নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ৩ জনকে কুপিয়ে জখম
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৫:৪০:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০২৪ ৪২ বার পড়া হয়েছে
নড়াইলের লোহাগড়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের জের ধরে কাশীপুর ইউনিয়নের চালিঘাট গ্রামে একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালিয়ে ও কুপিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৩ জনকে গুরুতর জখম করেছে। হামলার এক ঘন্টা পর পুলিশের সহযোগিতায় আহতদের লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার (২১ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, কাশীপুর ইউনিয়নের চালিঘাট গ্রামের ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলামসহ তার সমর্থকরা সদ্য সমাপ্ত উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী রুনু শিকদারের পক্ষে কাজ করে। আহত সংখ্যালঘুরা বিজয়ী চেয়ারম্যান ফয়জুল হক রোমের পক্ষে কাজ করে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে দ্বন্ধ চলে আসছিলো। এর জের ধরে শুক্রবার (২১জুন) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলামের নেতৃত্ব একদল দূর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে চালিঘাট গ্রামে হামলা চালায়।
এ ঘটনায় আহতরা হলো-মৃত রতন হীরার ছেলে রমেশ হীরা (৪৮), মৃত পুলিং বিশ্বাসের ছেলে প্রকাশ বিশ্বাস (৪৫) এবং মৃত মন্টু বাইনের ছেলে হরিদাস বাইন (৪০)। হামলার ঘটনার পর দূর্বৃত্তদের ভয়ে আহতদের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয় নাই। পরবর্তীতে পুলিশের সহযোগিতায় রাত ৯ টার দিকে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চালিঘাট ও গন্বব গ্রামে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম শনিবার (২২জুন) বিকালে বলেন,সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের রমেশ হীরা (৪৮), প্রকাশ বিশ্বাস (৪৫) এবং হরিদাস বাইন (৪০) কে আমার দলীয় কোন লোক মারপিট বা কুপিয়ে আহত করে নাই, প্রতিপক্ষের লোকজন দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে আমার বিরুদ্ধে ।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আহতদের রাতেই উদ্ধার করে লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।