সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:০৬:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪ ১৭৫ বার পড়া হয়েছে
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সেই সাথে তার সম্পদ কেনার ৮৩টি দলিল জব্দেরও আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আদেশ অনুযায়ী ২৭টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ আর্থিক লেনদেনকারী ৩৩টি অ্যাকাউন্ট জব্দ থাকবে। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত এই আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এই এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল এক সংবাদ সম্মেলনে দু’দক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন জানিয়েছিলেন, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে গত ৩১ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। যা পরবর্তী সময়ে আরো কিছু গণমাধ্যমে একই ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে উঠে আসা অভিযোগগুলোর বিষয়ে দু’দক আইন অনুযায়ী কার্যক্রম শুরু করেছে।
সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় দাবি করা হয়, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক ও র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই আলোচনায় আসেন পুলিশের সাবেক এই কর্মকর্তা।
‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়, যেখানে বেনজিরের নানা অর্থ-সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হয়। তার বিপুল সম্পদের মধ্যে রয়েছে গোপালগঞ্জে সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামের এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র। সাবেক এই আইজিপির স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে অন্তত ৬টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ্য, ঢাকার অভিজাত এলাকায় সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি, ঢাকার অদূরে বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানে রয়েছে দুই লাখ শেয়ার। এ ছাড়া পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি। যার আনুমানিক মূল্য ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি।
অথচ, ৩৪ বছর ৭ মাসের চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদ বেতন-ভাতা বাবদ আয় করেছেন এক কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকা। বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।