ঢাকা ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দল পাল্টানো শাজাহান ওমর আবারও কি বিএনপিতে ফিরে যাচ্ছেন?

মো. শাহ জালাল, বরিশাল
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:০২:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪ ৩১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরে অন্য সব এমপিদের মতো এলাকায় নেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হওয়ার শর্তে কারামুক্ত বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিষ্ট্যার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম। তবে ব্যারিষ্ট্যার শাহজাহান দল বদলের সাথে সাথে তার একান্ত অনুসারী বেশ কয়েকজন তার পদাঙ্ক অনুসরন করলেও সাম্প্রতিক পরিবর্তনের পরে সুর বদলে পূর্বের মত বিএনপির নেতা হবার চেষ্টা করছেন।

এমনকি তারা বিএনপির নাম ভাঙিয়ে এরমধ্যে ভিন্ন মতাবলম্বীদের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান সহ বাসা-বাড়িতে হামলা এবং হেনস্থা করতেও শুরু করেছেন বলে অভিযোগ সর্বত্র। ঐসব অনুসারীদের নানামুখি অনৈতিক কর্মকান্ড নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ বিব্রত হলেও তাদের তরফ থেকে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে শোনা যায়নি। এমনকি শুক্রবার (৯ আগস্ট) রাজাপুর অডিটরিয়ামে বিএনপির পক্ষ থেকে এক জরুরী মতবিনিময় সভায় জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখলেও সেখানেও রাজাপুরে বিভিন্ন হামলা ভাংচুড়ের সাথে জড়িতদের চিহ্ণিত করে কোন ব্যবস্থা গ্রহনের কথাও বলেননি কেউ।

গত ৭ জানুয়ারী নির্বাচনের আগে ২৯ নভেম্বর কারামুক্ত হয়ে দল বদলের সাথেই শাহজাহান ওমর রাজাপুরে বিএনপি অফিসের সাইনবোর্ড নামিয়ে আওয়ামী লীগের সাইনবোর্ড তুলেছিলেন। এমনকি দল বদলিয়ে বেগম খালেদা জিয়া অলস এবং ঘুম থেকে দুপুর ১২টায় ওঠেন বলে মন্তব্য করে তাকে দিয়ে কিছু হবে না বলে মন্তব্য করে শেখ হাসিনার সাথে ব্যক্তিগত কি কি তফাৎ তা পর্যন্ত প্রকাশ্যে বিশ্লেষণ করেছেন শাহজাহান ওমর।

কিন্তু ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পরে এখন তার সাথে দল বদলানো একান্ত অনুসারীগন শাহজাহান ওমর এরমধ্যে বেগম জিয়ার সাথে দেখা করে নিকট অতিত কর্মকান্ডের জন্য সরি বলেছেন বলে জানিয়ে দলীয় চেয়ারপার্সন তাকে এলাকায় কাজ করতে বলেছেন বলেও প্রচারনা শুরু করেছেন। পাশাপাশি এসব ভোল পল্টানো অনুসারীরা নির্বিচারে এতদিনের রাজনৈতিক সুহৃদ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থক সহ ভিন্ন সংখ্যালঘুদের নানাভাবে হয়রানী ও আতংকিত করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

তবে আশ্চর্জজনক হলেও সত্যি, এসব রাজনৈতিক সন্ত্রাসীদের বিষয়ে বিএনপির কোন নেতাও মুখ খুলছেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকের মতে, বিএনপির স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল শাহজাহান ওমর আবার তার পুরনো ঠিকানায় ফিরে এসে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করুক তা কোন ভাবেই মেনে নেবেন না। কিন্তু তার সাথে দল বদলানো ঐসব অনুসারীদের আগামী নির্বাচনে কাজে লাগিয়ে ভোটবাক্স ভারি করার বিষয়টি বিবেচনায় রাখতেই তাদের অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি ঘন ঘন দল বদলানো ঐসব বিবেকহীন রাজনৈতিক দূর্বৃত্তদের কারণে সাধারন মানুষসহ ভোটাররা বিএনপির প্রতি কতটা ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করবেন, তা বিবেচনায় নিচ্ছেন না রাজাপুর সহ ঝালকাঠীর বিএনপি নেতৃবৃন্দ। এ অভিমত স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের।

বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর গত ৩০ নভেম্বর নৌকায় ওঠার দিন কয়েক আগেও বরিশালে দলীয় কর্মসূচীতে প্রধান অতিথির ভাষণে রাষ্ট্রযন্ত্রকে দেশের গণতন্ত্রের প্রধান শত্রু হিসেবে অখ্যায়িত করে নিশি রাতের সরকারের পতন ঘটাতে এক দফার আন্দোলনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নামারও আহবান জানিয়েছিলেন। সেদিন বরিশাল মহানগরীতে শেখ হাসিনার পদত্যাগ সহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবীতে গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে শাহজাহান ওমর বলেছিলেন, এই এক দফার আন্দোলন শুধু বিএনপির নয়, দেশের মানুষেরও। তাই শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও অবৈধ হাসিনা সরকারের পতন ঘটাতে ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হবারও আহবান জানিয়েছিলেন তিনি।

ক্যাপ্টেন ওমর মহান মুক্তিযদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরের সাব-সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করে স্বাধীনতার পর ‘বীর উত্তম’ পদক লাভসহ মেজর পদে পদোন্নতি লাভ করেন। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধকালীন বরিশলের জেল পলাতক আসামী আন্ত:জেলা ডাকাত হিসাবে কারাভোগকারী কুদ্দুস মোল্লার মেধাবী ছাত্র শরফুদ্দিন ও তার ভাই বরিশাল মেডিকেল কলেজের ছাত্রের চোখ উৎপাটনের মত নারকীয় ঘটনায় তার সরাসরি সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে। সে ঘটনায় সমগ্র বরিশাল উত্তাল হয়ে উঠেছিল। কুদ্দুস মোল্লার তান্ডবের সময় শাহজাহান ওমর উপস্থিত ছিলেন বলেও অভিযোগ ছিল। সে ঘটনায় মেজর ওমরের বিরুদ্ধে সেনা তদন্তে বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান করা হয় বলেও জানা গেছে। বিচারে কুদ্দুস মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দেয় আদালত। রায়ে আদালত শাহজাহান ওমরকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিযোগ প্রত্যাহার করায় আশ্চর্যবোধ করেন।

১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন এবং ১৯৭৯ সাল থেকে একাধিক নির্বাচনে ধানের শীষের প্রতিকে ঝালকাঠী-১ আসনে বিজয়ী হন। ২০০১ সালে জয়ী হবার পরে শাহজাহান ওমর আইন প্রতিমন্ত্রী হয়ে বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলে নানা বিতর্কের জন্ম দেন। এমনকি বরিশাল ও ঝালকাঠীর গণমাধ্যম কর্মীদের উপর হামলা নির্যাতনকে কেন্দ্র করে তার সাথে সম্পর্কের অবনতি বয়কট পর্যন্ত গড়ায়। স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ সহ ঝালকাঠী সদরের তৎকালীন এমপি ইসরাত জাহান ইলেন ভূট্টোর সাথেও তার সম্পর্ক এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে, একজন সংসদ সদস্য হয়েও নিজ নির্বাচনী এলাকার সার্কিট হাউজে অবস্থান করতে পারতেন না।

এমনকি বিএনপি যখনই ক্ষমতায় থাকত, তখনই তার ব্যবহারে আওয়ামী লীগ সহ বিরোধী দল ছাড়াও নিজ দলীয় নেতা-কর্মীরা স্বাচ্ছন্দে চলাফেরা করতে বিব্রত বোধ করতেন। দুর্ব্যবহারের কারনেই এলাকার আলেম ওলামা সহ অনেকেই সব সময়ই শাহজাহান ওমরকে এড়িয়ে চলতেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

দল পাল্টানো শাজাহান ওমর আবারও কি বিএনপিতে ফিরে যাচ্ছেন?

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:০২:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪

সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরে অন্য সব এমপিদের মতো এলাকায় নেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হওয়ার শর্তে কারামুক্ত বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিষ্ট্যার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম। তবে ব্যারিষ্ট্যার শাহজাহান দল বদলের সাথে সাথে তার একান্ত অনুসারী বেশ কয়েকজন তার পদাঙ্ক অনুসরন করলেও সাম্প্রতিক পরিবর্তনের পরে সুর বদলে পূর্বের মত বিএনপির নেতা হবার চেষ্টা করছেন।

এমনকি তারা বিএনপির নাম ভাঙিয়ে এরমধ্যে ভিন্ন মতাবলম্বীদের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান সহ বাসা-বাড়িতে হামলা এবং হেনস্থা করতেও শুরু করেছেন বলে অভিযোগ সর্বত্র। ঐসব অনুসারীদের নানামুখি অনৈতিক কর্মকান্ড নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ বিব্রত হলেও তাদের তরফ থেকে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে শোনা যায়নি। এমনকি শুক্রবার (৯ আগস্ট) রাজাপুর অডিটরিয়ামে বিএনপির পক্ষ থেকে এক জরুরী মতবিনিময় সভায় জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখলেও সেখানেও রাজাপুরে বিভিন্ন হামলা ভাংচুড়ের সাথে জড়িতদের চিহ্ণিত করে কোন ব্যবস্থা গ্রহনের কথাও বলেননি কেউ।

গত ৭ জানুয়ারী নির্বাচনের আগে ২৯ নভেম্বর কারামুক্ত হয়ে দল বদলের সাথেই শাহজাহান ওমর রাজাপুরে বিএনপি অফিসের সাইনবোর্ড নামিয়ে আওয়ামী লীগের সাইনবোর্ড তুলেছিলেন। এমনকি দল বদলিয়ে বেগম খালেদা জিয়া অলস এবং ঘুম থেকে দুপুর ১২টায় ওঠেন বলে মন্তব্য করে তাকে দিয়ে কিছু হবে না বলে মন্তব্য করে শেখ হাসিনার সাথে ব্যক্তিগত কি কি তফাৎ তা পর্যন্ত প্রকাশ্যে বিশ্লেষণ করেছেন শাহজাহান ওমর।

কিন্তু ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পরে এখন তার সাথে দল বদলানো একান্ত অনুসারীগন শাহজাহান ওমর এরমধ্যে বেগম জিয়ার সাথে দেখা করে নিকট অতিত কর্মকান্ডের জন্য সরি বলেছেন বলে জানিয়ে দলীয় চেয়ারপার্সন তাকে এলাকায় কাজ করতে বলেছেন বলেও প্রচারনা শুরু করেছেন। পাশাপাশি এসব ভোল পল্টানো অনুসারীরা নির্বিচারে এতদিনের রাজনৈতিক সুহৃদ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থক সহ ভিন্ন সংখ্যালঘুদের নানাভাবে হয়রানী ও আতংকিত করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

তবে আশ্চর্জজনক হলেও সত্যি, এসব রাজনৈতিক সন্ত্রাসীদের বিষয়ে বিএনপির কোন নেতাও মুখ খুলছেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকের মতে, বিএনপির স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল শাহজাহান ওমর আবার তার পুরনো ঠিকানায় ফিরে এসে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করুক তা কোন ভাবেই মেনে নেবেন না। কিন্তু তার সাথে দল বদলানো ঐসব অনুসারীদের আগামী নির্বাচনে কাজে লাগিয়ে ভোটবাক্স ভারি করার বিষয়টি বিবেচনায় রাখতেই তাদের অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি ঘন ঘন দল বদলানো ঐসব বিবেকহীন রাজনৈতিক দূর্বৃত্তদের কারণে সাধারন মানুষসহ ভোটাররা বিএনপির প্রতি কতটা ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করবেন, তা বিবেচনায় নিচ্ছেন না রাজাপুর সহ ঝালকাঠীর বিএনপি নেতৃবৃন্দ। এ অভিমত স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের।

বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর গত ৩০ নভেম্বর নৌকায় ওঠার দিন কয়েক আগেও বরিশালে দলীয় কর্মসূচীতে প্রধান অতিথির ভাষণে রাষ্ট্রযন্ত্রকে দেশের গণতন্ত্রের প্রধান শত্রু হিসেবে অখ্যায়িত করে নিশি রাতের সরকারের পতন ঘটাতে এক দফার আন্দোলনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নামারও আহবান জানিয়েছিলেন। সেদিন বরিশাল মহানগরীতে শেখ হাসিনার পদত্যাগ সহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবীতে গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে শাহজাহান ওমর বলেছিলেন, এই এক দফার আন্দোলন শুধু বিএনপির নয়, দেশের মানুষেরও। তাই শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও অবৈধ হাসিনা সরকারের পতন ঘটাতে ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হবারও আহবান জানিয়েছিলেন তিনি।

ক্যাপ্টেন ওমর মহান মুক্তিযদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরের সাব-সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করে স্বাধীনতার পর ‘বীর উত্তম’ পদক লাভসহ মেজর পদে পদোন্নতি লাভ করেন। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধকালীন বরিশলের জেল পলাতক আসামী আন্ত:জেলা ডাকাত হিসাবে কারাভোগকারী কুদ্দুস মোল্লার মেধাবী ছাত্র শরফুদ্দিন ও তার ভাই বরিশাল মেডিকেল কলেজের ছাত্রের চোখ উৎপাটনের মত নারকীয় ঘটনায় তার সরাসরি সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে। সে ঘটনায় সমগ্র বরিশাল উত্তাল হয়ে উঠেছিল। কুদ্দুস মোল্লার তান্ডবের সময় শাহজাহান ওমর উপস্থিত ছিলেন বলেও অভিযোগ ছিল। সে ঘটনায় মেজর ওমরের বিরুদ্ধে সেনা তদন্তে বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান করা হয় বলেও জানা গেছে। বিচারে কুদ্দুস মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ দেয় আদালত। রায়ে আদালত শাহজাহান ওমরকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিযোগ প্রত্যাহার করায় আশ্চর্যবোধ করেন।

১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন এবং ১৯৭৯ সাল থেকে একাধিক নির্বাচনে ধানের শীষের প্রতিকে ঝালকাঠী-১ আসনে বিজয়ী হন। ২০০১ সালে জয়ী হবার পরে শাহজাহান ওমর আইন প্রতিমন্ত্রী হয়ে বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলে নানা বিতর্কের জন্ম দেন। এমনকি বরিশাল ও ঝালকাঠীর গণমাধ্যম কর্মীদের উপর হামলা নির্যাতনকে কেন্দ্র করে তার সাথে সম্পর্কের অবনতি বয়কট পর্যন্ত গড়ায়। স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ সহ ঝালকাঠী সদরের তৎকালীন এমপি ইসরাত জাহান ইলেন ভূট্টোর সাথেও তার সম্পর্ক এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে, একজন সংসদ সদস্য হয়েও নিজ নির্বাচনী এলাকার সার্কিট হাউজে অবস্থান করতে পারতেন না।

এমনকি বিএনপি যখনই ক্ষমতায় থাকত, তখনই তার ব্যবহারে আওয়ামী লীগ সহ বিরোধী দল ছাড়াও নিজ দলীয় নেতা-কর্মীরা স্বাচ্ছন্দে চলাফেরা করতে বিব্রত বোধ করতেন। দুর্ব্যবহারের কারনেই এলাকার আলেম ওলামা সহ অনেকেই সব সময়ই শাহজাহান ওমরকে এড়িয়ে চলতেন।