ঢাকা ০২:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উপদেষ্টা নাহিদের সাথে অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:৫১:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অন্তর্বতীকালীন সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মোঃ নাহিদ ইসলামের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসন এবং যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক সাক্ষাৎ করেছেন।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সচিবালযয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অফিস কক্ষে পৃথক বৈঠকে কূটনীতিকবৃন্দ উপদেষ্টা মোঃ নাহিদ ইসলামের সাথে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন।

উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এটি ছাত্র-জনতার সরকার এবং এই সরকারের মূল লক্ষ নতুন বাংলাদেশকে পুনর্গঠন করা, এজন্য অস্ট্রেলিয়া সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের যুবসমাজ তথ্য প্রযুক্তিতে আগ্রহী এবং পারদর্শী। তিনি তথ্যপ্রযুক্তি খাতে যুবসমাজকে অধিকতর দক্ষ করে গড়ে তুলতে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। পাশাপাশি সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে ট্রেনিং প্রদানের জন্য অস্ট্রেলিয়াকে অনুরোধ করেন।

হাইকমিশনার তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অগ্রাধিকার বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, তিনি এমন একটি তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টর গড়ে তুলতে চান যা দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে।

নাহিদ ইসলাম আন্দোলনের সময় হত্যাকাণ্ডের আন্তর্জাতিক বিচার করার ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, বিশ্ববাসীর জানুক আন্দোলনের সময় বাংলাদেশের আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার সাথে কি নিষ্ঠুর আচরণ করা হয়েছে।

ব্যবসা এবং বিনিয়োগে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া যৌথভাবে কাজ করবে উল্লেখ করে আলোচনা শেষ হয়।

এরপর ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সাথে সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা জানি যুক্তরাজ্য প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে এবং এ বিষয়ে তাদের জ্ঞানও অনেক। এই বিষয়গুলো যদি আমাদের সাথে শেয়ার করা যায় তাহলে আমাদের সরকার তথা দেশের মানুষ উপকৃত হবে।

উপদেষ্টা আরো বলেন, আইসিটি ডিভিশনে আমাদের কিছু প্রকল্প আছে যাতে তরুণদের নতুন নতুন উদ্যোগকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করা হয় সেই প্রকল্প গুলো আরো আধুনিকায়ন করা প্রয়োজন। হাইকমিশনার ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, বিগত সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের নামে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি করেছে। আমাদের ডাটাবেজ এবং ইনফরমেশন আপ টু ডেট রাখার মাধ্যমে সেই বিষয়ে স্বচ্ছতা আনার চেষ্টা করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

উপদেষ্টা নাহিদের সাথে অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:৫১:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অন্তর্বতীকালীন সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মোঃ নাহিদ ইসলামের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসন এবং যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক সাক্ষাৎ করেছেন।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সচিবালযয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অফিস কক্ষে পৃথক বৈঠকে কূটনীতিকবৃন্দ উপদেষ্টা মোঃ নাহিদ ইসলামের সাথে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন।

উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এটি ছাত্র-জনতার সরকার এবং এই সরকারের মূল লক্ষ নতুন বাংলাদেশকে পুনর্গঠন করা, এজন্য অস্ট্রেলিয়া সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের যুবসমাজ তথ্য প্রযুক্তিতে আগ্রহী এবং পারদর্শী। তিনি তথ্যপ্রযুক্তি খাতে যুবসমাজকে অধিকতর দক্ষ করে গড়ে তুলতে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। পাশাপাশি সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে ট্রেনিং প্রদানের জন্য অস্ট্রেলিয়াকে অনুরোধ করেন।

হাইকমিশনার তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অগ্রাধিকার বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, তিনি এমন একটি তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টর গড়ে তুলতে চান যা দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে।

নাহিদ ইসলাম আন্দোলনের সময় হত্যাকাণ্ডের আন্তর্জাতিক বিচার করার ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, বিশ্ববাসীর জানুক আন্দোলনের সময় বাংলাদেশের আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার সাথে কি নিষ্ঠুর আচরণ করা হয়েছে।

ব্যবসা এবং বিনিয়োগে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া যৌথভাবে কাজ করবে উল্লেখ করে আলোচনা শেষ হয়।

এরপর ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সাথে সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা জানি যুক্তরাজ্য প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে এবং এ বিষয়ে তাদের জ্ঞানও অনেক। এই বিষয়গুলো যদি আমাদের সাথে শেয়ার করা যায় তাহলে আমাদের সরকার তথা দেশের মানুষ উপকৃত হবে।

উপদেষ্টা আরো বলেন, আইসিটি ডিভিশনে আমাদের কিছু প্রকল্প আছে যাতে তরুণদের নতুন নতুন উদ্যোগকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করা হয় সেই প্রকল্প গুলো আরো আধুনিকায়ন করা প্রয়োজন। হাইকমিশনার ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, বিগত সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের নামে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি করেছে। আমাদের ডাটাবেজ এবং ইনফরমেশন আপ টু ডেট রাখার মাধ্যমে সেই বিষয়ে স্বচ্ছতা আনার চেষ্টা করছি।