ভ্রাম্যমাণ প্লান্ট থেকে খাবার পানি সরবরাহ
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:৫৬:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ৫৯ বার পড়া হয়েছে
বাগেরহাটের শরণখোলায় সরকারের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ থেকে খাবার পানি সরবরাহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল থেকে উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের উত্তর রাজাপুর গ্রামে মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি দেওয়া হচ্ছে। এই প্লান্ট থেকে উত্তর রাজাপুরসহ আশপাশের কয়েক গ্রামের শত শত মানুষ ড্রাম, কলস, বালতি যার যা আছে তাই ভরে পানি সংগ্রহ করছেন।
বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগের নির্দেশে জরুরী ভিত্তিতে এই পানি সরবরাহ করা হচ্ছে বলে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
অপরদিকে, ‘ডু সামথিং’ নামে একটি বেসরকারি সেচ্ছাসেবি সংগঠনও সাউথখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে খাবার পানি বিতরণ শুরু করেছে। শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খুড়িয়াখালী গ্রামের শতাধিক পরিবারকে পানি দিয়েছে এই সংগঠন।
সংগঠনটির সেচ্ছাসেব মো. রাসেল আহমেদ জানান, তাদের ইউনিয়নের বকুলতলা গ্রামে জেলা পুলিশের বসানো পানির প্লান্ট থেকে পানি কিনে তা ট্যাঙ্কিতে ভরে খুড়িলয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে এনে বিতরণ করা হয়। তাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
স্থানীয়রা জানান, ভ্রাম্যমাণ প্লান্ট থেকে সরবরাহ করা পানিতে সাময়িক উপকার হবে মানুষের। কিন্তু এতে সংকটের স্থায়ী সমাধান হবে না। পানি সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হলে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের জলাধার তৈরী করতে হবে। এজন্য পর্যাপ্ত বড় পুকুর এবং ভরাট হওয়া খালগুলো খননেনর কোনো বিকল্প নেই।
শরণখোলা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী এস এম মেহেদী হাসান জানান, সংসদ সদস্যের নির্দেক্রমে দ্রæত পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রায়েন্দা ইউনিয়নের ১নম্বর উত্তর রাজাপুর ওয়ার্ডের একটি খালে মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লাণ্ট বসানো হয়েছে। সেখান থেকে কয়েক গ্রামের মানুষ এসে পানি নিচ্ছেন।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান আরো জানান, একটি প্লান্ট থেকে ঘন্টায় ৬০০ লিটার করে প্রতিদিন পাঁচ হাজার লিটার বিশুদ্ধ পানি দেওয়া যাবে। এই প্লান্ট থেকে দূষিত পানিও বিশুদ্ধ করা সম্ভব। এতে প্রতিদিন খরচ হবে চার হাজার টাকা। উপজেলার যেসব এলাকায় বেশি সংকট সেসব এলাকায় ঘুরে ঘুরে এই প্লান্টের মাধ্যমে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পানি সরবরাহ করা হবে। প্রয়োজনে প্লান্টের সংখ্যা বাড়ানো হবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।