অনুপ্রবেশ করতে নাফনদীর ওপাড়ে রোহিঙ্গাদের ঢল
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৫৭:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০২৪ ৭১ বার পড়া হয়েছে
মায়ানমারে গৃহযুদ্ধের তুমুল লড়াইয়ে গ্রাম ছাড়া হচ্ছে রোহিঙ্গারা। এরমধ্যে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে মায়ানমারের নাফনদীর তীরে আশ্রয় নিয়েছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা। এপাড়ে থাকা রোহিঙ্গাদের সাথে ভিডিও কলে কথা বলে র চলমান সংঘাতের বিবরণ দিচ্ছেন রোহিঙ্গাদের আত্মীয়-স্বজনরা।
এদিকে, রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাতে কড়া পাহারা বসিয়েছে। কঠোর নজরদারি চলছে দিনেও। এরমধ্যে বেশ কিছু রোহিঙ্গা গোপনে অনুপ্রবেশ করে দেশে ঢুকে পড়েছে। সংঘাতময় পরিস্থিতিতে গত এক সপ্তাহে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্য নাফনদীর ওপারে এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
অসমর্থিত একটি সূত্র জানিয়েছে, ঈদের পরই শাহপরীর দ্বীপের বিভিন্ন জায়গায় এসে আশ্রয় নিয়ে বেশ কিছু রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তাদের আত্মীয়-স্বজনের কাছে চলে গেছে।
পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা যুবক ছৈয়দুল্লাহ বলেন, এবার মায়ানমারের সেনাবাহিনীর পাশাপাশি মগদের সশস্ত্র বাহিনী আরাকান আর্মি (এএ) রাখাইনে মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর চড়াও হয়েছে। সংঘাত বেড়ে যাওয়ায় তারা এপাড়ে চলে আসতে বাধ্য হচ্ছে।
এদিকে, গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে শাহপরীর দ্বীপ নাফনদী-সংলগ্ন গোলাপাড়া ঝাউ বন বরাবর অনুপ্রবেশের সময় একটি রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকা আটক করে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। ইঞ্জিনচালিত বড় নৌকায় ২৬ জন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছিল বাংলাদেশে।
রোহিঙ্গা সংগঠন এফডিএমএন আরসির বোর্ড সদস্য ছৈয়দ উল্লাহ বলেন, আমরা বার বার তাদেরকে বলেছি এ দেশে না আসতে। প্রয়োজনে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে পালিয়ে থাকুক, তবু যেনো এপাড়ে না আসে। কারণ আমরা সাত বছরেও মায়ানমার ফেরত যেতে পারিনি। যদি বাকিরাও চলে আসে তাহলে আরাকানে রোহিঙ্গাদের শেকড় হারিয়ে যাবে।
আর প্রশাসন দাবি করছে, অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি-কোস্টগার্ডের পাশাপাশি প্রতিটি এলাকায় বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।
সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের উখিয়া উপজেলা সভাপতি নুর মোহাম্মদ সিকদার জানান, পুরাতন রোহিঙ্গা দালালরা এবং মায়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে আসার জন্য কিছু স্থানীয় দালাল সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। এদের মাধ্যমে এরই মধ্যে কিছু রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বর্তমানে নাফনদীর ওপাড়ের মনডিপাড়া চরে কমপক্ষে ৩ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানতে পেরেছি।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প-সংলগ্ন পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, যদি রোহিঙ্গারা ঢুকে পড়ে তবে তাদেরকে ফেরত পাঠানো কঠিন হয়ে যাবে। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে তারা যেনো বর্ডার অতিক্রম করতে না পারে।
টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধধুরী বলেন, বিষয়টি প্রতিনিয়ত মনিটরিং করছি যেনো কোনো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করতে না পারে।