গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন, নিচে নামছে পানির স্তর
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:১৭:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ১২৪ বার পড়া হয়েছে
চলতি বছরের গত ৬ মাসের মধ্যে মাত্র একদিন ৯ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে রাজশাহীতে। তাও গত মার্চে। এর আগে একই বছরের সেপ্টেম্বরে ভারি বৃষ্টিতে আক্সমিক বন্যা হয়। এরপর আর ভারি বৃষ্টির দেখেনি রাজশাহীবাসী। বলা যায় টানা বৃষ্টিহীন থাকায় মাঠঘাট ফেটে চৌচির অবস্থা বিরাজ করছে।
এদিকে গত কয়েক বছর থেকে রাজশাহীতে নিচে নামছে পানির স্তর। পানির অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে গভীর সাবমার্সিবেল পাম্পও। এর ফলে বিশুদ্ধ পানির সঙ্কটও দেখা দিয়েছে। এতে গরমের মাত্রা আরও বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
রাজশাহীতে এখন বইছে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় জ্বর, ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল থেকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, গরমে অনেক শিশু ডায়রিয়া, হাঁপানি জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
এছাড়াও হাসপাতালগুলোর আউটডোরেও রোগীর ভিড় বাড়ছে। গত এক সপ্তাহের মধ্যে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বেশী মাত্রায় বাড়তে শুরু করেছে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
এদিকে, কয়েক দশক ধরে অনিয়ন্ত্রিতভাবে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের কারণে দেশের বরেন্দ্র অঞ্চলের ৪০ শতাংশেরও বেশি ইউনিয়নে পানিশূন্যতা তৈরি হয়েছে। এর ফলে এসব এলাকায় খাবার ও সেচের পানির মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে।
ওয়াটার রিসোর্স প্ল্যানিং অর্গানাইজেশনের (ওয়ারপো) পক্ষ থেকে ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম) পরিচালিত সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে রাজশাহী অঞ্চলে পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে। এতে করে পানি সংকটাপন্ন এলাকার পরিধি বাড়ছে। রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাজুড়ে ‘উঁচু বরেন্দ্র অঞ্চলে ভূপৃষ্ঠ ও ভূগর্ভস্থ পানি পরিস্থিতির হাইড্রোলজিক্যাল অনুসন্ধান ও মডেলিং’ শীর্ষক গবেষণাটি ২০১৮ সালে শুরু হয় এবং গত বছরের জুন মাসে ওয়ারপো কর্তৃক অনুমোদিত হয়।