ঢাকা ১০:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এনবিআরের মতিউরই ছাগলকাণ্ডের ইফাতের বাবা!

বিশেষ প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:৩৮:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪ ৭১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছাগলকাণ্ডে আলোচিত মুশফিকুর রহমান ইফাতের বাবা এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমানই। ইফাত মতিউর রহমানের দ্বিতীয় সংসারের প্রথম সন্তান।এ তথ্য জানিয়েছেন ফেনী-২ আসনের এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) তিনি সংবাদমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেছেন, মুশফিকুর রহমান ইফাত আমার ভাগ্নে। সে আমার মামাতো বোনের ছেলে, এটাও সঠিক। মেজো মামার মেয়ে (ইফাতের মা শাম্মি আখতার শিবলী)। আর ইফাতের বাবা মতিউর রহমান আমার মামাতো বোনের স্বামী। তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা।

ছাগল নিয়ে ছবি ভাইরাল হওয়া যুবক মুশফিকুর রহমান ইফাত ও তার মা শাম্মি আখতার শিবলীকে চেনেন না বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্মকর্তা মতিউর রহমান। অন্যদিকে গুঞ্জন উঠেছে এরইমধ্যে হয়তো দেশ ছেড়েছেন এনবিআর কর্মকর্তার ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত।

সম্প্রতি, ছাগলের ছবি তুলে ভাইরাল হওয়া যুবক মুশফিকুর রহমান ইফাত যে মোবাইল নাম্বারটি ব্যবহার করেছেন সেটা তার মা শাম্মি আখতার শিবলীর জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে তোলা। আর সেই পরিচয়পত্রে শাম্মি আখতারের স্বামীর নামের জায়গায় রয়েছে মতিউর রহমান। যদিও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মতিউর রহমানের দাবি, এটি অন্য কোনো মতিউর রহমান।

তবে ইফাতদের এক সময়ের গাড়িচালকও সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তার বাবা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মতিউর রহমানই।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মতিউর রহমানের দাবি করেন ইফাত তার ছেলে তো নয়ই, এমনকি এই নামে তার কোনো আত্মীয় স্বজনও নেই।

এ বিষয়ে মতিউর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমি নিজেও আর্শ্চয, এমনভাবে ট্রোল হচ্ছে, যা আমার পরিবারের জন্য ক্ষতিকর।

জানা যায়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা মতিউর রহমানের বাড়ি বরিশালের মুলাদি উপজেলায়। তার প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ নরসিংদী জেলার রায়পুরা থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান। এই সংসারে তার এক ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে।

এনবিআরের একাধিক সূত্রের তথ্যমতে, ১১তম বিসিএসে বাণিজ্য ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন মতিউর রহমান। পরে ক্যাডারের ৭ কর্মকর্তাকে কাস্টমস ক্যাডারে একীভূত করা হয়। মতিউর রহমানও এরমধ্যে একজন।

এদিকে, ছেলের ছাগল-কাণ্ডের পর আলোচনা এখন মতিউর রহমানের সম্পদের দিকে গড়িয়েছে। তার কতো সম্পদ রয়েছে, তা নিয়েও আলোচনা চলছ। চট্টগ্রাম, গাজীপুর ও নরসিংদীতে তার এবং তার পরিবারের সদস্যদের নামে অনেক সম্পত্তি রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমনটা অনেকে লিখছেন। এরমধ্যে শেয়ারবাজারে তার বিপুল বিনিয়োগের খবরও পাওয়া গেছে। তিনি সরকারি কর্মকর্তা হলেও শেয়ারবাজারে প্লেসমেন্ট শেয়ারের বড় ব্যবসায়ী।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

এনবিআরের মতিউরই ছাগলকাণ্ডের ইফাতের বাবা!

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:৩৮:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪

ছাগলকাণ্ডে আলোচিত মুশফিকুর রহমান ইফাতের বাবা এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমানই। ইফাত মতিউর রহমানের দ্বিতীয় সংসারের প্রথম সন্তান।এ তথ্য জানিয়েছেন ফেনী-২ আসনের এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) তিনি সংবাদমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেছেন, মুশফিকুর রহমান ইফাত আমার ভাগ্নে। সে আমার মামাতো বোনের ছেলে, এটাও সঠিক। মেজো মামার মেয়ে (ইফাতের মা শাম্মি আখতার শিবলী)। আর ইফাতের বাবা মতিউর রহমান আমার মামাতো বোনের স্বামী। তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা।

ছাগল নিয়ে ছবি ভাইরাল হওয়া যুবক মুশফিকুর রহমান ইফাত ও তার মা শাম্মি আখতার শিবলীকে চেনেন না বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্মকর্তা মতিউর রহমান। অন্যদিকে গুঞ্জন উঠেছে এরইমধ্যে হয়তো দেশ ছেড়েছেন এনবিআর কর্মকর্তার ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাত।

সম্প্রতি, ছাগলের ছবি তুলে ভাইরাল হওয়া যুবক মুশফিকুর রহমান ইফাত যে মোবাইল নাম্বারটি ব্যবহার করেছেন সেটা তার মা শাম্মি আখতার শিবলীর জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে তোলা। আর সেই পরিচয়পত্রে শাম্মি আখতারের স্বামীর নামের জায়গায় রয়েছে মতিউর রহমান। যদিও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মতিউর রহমানের দাবি, এটি অন্য কোনো মতিউর রহমান।

তবে ইফাতদের এক সময়ের গাড়িচালকও সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তার বাবা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মতিউর রহমানই।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মতিউর রহমানের দাবি করেন ইফাত তার ছেলে তো নয়ই, এমনকি এই নামে তার কোনো আত্মীয় স্বজনও নেই।

এ বিষয়ে মতিউর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমি নিজেও আর্শ্চয, এমনভাবে ট্রোল হচ্ছে, যা আমার পরিবারের জন্য ক্ষতিকর।

জানা যায়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা মতিউর রহমানের বাড়ি বরিশালের মুলাদি উপজেলায়। তার প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ নরসিংদী জেলার রায়পুরা থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান। এই সংসারে তার এক ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে।

এনবিআরের একাধিক সূত্রের তথ্যমতে, ১১তম বিসিএসে বাণিজ্য ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন মতিউর রহমান। পরে ক্যাডারের ৭ কর্মকর্তাকে কাস্টমস ক্যাডারে একীভূত করা হয়। মতিউর রহমানও এরমধ্যে একজন।

এদিকে, ছেলের ছাগল-কাণ্ডের পর আলোচনা এখন মতিউর রহমানের সম্পদের দিকে গড়িয়েছে। তার কতো সম্পদ রয়েছে, তা নিয়েও আলোচনা চলছ। চট্টগ্রাম, গাজীপুর ও নরসিংদীতে তার এবং তার পরিবারের সদস্যদের নামে অনেক সম্পত্তি রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমনটা অনেকে লিখছেন। এরমধ্যে শেয়ারবাজারে তার বিপুল বিনিয়োগের খবরও পাওয়া গেছে। তিনি সরকারি কর্মকর্তা হলেও শেয়ারবাজারে প্লেসমেন্ট শেয়ারের বড় ব্যবসায়ী।