ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যু, হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইজরায়েলের হাত!
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:৩৮:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪ ১৩০ বার পড়া হয়েছে
পাহাড়ে ধাক্কা লেগে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির। ৬৩ বছর বয়সে দেশটির রাষ্ট্রপ্রধানের মৃত্যুর খবরে তোলপাড় আন্তর্জাতিক মহল। এরই মধ্যে জল্পনা শুরু হয়েছে বিশেষজ্ঞ মহলে। প্রশ্ন উঠছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসির বিমান দুর্ঘটনার নেপথ্যে ইজরায়েলের ভূমিকা রয়েছে কিনা?
কট্টর ইজরায়েল বিরোধী হিসাবে পরিচিত ছিলেন রাইসি। গত বছরের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামাস-ইজরায়েল সংঘাতের পর থেকে আরো বেড়েছিলো সেই বিরোধিতা। এরপর চলতি বছরের এপ্রিল থেকে শুরু হয় দুই দেশের মধ্যে সরাসরি সংঘাত। ১ এপ্রিল দামাস্কাসে ইরানের দূতাবাসে হামলায় নিহত হয়েছেন কয়েকজন কর্মকর্তা। সেই হামলার নেপথ্যে ইজরায়েলি সেনার হাত রয়েছে ধারণা অনেকের। ১৩ এপ্রিল তার পালটা জবাব দিতেই ইজরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। কয়েকবার আঘাত-প্রত্যাঘাত চালিয়ে যায় এই দুই দেশ।
সেই সংঘাত খানিকটা ঝিমিয়ে যাওয়ার পর হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় রাইসির মৃত্যু। সেজন্যই কপ্টার দুর্ঘটনার নেপথ্যে ইজরায়েলের ভূমিকা রয়েছে কিনা, এখন উঠছে এই প্রশ্ন। রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই এ নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য ইকোনমিস্ট।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন থেকে ইরানে সক্রিয় রয়েছে ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। তেহরানের মদদপুষ্ট জঙ্গিদের নিকেশ করতেও তারা সিদ্ধহস্ত। নিখুঁতভাবে অপারেশন চালিয়ে ইজরায়েলের ‘শত্রু’দের পরাস্ত করেছে মোসাদ।
তবে ইরানের রাষ্ট্রপ্রধানকে টার্গেট করবে মোসাদ, সে সম্ভাবনা খুব কম বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এর কারণ কোনো দেশের প্রধানকে খুন করা সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণার সামিল। আর সেক্ষেত্রে ইরানের পালটা হামলার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলেও প্রবল চাপের মধ্যে পড়তে হবে তেল আভিভকে। হামাসের সাথে যুদ্ধ চলাকালীন ইরানের প্রেসিডেন্টকে ‘হত্যা’ করে ঝামেলায় জড়াতে চাইবে না ইজরায়েল। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে মধ্যপ্রাচ্যের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে রাইসির মৃত্যুর জেরে আঞ্চলিক স্থিতাবস্থা অনেকখানি নষ্ট হবে। এমনটা ধারণা বিশেষজ্ঞদের।