ঢাকা ০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেইলি রোডের আগুনে এডভোকেট শামীমের মৃত্যু

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৩৪:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪ ২১৯ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঢাকার বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেষ্টুরেন্টে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আওয়ামী লীগনেতা ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আতাউর রহমান শামীম মারা গেছেন। নিহত আতাউর রহমান শামীমের বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামে। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে নিজ গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে।

নিহত এডভোকেট শামীমের সঙ্গে থাকা নূরুল আলম জানান, দুর্ঘটনার কিছু সময় আগে তাঁরা দুজন একসঙ্গে পুরানাপল্টনের হোটেল ক্যাপিটেল থেকে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে কফি খেতে যান।

ওই রেস্টুরেন্টে অবস্থান নেওয়ার মাত্র পাঁচ মিনিটের মাথায় রেস্টুরেন্টের নিচের দিকে কালো ধোঁয়াসহ কয়েকটি আওয়াজ শুনতে পান। তখন আতাউর রহমান শামীম ধোঁয়া দেখতে পান। এরপর তারা প্রথমে নিচে নামার চেষ্টা করেন। কিন্তু কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে কিছুই দেখা যাচ্ছেনা,তাই সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে থাকেন। এ সময় ভিড়ে আতাউর রহমান শামীমকে আর দেখতে পাননি নূরুল আলম। হেলিপ্যাডের মাধ্যমে তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও অ্যাডভোকেট শামীম অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান।

পরিবার সুত্রে জানাজায়, নিহত আতাউর রহমান শামীমের পরিবার যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করে। গত ৪ ফেব্রুয়ারি তাঁর স্ত্রী ও এক কন্যা সন্তান নিয়ে দেশে ফিরেন। আগামী রোববার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তাঁর যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার কথা ছিল।

আতাউর রহমান শামীমের জানাজা শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টায় কুলাউড়া নবীন চন্দ্র সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে ও দ্বিতীয় জানাজা বাদ মাগরিব তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এডভোকেট আতাউর রহমান শামীম রাজনৈতিক জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা দপ্তর সম্পাদক ও কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি ২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে মহাজোটের নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বেইলি রোডের আগুনে এডভোকেট শামীমের মৃত্যু

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:৩৪:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪

ঢাকার বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেষ্টুরেন্টে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আওয়ামী লীগনেতা ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আতাউর রহমান শামীম মারা গেছেন। নিহত আতাউর রহমান শামীমের বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামে। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে নিজ গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে।

নিহত এডভোকেট শামীমের সঙ্গে থাকা নূরুল আলম জানান, দুর্ঘটনার কিছু সময় আগে তাঁরা দুজন একসঙ্গে পুরানাপল্টনের হোটেল ক্যাপিটেল থেকে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে কফি খেতে যান।

ওই রেস্টুরেন্টে অবস্থান নেওয়ার মাত্র পাঁচ মিনিটের মাথায় রেস্টুরেন্টের নিচের দিকে কালো ধোঁয়াসহ কয়েকটি আওয়াজ শুনতে পান। তখন আতাউর রহমান শামীম ধোঁয়া দেখতে পান। এরপর তারা প্রথমে নিচে নামার চেষ্টা করেন। কিন্তু কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে কিছুই দেখা যাচ্ছেনা,তাই সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে থাকেন। এ সময় ভিড়ে আতাউর রহমান শামীমকে আর দেখতে পাননি নূরুল আলম। হেলিপ্যাডের মাধ্যমে তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও অ্যাডভোকেট শামীম অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান।

পরিবার সুত্রে জানাজায়, নিহত আতাউর রহমান শামীমের পরিবার যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করে। গত ৪ ফেব্রুয়ারি তাঁর স্ত্রী ও এক কন্যা সন্তান নিয়ে দেশে ফিরেন। আগামী রোববার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তাঁর যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার কথা ছিল।

আতাউর রহমান শামীমের জানাজা শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টায় কুলাউড়া নবীন চন্দ্র সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে ও দ্বিতীয় জানাজা বাদ মাগরিব তাঁর গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়। পরে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এডভোকেট আতাউর রহমান শামীম রাজনৈতিক জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা দপ্তর সম্পাদক ও কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি ২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে মহাজোটের নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।