ব্ল্যাকমেইল করে ছাত্রীকে ধর্ষণ, শিক্ষক গ্রেপ্তার
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৬:৪৬:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪ ১০৬ বার পড়া হয়েছে
ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় প্রধান আসামী গৌতম মজুমদারকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৮ গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার গৌতম মজুমদার গুয়াটন হেমায়েত উদ্দিন বিজ্ঞান শিক্ষায়তনের সহকারী শিক্ষক। বৃহষ্পতিবার (৯ মে) দুপুরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-৮ এর সদর দপ্তর।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার হওয়া গৌতম মজুমদার ১৬ বছরের এক ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ানোর ফাঁকে আপত্তিকর ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল করে কৌশলে বাসায় ডেকে নিয়ে যায়। গত ৩ মে সকাল ৭টার দিকে ফাঁকা বাসার দরজা বন্ধ করে ওই ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় ছাত্রীর বাবাসহ স্বজনরা তার সন্ধানে নামে। পরে বেলা ১১টার দিকে তাকে শিক্ষক হেমায়েত উদ্দিনের ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়। এদিকে আসামী কৌশলে ধর্ষণের ভিডিও ও আপত্তিকর কিছু ছবি তুলে নিজের ব্যক্তিগত মোবাইল ও ল্যাপটপে সংরক্ষণ করে রাখেন। অপরদিকে ধর্ষণের শিকার ছাত্রী ও তার পরিবার আইনের আশ্রয় নিতে চাইলে ধারণকৃত ভিডিও এবং ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া সহ প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে শিক্ষক হেমায়েত উদ্দিন।
নানা বাধা-বিপত্তি ও হুমকি ধামকির পর ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা এ ঘটনায় ঝালকাঠি জেলার সদর থানায় ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা করেন। বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য ও জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হলে র্যাব-৮, সিপিএসসি, ক্যাম্প ছায়া তদন্ত ও গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। যার মাধ্যমে অবস্থান শনাক্ত করে পিরোজপুর জেলার সদর থানাধীন লাাখকাঠি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে শিক্ষার্থী ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামী হেমায়েত উদ্দিন বিজ্ঞান শিক্ষায়াতনের সহকারী শিক্ষক গৌতম মজুমদারকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারের পর তাকে ঝালকাঠি জেলার সদর থানায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাব-৮ এর সিনিয়র এএসপি ফয়জুল ইসলাম।