দেশে বেকার ২৬ লাখ ৬০ হাজার
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:০৭:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫ ৩৯ বার পড়া হয়েছে
দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়েছে। ২০২৪ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে শ্রমশক্তির ২৬ লাখ ৬০ হাজার মানুষ বেকার ছিলো।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) গত বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ের ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপে এ তথ্য পাওয়া গেছে। রোববার (৫ জানুয়ারি) ওই জরিপের প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
বেকারের নতুন হিসাবটি ১৯তম পরিসংখ্যানবিদদের আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুযায়ী প্রস্তুত করেছে বিবিএস। এই পদ্ধতি অনুসারে যারা উৎপাদনমূলক কাজে নিয়োজিত থাকেন, কিন্তু বাজারে পণ্য বা সেবা বিক্রি করেন না, তারা কর্মে নিয়োজিত নন হিসেবে ধরা হয়। তারা বেকার জনগোষ্ঠী হিসেবে বিবেচিত হন। এবারই প্রথমবারের মতো এভাবে হিসাব করেছে বিবিএস।
এতোদিন ১৩তম আইসিএলএস অনুসারে বেকারত্ব ও শ্রমশক্তির হিসাব করা হতো। নতুন হিসাবের পাশাপাশি এবার পুরোনো হিসাবটিও দেয়া হয়েছে। আর সেই হিসােব, গত সেপ্টেম্বর মাস শেষে দেশের বেকারের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৫ লাখ ৫০ হাজার। এর আগের প্রান্তিকে এই সংখ্যা ছিল ২৬ লাখ ৪০ হাজার, তারা বেকার ছিলেন। এর মানে হলো পুরোনো হিসাবে বেকারের সংখ্যা কমেছে। তবে নতুন হিসাবে বেকার বেড়েছে ২০ হাজার।
বিবিএসের জরিপে বলা হয়, সার্বিকভাবে বেকার জনগোষ্ঠী মূলত তারাই, যারা জরিপের আগের সাত দিন সময়ে এক ঘণ্টাও কোনো কাজ করেনি, কিন্তু কাজ করার জন্য প্রস্তুত ছিল। একই সাথে তারা জরিপের পরের দুই সপ্তাহেও কাজের জন্য প্রস্তুত ছিল। এ ছাড়া বিগত ৩০ দিনে বেতন বা মজুরি অথবা মুনাফার বিনিময়ে করার জন্য কোনো না কোনো কাজ খুঁজেছেন, এমন ব্যক্তিরা বেকার হিসেবে বিবেচিত হন।
বিবিএসের একজন কর্মকর্তা এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানান, এবারই প্রথমবারের মতো ১৯তম আইসিএলএস অনুসারে বেকারত্ব ও শ্রমশক্তি জরিপ করা হয়েছে। এর ফলে পরিসংখ্যানে কিছুটা তারতম্য রয়েছে।
১৩তম আইসিএলএসের ভিত্তিতে বিবিএসের সর্বশেষ ত্রৈমাসিক জরিপ অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বর মাস শেষে দেশের শ্রমশক্তি ছিল ৭ কোটি ৬ লাখ নারী-পুরুষ। এর মধ্যে পুরুষ ৪ কোটি ৭৪ লাখ ৯০ হাজার এবং নারী দুই কোটি ২৫ লাখ ৭০ হাজার।
জরিপের সময় দেশে ৬ কোটি ৭৫ লাখ ১০ হাজার নারী-পুরুষ আগের ৭ দিনে এক ঘণ্টা মজুরির বিনিময়ে কাজ করেন। অর্থাৎ তারা কর্মে নিয়োজিত হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন। এরমধ্যে পুরুষ ৪ কোটি ৫৭ লাখ ৭০ হাজার এবং নারী ২ কোটি ১৭ লাখ ৪০ হাজার।
যারা কর্মে নিয়োজিত নয়, কিন্তু বেকার হিসেবেও বিবেচিত নয়, তারাই মূলত শ্রমশক্তির বাইরের জনগোষ্ঠী। এই তালিকায় রয়েছে-শিক্ষার্থী, অসুস্থ ব্যক্তি, বয়স্ক, কাজ করতে অক্ষম, অবসরপ্রাপ্ত এবং কর্মে নিয়োজিত নন বা নিয়োজিত হতে অনিচ্ছুক এমন গৃহিণীরা। গত সেপ্টেম্বর মাস শেষে দেশে এমন ৫ কোটি ১৪ লাখ ৪০ হাজার নারী-পুরুষ ছিলেন।
দেশে প্রতিবছর ২০ লাখ মানুষ চাকরির বাজারে প্রবেশ করে। এরমধ্যে ১৩-১৪ লাখ মানুষের দেশের অভ্যন্তরে কর্মসংস্থান হয়। বাকিরা কাজের জন্য প্রবাসে যান। তাই দুই দশক ধরে বেকারের সংখ্যা মোটামুটি ২৪-২৮ লাখের মধ্যেই রয়েছে।