পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি আর এখন সরকার পতনের কথা বলে না। তারা এখন খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়। খালেদা জিয়ার অসুস্থতায় বিএনপির নেতারা খুশী হন। তারা এখন তারেক ভীতির শঙ্কায় ভুগছেন। বিএনপির মহাসচিবও সেই শঙ্কার মধ্যে আছেন।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতসহ সব অপশক্তি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে বসেছিলো। কিন্তু তাদের সেই অপচেষ্টা নস্যাৎ হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৮১টি দেশ ও ৩২টি আন্তর্জাতিক সংস্থা অভিনন্দন জানিয়েছেন।

শুক্রবার (৫ জুলাই) নীলফামারীর সৈয়দপুরে আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগীয় বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন। শহরের পার্বতীপুর সড়কের ড্রিম প্লাস হোটেল এন্ড রিসোটে হলরুমে বিকেল তিনটায় ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন,আওয়ামী লীগের প্রাণ হচ্ছে তৃণমূলের নেতাকর্মী। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মেধা ও শ্রমের কারেণ দল পাঁচ পাঁচ বার ক্ষমতায়। তাই তৃণমূলের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত ও দলকে ঐক্যবদ্ধ করতেই আজকে দলের রংপুর বিভাগীয় এই বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমাদের শক্তি হচ্ছে দল ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর আমাদের দলের সকল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলকে এগিয়ে নিতে হবে এটাই প্রধানমন্ত্রীর বার্তা।

ভারতকে ট্রানজিট দিচ্ছি বিধায় দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট হচ্ছে, বিএনপির এমন অভিযোগ নাকচ করে তিনি বলেন, আমরাও ভারতের ওপর দিয়ে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ নিয়ে আসছি। আগামীতে ভূট্টান থেকে ভারতের ওপর দিয়ে জলবিদ্যুৎ আসবে। আর ঢাকা- কোলকাতা রুটে ট্রেন চলছে বহু বছর ধরে। নৌপথে পণ্য নিয়ে যাচ্ছে ভারত। ভূট্টান ও নেপালও ভারতের ওপর দিয়ে পণ্য দিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর শেষে ফিরে আসার পর বিএনপি নানা বক্তব্য রাখছেন। কারণ তারা সমঝোতা স্মারক ও চুক্তির মানে বোঝে না। এর আগেও বিএনপি বলেছিল সাবমেরিন যুক্ত হলে দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট হবে। পরে আমাদের অর্থের বিনিময়ে সাবমেরিনের সঙ্গে যুক্ত হতে হয়েছে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. শাহাজাহান খান এমপির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এইচ এম আশিকুর রহমান, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া ও অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমি।

বর্ধিত সভায় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাবেক রেলপথ মন্ত্রী এ্যাডভোকট নুরুল ইসলাম সুজন, নীলফামারী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।