নওগাঁ বেসরকারি সাহিন স্কুলের নামে চলছে রমরমা ব্যবসা
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:০৮:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর ২০২৪ ১৩ বার পড়া হয়েছে
নওগাঁ বেসরকারি সাহিন স্কুলের বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম। স্কুল কর্তৃপক্ষ সরকারি কোন নিয়মের তোয়াক্কা না করেই। তাদের মনে যা চায় সেটাই নিয়ম বলে, ছাত্র / ছাত্রীদের উপরে চাপিয়ে দেন। নওগাঁ শহরের উকিল পাড়ায় একটা ভাড়া বাসায় দীর্ঘ দিন থেকে তারা স্কুলের নামে রমরমা ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছে। সেখানে প্রধান শিক্ষক আছেন ২ জন,প্রধান শিক্ষক মোঃ রেজাউল করিম এবং প্রধান শিক্ষক মোঃ রেজাউল করিম রেজা।একই রাজ্যে দুই রাজার শাসন চলছে বলে মনে হয়।
সাহিন স্কুলের মোট ছাত্র ও ছাত্রী সংখ্যা প্রায় ৭০০ সাতশত জন।বাসার আয়তন দেখে মনে হয় এত ছাত্র /ছাত্রী কিভাবে এই স্হানে কিভাবে এক সাথে লেখা পড়া করে এই ছাত্র / ছাত্রীর সংখ্যা প্রধান শিক্ষক রেজাউল ইসলাম রেজা নিজেই প্রতিবেদকের কাছে প্রকাশ করেন। প্লে হতে ২য় শ্রেনী সকাল ৮ টা হতে ১১ টা পর্যন্ত ক্লাস করে এবং তৃতীয় শ্রেনী হতে ১০ শ্রেনী পর্যন্ত সকাল ৮ টা হতে বৈকাল ২ টা পর্যন্ত টানা ক্লাস করতে হয়। মাঝখানে ১১ টার পরে ৩০ মিনিট টিফিন খেতে বিরতি হয়।
প্লে হতে ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত মাসিক বেতন দিতে হয়,৭০০ শত টাকা এবং ৬ ষষ্ঠ শেনী হতে ১০ ম শ্রেনী পর্যন্ত,মাসিক বেতন দিতে হয়, ১০০০ এক হাজার টাকা। ড্রেস সহ আনুষাঙ্গিক সব কিছু ছাত্র / ছাত্রীদের বহন করতে হয়।বিভিন্ন ছাত্র ও ছাত্রীদের গার্জেনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষীতে স্কুলে গিয়ে আরও জানা যায়, ছাত্র/ছাত্রীদের গার্জেন যদি কোন অভিযোগ করেন তাহলে, প্রধান শিক্ষক সহ বেশ কিছু শিক্ষক গার্জেনদের সাথে খুব খারাপ ব্যাবহার করেন।সেই গার্জেন কে হুমকি দেন বেশি বাড়াবাড়ি করলে আপনার সন্তান কে স্কুল থেকে বের করে দিব।কয়েকজন গার্জেন কে স্কুল ও শিক্ষক সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞেস করলে ভয়ে মূখ খুলতে রাজি হন না।বলেন আমার সন্তান এই স্কুলে লেখা পড়া করে কেহ জানতে পারলে আমার সন্তান কে মারধর করবে এবং পরীক্ষায় ফেল করে দিবে। তাদের দ্বাবি এই ছোট ছোট বাচ্চাদের এত সময় ধরে ক্লাসে থাকা খুব কষ্টকর।
এই বিষয় গুলো নিয়ে প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম রেজার সাথে কথা বললে তিনি টেলিভিশনের ক্যামেরার সামনে কথা বলতে অনিচ্ছুক তাই টেলিভিশনে সাক্ষাৎ নেওয়া সম্ভব হয় নাই। ২য় প্রধান শিক্ষক নওগাঁর বাহিরে থাকায় তার সাক্ষাৎ নেওয়া সম্ভব হয় নাই তবে মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে।
এই বিষয় গুলো নিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি জানান, এসব প্রাইভেট স্কুলের বিষয়ে আমাদের করনীয় কিছু নাই। তাদের ব্যাক্তিগত নিয়মে তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। শেষে এডিসি জেনারেল শিক্ষা (আইসিটি) সাহেবের সাথে মোবাইল ফোনে বিস্তারিত বললে তিনি বলেন আমি বিষয়টি জানি না তবে কেহ আমাকে লিখিত অভিযোগ দিলে আমি প্রয়জনীয় ব্যাবস্হা গ্রহন করবো।
এখন জনমনে প্রশ্ন তাহলে কোন আইনের উপর ভিত্তি করে বেসরকারি বিভিন্ন প্রাইভেট স্কুল চলছে যা নাকি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কোন কিছু বলতে পারবেন না। আমরা চাই সকল শিক্ষা প্রতিষ্টানের ছাত্র / ছাত্রীদের বেতন সহ বিভিন্ন নিয়ম সরকারি ভাবে পরিচালিত হউক এবং একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সুন্দর পরিবেশ ও খোলা মেলা আবহাওয়ার মধ্যে গড়ে উঠুক এবং আগামী প্রজন্ম যেন সুন্দর হয় এই কামনা করে সকল ছাত্র /ছাত্রীদের গার্জেন গন।