ঢাকা ০৪:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘মুজিবনগর দিবস’ বাঙালির পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্তির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন’

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৩০:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ১১০ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাঙালি জাতির পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্তির ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ।

বুধবার( ১৭ এপ্রিল) ঐতিহাসিক ‘ মুজিবনগর দিবস ’ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার( ১৬ এপ্রিল) দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে । কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতা- শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ, শহীদ মোহাম্মদ মনসুর আলী এবং শহীদ আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামানকে । শ্রদ্ধা জানাই মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ অকুতোভয় বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি এবং ২ লাখ সম্ভ্রমহারা নির্যাতিত মা- বোনদের প্রতি ।

তিনি বলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনের চ ‚ ড়ান্ত ফলাফলে আওয়ামী লীগ জাতীয় এবং প্রাদেশিক পরিষদে সংরক্ষিত মহিলা আসনসহ যথাক্রমে ১৬৭টি এবং ২৯৮টি আসনে জয়লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে । আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ৩ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সকল সংসদ সদস্য রেসকোর্স ময়দানে ৬- দফার ভিত্তিতে শাসনতন্ত্র প্রণয়নের শপথ গ্রহণ করেন । জাতিন জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এ সময় আমার দেশ তোমার দেশ, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ’ শ্লোগান দেন । তিনি ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে দীর্ঘ ২৩ বছরের শাসন- শোষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রদান করেন । তাঁর নির্দেশনাবলী সারা পূর্ব বাংলায় অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয় । তখন থেকেই সব প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম তার নির্দেশিত পথেই পরিচালিত হতে থাকে ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ স্বাধীনতার সাড়ে ৩ বছরের মাথায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে । এরপর ৩ নভেম্বর জেলখানায় মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চারনেতাকেও তারা নৃশংসভাবে হত্যা করে । সেই থেকে দীর্ঘ ২১ বছর বাংলাদেশে গণতন্ত্র ছিলনা । ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর আমরা জাতির পিতাসহ জাতীয় চারনেতা হত্যার বিচার করেছি । পরবর্তিতে ২০০৯ সালে পুনরায় সরকার গঠনের পর ‘ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল ’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানবতা বিরোধী অপরাধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি । সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ করেছি ।

গত সাড়ে পনের বছরে সরকার উন্নয়নের সকল সূচকে অভ ‚ তপূর্ব অগ্রগতি সাধন করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ আমরা দারিদ্র্যের হার ১৮ দশমিক ৭ শতাংশের নীচে নামিয়ে এনেছি । আমরা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে ‘ জিরো টলারেন্স নীতি ’ গ্রহণ করেছি । ইতোমধ্যেই বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করেছি । এবারে আমাদের লক্ষ্য ‘ স্মার্ট বাংলাদেশ ’ প্রতিষ্ঠা করা । ২০৩০ সালের মধ্যে ‘ টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ’ অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা- দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত- সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি । আমরা বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা- ২১০০ প্রণয়ন করেছি এবং তা বাস্তবায়ন করছি । ’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

‘মুজিবনগর দিবস’ বাঙালির পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্তির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন’

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৩০:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাঙালি জাতির পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্তির ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস ।

বুধবার( ১৭ এপ্রিল) ঐতিহাসিক ‘ মুজিবনগর দিবস ’ উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার( ১৬ এপ্রিল) দেয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে । কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতা- শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ, শহীদ মোহাম্মদ মনসুর আলী এবং শহীদ আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামানকে । শ্রদ্ধা জানাই মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ অকুতোভয় বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি এবং ২ লাখ সম্ভ্রমহারা নির্যাতিত মা- বোনদের প্রতি ।

তিনি বলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনের চ ‚ ড়ান্ত ফলাফলে আওয়ামী লীগ জাতীয় এবং প্রাদেশিক পরিষদে সংরক্ষিত মহিলা আসনসহ যথাক্রমে ১৬৭টি এবং ২৯৮টি আসনে জয়লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে । আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ৩ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সকল সংসদ সদস্য রেসকোর্স ময়দানে ৬- দফার ভিত্তিতে শাসনতন্ত্র প্রণয়নের শপথ গ্রহণ করেন । জাতিন জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এ সময় আমার দেশ তোমার দেশ, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ’ শ্লোগান দেন । তিনি ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে দীর্ঘ ২৩ বছরের শাসন- শোষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রদান করেন । তাঁর নির্দেশনাবলী সারা পূর্ব বাংলায় অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয় । তখন থেকেই সব প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম তার নির্দেশিত পথেই পরিচালিত হতে থাকে ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ স্বাধীনতার সাড়ে ৩ বছরের মাথায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে । এরপর ৩ নভেম্বর জেলখানায় মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চারনেতাকেও তারা নৃশংসভাবে হত্যা করে । সেই থেকে দীর্ঘ ২১ বছর বাংলাদেশে গণতন্ত্র ছিলনা । ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর আমরা জাতির পিতাসহ জাতীয় চারনেতা হত্যার বিচার করেছি । পরবর্তিতে ২০০৯ সালে পুনরায় সরকার গঠনের পর ‘ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল ’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানবতা বিরোধী অপরাধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি । সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ করেছি ।

গত সাড়ে পনের বছরে সরকার উন্নয়নের সকল সূচকে অভ ‚ তপূর্ব অগ্রগতি সাধন করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ আমরা দারিদ্র্যের হার ১৮ দশমিক ৭ শতাংশের নীচে নামিয়ে এনেছি । আমরা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে ‘ জিরো টলারেন্স নীতি ’ গ্রহণ করেছি । ইতোমধ্যেই বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করেছি । এবারে আমাদের লক্ষ্য ‘ স্মার্ট বাংলাদেশ ’ প্রতিষ্ঠা করা । ২০৩০ সালের মধ্যে ‘ টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ’ অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা- দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত- সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি । আমরা বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা- ২১০০ প্রণয়ন করেছি এবং তা বাস্তবায়ন করছি । ’