ঢাকা ০৫:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘আমার লাশটি পোস্টমর্টেমে দিয়েন না’

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:২০:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০২৪ ১৬৭ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঢাকার দোহারে মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৮ মে) দুপুরে দোহার উপজেলার দেবিনগর এলাকা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।মৃৃত গৃহবধু কাজল (২২) সৌদি প্রবাসী সিরাজ শেখের স্ত্রী।

স্থানীয় ইউপি সদস্য অঞ্চনা আক্তার বলেন, বুধবার (৮ মে) দুপুরে খবর পেয়ে নিহতদের বাড়িতে আসি। এসে গুহবধূ কাজলকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। এর পাশে ড্রেসিং টেবিলের উপর একটি চিরকুট দেখি। পরে চিরকুটটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

চিরকুটে লেখা ছিলো-‘সবার কাছে একটি অনুরোধ আমার লাশটি পোস্টমর্টেমে দিয়েন না। আর আমার স্বামীরে আমার লাশটি দেখাইয়েন না। যদি দেখান আমি মরেও শান্তি পাবো না। সবার কাছে আমি ক্ষমা চাইতেছি, যদি কোন ভুল করে থাকি তাহলে আমাকে মাফ করে দিবেন। মা আমার খাদিজাকে (বড় মেয়ে) দেখে রেখো, আর তোমার কাছে রেখো। আমার মরা লাশটা যেনো আমার বাবার বাড়ি থেকে দাফন কাফন করা হয়।’

জানা গেছে, নিহত কাজলের মরদেহ তার শয়ন কক্ষ থেকে ফ্যানের সাথে ওড়না প্যাচানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সেই সাথে কাজলের দেড় বছরের শিশু কন্যা তাবাছুমের মরদেহ বিছানায় শোয়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ধারনা করা হচ্ছে কাজল তার সন্তানকে হত্যা করার পর নিজে আত্মহত্যা করেছে।

দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ এর সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করেছি। এখন পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

‘আমার লাশটি পোস্টমর্টেমে দিয়েন না’

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৯:২০:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০২৪

ঢাকার দোহারে মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৮ মে) দুপুরে দোহার উপজেলার দেবিনগর এলাকা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।মৃৃত গৃহবধু কাজল (২২) সৌদি প্রবাসী সিরাজ শেখের স্ত্রী।

স্থানীয় ইউপি সদস্য অঞ্চনা আক্তার বলেন, বুধবার (৮ মে) দুপুরে খবর পেয়ে নিহতদের বাড়িতে আসি। এসে গুহবধূ কাজলকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। এর পাশে ড্রেসিং টেবিলের উপর একটি চিরকুট দেখি। পরে চিরকুটটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

চিরকুটে লেখা ছিলো-‘সবার কাছে একটি অনুরোধ আমার লাশটি পোস্টমর্টেমে দিয়েন না। আর আমার স্বামীরে আমার লাশটি দেখাইয়েন না। যদি দেখান আমি মরেও শান্তি পাবো না। সবার কাছে আমি ক্ষমা চাইতেছি, যদি কোন ভুল করে থাকি তাহলে আমাকে মাফ করে দিবেন। মা আমার খাদিজাকে (বড় মেয়ে) দেখে রেখো, আর তোমার কাছে রেখো। আমার মরা লাশটা যেনো আমার বাবার বাড়ি থেকে দাফন কাফন করা হয়।’

জানা গেছে, নিহত কাজলের মরদেহ তার শয়ন কক্ষ থেকে ফ্যানের সাথে ওড়না প্যাচানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সেই সাথে কাজলের দেড় বছরের শিশু কন্যা তাবাছুমের মরদেহ বিছানায় শোয়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ধারনা করা হচ্ছে কাজল তার সন্তানকে হত্যা করার পর নিজে আত্মহত্যা করেছে।

দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ এর সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করেছি। এখন পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।