

এদিকে, সবজির মতো মাছের বাজারে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। কেজিতে ৩০ টাকা কমে প্রতি কেজি পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। কেজিতে ২০ টাকা কমে প্রতি কেজি তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, যা এক সপ্তাহে আগেও বিক্রি হয়েছিল ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা পর্যন্ত। প্রতি কেজি রুই বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়।

মুরগির দামও কমেছে। বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় এবং সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে। অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। প্রতি কেজি খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায়।

সবজি, মাংস ও মাছের দাম কমলেও চড়া চালের বাজার। সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, বাজারে মোটা চালের দর কেজিতে ৫২-৫৫ টাকা, আর চিকন চাল ৬৮-৮০ টাকা। এক মাসের ব্যবধানে মোটা ও চিকন চালের দাম বেড়েছে যথাক্রমে ১.৯ শতাংশ ও ২.৭৮ শতাংশ।

বিক্রেতারা জানান, আমন ধান ওঠা শুরু হলে বাজারে দাম কমতে শুরু করবে। বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট ৭০-৭২ টাকা, আটাশ ৬০-৬২ টাকা, নাজিরশাইল ৭৬-৮২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

চড়া চালের বাজার, নাগালে আসছে না সবজি

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:২৭:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

রাজধানীর বাজারগুলোয় শীতকালীন সবজির সরবরাহ  বেড়েছে । ফলে সবজির বাজারের অস্থিরতা কিছুটা কমেছে। সবজিতে স্বস্তি ফিরলেও অস্বস্তি বাড়িয়েছে আলু ও পেঁয়াজ। এখনো ক্রেতাদের নাগালের বাইরে দ্রব্যমূল্যের দাম।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ারবাজারসহ বেশ কিছু এলাকার বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

সরজেমিন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দোকানগুলোতে শীতের সবজির পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। শাকের দাম নাগালের মধ্যে। বেশিরভাগ সবজিই ৫০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত সবজি আসতে শুরু করেছে। ফলে বেশিরভাগ সবজির দাম কমেছে। তবে নতুন আলু না আসা পর্যন্ত পুরোনো আলুর দাম বাড়তি থাকবে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন।

কারওয়ান বাজার, মহাখালী কাঁচাবাজার ও কাপ্তান বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৭০-৮০ টাকা, করলা ৬০-৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, লতি ৬০-৭০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ টাকা ও পটোল ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, গাজর ১৪০ টাকা, কচুরমুখী ৭০-৮০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা, শিম ৮০-১০০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়।

প্রতি কেজি ধনেপাতা ৬০-৮০ টাকা, পেঁয়াজের কালি ৬০ টাকা ও চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়। আর মানভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা এবং লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৫০-৭০ টাকা।

এদিকে, সবজির মতো মাছের বাজারে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। কেজিতে ৩০ টাকা কমে প্রতি কেজি পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। কেজিতে ২০ টাকা কমে প্রতি কেজি তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, যা এক সপ্তাহে আগেও বিক্রি হয়েছিল ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা পর্যন্ত। প্রতি কেজি রুই বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়।

মুরগির দামও কমেছে। বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায় এবং সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে। অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। প্রতি কেজি খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায়।

সবজি, মাংস ও মাছের দাম কমলেও চড়া চালের বাজার। সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, বাজারে মোটা চালের দর কেজিতে ৫২-৫৫ টাকা, আর চিকন চাল ৬৮-৮০ টাকা। এক মাসের ব্যবধানে মোটা ও চিকন চালের দাম বেড়েছে যথাক্রমে ১.৯ শতাংশ ও ২.৭৮ শতাংশ।

বিক্রেতারা জানান, আমন ধান ওঠা শুরু হলে বাজারে দাম কমতে শুরু করবে। বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট ৭০-৭২ টাকা, আটাশ ৬০-৬২ টাকা, নাজিরশাইল ৭৬-৮২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।