‘মুজিবনগর দিবস’ বাঙালির পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্তির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন’
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৩০:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ১১০ বার পড়া হয়েছে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাঙালি জাতির পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্তির ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ।
বুধবার( ১৭ এপ্রিল) ঐতিহাসিক ‘ মুজিবনগর দিবস ’ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার( ১৬ এপ্রিল) দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে । কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতা- শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ, শহীদ মোহাম্মদ মনসুর আলী এবং শহীদ আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামানকে । শ্রদ্ধা জানাই মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ অকুতোভয় বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি এবং ২ লাখ সম্ভ্রমহারা নির্যাতিত মা- বোনদের প্রতি ।
তিনি বলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনের চ ‚ ড়ান্ত ফলাফলে আওয়ামী লীগ জাতীয় এবং প্রাদেশিক পরিষদে সংরক্ষিত মহিলা আসনসহ যথাক্রমে ১৬৭টি এবং ২৯৮টি আসনে জয়লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে । আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ৩ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সকল সংসদ সদস্য রেসকোর্স ময়দানে ৬- দফার ভিত্তিতে শাসনতন্ত্র প্রণয়নের শপথ গ্রহণ করেন । জাতিন জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এ সময় আমার দেশ তোমার দেশ, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ’ শ্লোগান দেন । তিনি ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে দীর্ঘ ২৩ বছরের শাসন- শোষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রদান করেন । তাঁর নির্দেশনাবলী সারা পূর্ব বাংলায় অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয় । তখন থেকেই সব প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম তার নির্দেশিত পথেই পরিচালিত হতে থাকে ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ স্বাধীনতার সাড়ে ৩ বছরের মাথায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে । এরপর ৩ নভেম্বর জেলখানায় মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চারনেতাকেও তারা নৃশংসভাবে হত্যা করে । সেই থেকে দীর্ঘ ২১ বছর বাংলাদেশে গণতন্ত্র ছিলনা । ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর আমরা জাতির পিতাসহ জাতীয় চারনেতা হত্যার বিচার করেছি । পরবর্তিতে ২০০৯ সালে পুনরায় সরকার গঠনের পর ‘ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল ’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানবতা বিরোধী অপরাধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি । সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ করেছি ।
গত সাড়ে পনের বছরে সরকার উন্নয়নের সকল সূচকে অভ ‚ তপূর্ব অগ্রগতি সাধন করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ আমরা দারিদ্র্যের হার ১৮ দশমিক ৭ শতাংশের নীচে নামিয়ে এনেছি । আমরা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে ‘ জিরো টলারেন্স নীতি ’ গ্রহণ করেছি । ইতোমধ্যেই বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করেছি । এবারে আমাদের লক্ষ্য ‘ স্মার্ট বাংলাদেশ ’ প্রতিষ্ঠা করা । ২০৩০ সালের মধ্যে ‘ টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ’ অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা- দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত- সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি । আমরা বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা- ২১০০ প্রণয়ন করেছি এবং তা বাস্তবায়ন করছি । ’