আদমদীঘিতে তাপদাহে বেড়েছে রোগের প্রাদুর্ভাব
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৩:৪৬:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ৬৯ বার পড়া হয়েছে
বগুড়া জেলার আদমদীঘি উপজেলায় গত কয়েক দিনের টানা প্রখর রোদের তাপদাহে জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। এক দিকে ঘরে থেকে গরমে কষ্ট পাচ্ছে আবার অন্যদিকে তীব্র গরমের কারণে মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যহত হচ্ছে। তাছাড়া ঘনঘন লোড শেডিং জনমনে অশান্তির আরো একটি কারণ। খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষেরা পড়েছে চরম বিপাকে।
আদমদীঘি উপজেলার ৫০ শয্যা হাসপাতাল ও বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে ডায়রিয়া ও গরমজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশু সহ বিভিন্ন বয়সের রোগি ভর্তি হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। এ ছাড়া প্রতিদিন ৪/৫ বার করে বৈদ্যুতিক লোডশেডিংয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত। গত কয়েক দিন ধরে চলা প্রচন্ড গরমে স্বাভাবিক জীবন ব্যহত হচ্ছে উপজেলাবাসীর। গরম থেকে বাঁচতে বারবার গোসল ও পুকুরে গা ভিজিয়ে প্রশান্তি নিচ্ছেন অনেকেই। রসালো ফলের চাহিদা বৃদ্ধির জন্য ফলের দামও বেড়ে গেছে কয়েক গুণ। তীব্র গরমে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে যাচ্ছেনা বললেই চলে। উপজেলার একটি সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং কয়েকটি বেসরকারি ক্লিনিকে রোগী বেড়ে গেছে অনেকাংশে।
ফরিদ উদ্দিন নামের একজন অটোরিকশা চালক বলেন, আমরা খেটে খাওয়া গরীব মানুষ প্রচন্ড গরমের কারণে ভীষণ কষ্ট করে গাড়ি চালাচ্ছি। রোদে বাহিরে বের হওয়া যাচ্ছেনা কিন্তু গাড়ি না চালালে পেট চলবেনা। জ্যৈষ্ঠ মাস তবু বৃষ্টির দেখা নাই। বৃষ্টি হলে একটু স্বস্তি পাওয়া যেতো।
এ বিষয়ে আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ফজলে রাব্বী বলেন, তীব্র তাপদাহে সবাইকে যতো টুকু সময় পারা যায় ঘরে থাকতে হবে। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া রোদে বাহিরে না যাওয়াই ভালো। প্রয়োজনে ছাতা মাথায় দিয়ে চলাফেরা করতে হবে। শিশু ও বৃদ্ধের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। পর্যাপ্ত পানি পান এবং পুষ্টিকর ফল খেতে হবে। মাঝে মধ্যে ঠান্ডা পানিতে সুতি কাপড় ভিজিয়ে সমস্ত শরীর মুছে নেওয়া ভালো হবে। নরম ও সুতি কাপড় পরতে হবে। গরমে তৈলাক্ত খাবার না খেয়ে সাবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তাহলে একেকটা ভালো থাকা সম্ভব হবে।