ঢাকা ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষার্থীকে মেরে হাসপাতালে পাঠালো ছাত্রলীগ নেতা

মাসুদ রানা, পাবনা
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:৩৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪ ৪৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এক নেতা। ওই নেতার নাম রাসেল হোসেন রিয়াদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক উপ-স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম গোলাম কিবরিয়া। তিনি সমাজকর্ম বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটির সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন। সোমবার (১৫ জুলাই) রাত তিনটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী গোলাম কিবরিয়া জানান, রাসেল হোসেন রিয়াদ এবং তিনি দীর্ঘদিন ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৪০৭ নাম্বার রুমে থাকেন। হলের রিডিং রুমে পড়াশোনার জন্য প্রতিদিন রাতে দুইটা-তিনটার দিকে তিনি রুমে আসেন। সোমবার রাত ৩টায় হলের রিডিং রুম থেকে পড়াশোনা করে রুমে আসেন। এরপর রুমের বাইরে গিয়ে পাঁচ মিনিট পরে রুমে আসলে দেখেন রুমের দরজা বন্ধ। এরপর দরজা খোলার জন্য দরজায় আঘাত করতে থাকলে এক পর্যায়ে রুমের দরজা খুলে রাসেল হোসেন রিয়াদ তাঁর দিকে তেড়ে আসেন। তখন রুমের সামনে থাকা জুতা তুলে নিয়ে কিবরিয়াকে হাত এবং জুতা দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে কিবরিয়ার নাক ফেটে রক্ত বের হলে তিনি দৌড়ে ৩০৪ নাম্বার রুমে চলে আসেন। এ সময় রাসেল তার ফোনও ভেঙে ফেলেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী গোলাম কিবরিয়া বলেন, তিনি প্রায় সময়ই রুমে রান্না করা নিয়ে, রুমে কথা বলা নিয়ে, লাইট জ্বালানো নিয়ে সমস্যা করতেন। মাঝখানে উনি আমাকে রুম ছেড়ে দিতে বলছেন। এর আগে ৪০৭ নাম্বার রুমে বাংলা বিভাগের এক জুনিয়রকে দা নিয়ে তাড়িয়ে বের করে দিয়েছেন।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা রাসেল হোসেন রিয়াদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো করেছে এগুলো সত্য নয়। কিবরিয়া অধিক রাত পর্যন্ত রুমের বাইরে থাকে।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবু বলেন, ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ দিলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামাল হোসেন এ বিষয়ে বলেন, আমি হাসপাতালে গিয়ে দেখে এসেছি। হাসপাতাল থেকে ক্যাম্পাসে ফিরলে আমরা এটা নিয়ে বসবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

শিক্ষার্থীকে মেরে হাসপাতালে পাঠালো ছাত্রলীগ নেতা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:৩৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এক নেতা। ওই নেতার নাম রাসেল হোসেন রিয়াদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক উপ-স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম গোলাম কিবরিয়া। তিনি সমাজকর্ম বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটির সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন। সোমবার (১৫ জুলাই) রাত তিনটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী গোলাম কিবরিয়া জানান, রাসেল হোসেন রিয়াদ এবং তিনি দীর্ঘদিন ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৪০৭ নাম্বার রুমে থাকেন। হলের রিডিং রুমে পড়াশোনার জন্য প্রতিদিন রাতে দুইটা-তিনটার দিকে তিনি রুমে আসেন। সোমবার রাত ৩টায় হলের রিডিং রুম থেকে পড়াশোনা করে রুমে আসেন। এরপর রুমের বাইরে গিয়ে পাঁচ মিনিট পরে রুমে আসলে দেখেন রুমের দরজা বন্ধ। এরপর দরজা খোলার জন্য দরজায় আঘাত করতে থাকলে এক পর্যায়ে রুমের দরজা খুলে রাসেল হোসেন রিয়াদ তাঁর দিকে তেড়ে আসেন। তখন রুমের সামনে থাকা জুতা তুলে নিয়ে কিবরিয়াকে হাত এবং জুতা দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে কিবরিয়ার নাক ফেটে রক্ত বের হলে তিনি দৌড়ে ৩০৪ নাম্বার রুমে চলে আসেন। এ সময় রাসেল তার ফোনও ভেঙে ফেলেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী গোলাম কিবরিয়া বলেন, তিনি প্রায় সময়ই রুমে রান্না করা নিয়ে, রুমে কথা বলা নিয়ে, লাইট জ্বালানো নিয়ে সমস্যা করতেন। মাঝখানে উনি আমাকে রুম ছেড়ে দিতে বলছেন। এর আগে ৪০৭ নাম্বার রুমে বাংলা বিভাগের এক জুনিয়রকে দা নিয়ে তাড়িয়ে বের করে দিয়েছেন।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা রাসেল হোসেন রিয়াদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো করেছে এগুলো সত্য নয়। কিবরিয়া অধিক রাত পর্যন্ত রুমের বাইরে থাকে।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম বাবু বলেন, ভুক্তভোগী লিখিত অভিযোগ দিলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কামাল হোসেন এ বিষয়ে বলেন, আমি হাসপাতালে গিয়ে দেখে এসেছি। হাসপাতাল থেকে ক্যাম্পাসে ফিরলে আমরা এটা নিয়ে বসবো।