বললেন তারেক রহমান
অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:১০:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৭ বার পড়া হয়েছে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মাফিয়া সরকারের রেখে যাওয়া ভঙ্গর রাষ্ট্রকে মেরামত করার জন্য কাজ করছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, কোনোভাবে অন্তবর্তী সরকারকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। কারণ এই সরকারের ব্যর্থতা মানে গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তির ব্যর্থতা, বাংলাদেশের পক্ষের শক্তির ব্যর্থতা।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তারেক রহমান বলেন, ধর্মীয় কিংবা সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য নির্ধারণের জন্য সংখ্যালঘু কিংবা সংখ্যাগুরু একটি শব্দ মাত্র। রাষ্ট্রীয় কিংবা সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংখ্যালঘু কিংবা সংখ্যাগুরু শব্দটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। বরং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, রাষ্ট্র এবং সমাজে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং আইনের শাসন নিশ্চিত করা। রাষ্ট্রে গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন না থাকলে হোক সংখ্যাগুরু বা হোক সংখ্যালঘু কেউ কিন্তু নিরাপদ নয়।
মাফিয়া সরকারের শাসনামলে গত ১৫ বছরে দেশে গণতন্ত্র কিংবা আইনের শাসন একেবারেই ছিল না। বিএনপিসহ দেশের গণতন্ত্রের পক্ষের রাজনৈতিক দল এবং ভিন্ন মতের কেউ কিন্তু নিরাপদ ছিলেন না।
সংখ্যালঘু কিংবা সংখ্যাগুরু সবার নিরাপত্তা এবং অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গণতন্ত্রের পক্ষের সকল রাজনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক দল ও সংগঠনগুলোকে সঙ্গে নিয়ে দেশে গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিএনপির অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার।
তারেক রহমান বলেন, মাফিয়া সরকারের রেখে যাওয়া ভঙ্গুর রাষ্ট্রটিকে মেরামত করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছে। ১৫ বছরের জঞ্জাল ভেদ করে চলমান সংস্কার কার্যক্রম অবশ্যই একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ। তবে খেয়াল রাখা জরুরি, এই বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্পাদান করতে গিয়ে জনগণের প্রতিদিনের দুঃখ-দুর্দশা লাগব করা না গেলে, জনগণের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থান নিশ্চিত করার বিষয়টি উপেক্ষিত থাকলে অন্তর্বর্তী সরকারের সকল সংস্কার কার্যক্রম জনগণের প্রশ্নের মুখে পড়বে। সুতরাং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কার্যক্রমে অগ্রাধিকার ভিত্তিক এজেন্ডা নির্ধারণ করা অত্যন্ত জরুরি।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কেন এই সংবিধানের অধিনে শপথ নিয়েছেন, কিংবা বর্তমান এই সরকার কী বিপ্লবী সরকার, এই বিষয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বর্তমান পর্যায়ে এসে সরকারের গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে যে ধরনের প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, এধরনের বিতর্ক সরকারের গতিশীলতাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। সরকারকে লক্ষ্যচ্যুত হওয়ার কারণও হতে পারে।
তিনি বলেন, এই কারণে বিএনপি মনে করে, রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো সরাসরি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা কিংবা সরাসরি সংবিধানের বিধি বিধানের সাথে সংশ্লিষ্ট সেসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তাড়াহুড়া পরিহার করে একটি সুচিন্তিত, সুবিবেচিত পদ্ধতি অনুসরণ করা হলে ভবিষ্যতে উত্থাপিত যেকোন ধরনের জটিল প্রশ্ন কিংবা পরিস্থিতি মোকাবেলাও সহজ হবে।