ঢাকা ০৬:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোবাইল নেটওয়ার্ক’র মান নিয়ে প্রশ্ন, ক্ষোভ ব্যবহারকারীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:১৭:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বর্তমানে বিশ্ব অনেক এগিয়েছে এটা হরহামেশাই বলা যায়। মুহূর্তের মধ্যে এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ঘটানো যায় অনেক কিছু। বাংলাদেশও উন্নত দেশগুলোর পথেই হাঁটছে। বর্তমানে বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে। যার ছোঁয়ার একটা প্রভাব স্মার্ট মোবাইল ফোন। বর্তমানে বাংলাদেশে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক। আর সেই মোবাইল ফোন গুলোকে সার্ভিস দিচ্ছে বিভিন্ন সিম কোম্পানি।

বাংলাদেশে মোবাইল অপারেটর হিসাবে সারাদেশে গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি, এয়ারটেল কোম্পানিগুলো সেবা দিয়ে থাকে। এগুলোর মধ্যে গ্রামীণফোন অন্যতম। সারাদেশে অন্যান্য অপারেটর এর চেয়ে গ্রামীণফোন ব্যবহাকরীর সংখ্যাও কম নয়। ব্যবহারকারীরা ব্যবহার করে থাকে ভয়েস কল ও ইন্টারনেট। মোবাইলের নেটওয়ার্ক সমস্যায় পড়েননি এমন মোবাইল ব্যবহারকারী খুঁজে পাওয়া যায় না। কোনো না কোনো সময়ে মোবাইলের নেটওয়ার্কের ঝামেলায় পড়তে হয়। অনেক সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে অনেক সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যায়। সাধারণত মানুষ তাদের প্রয়োজনে মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে থাকে, কিন্তু কোন কোন ক্ষেত্রে ঘটে এর বিপরীত।

কারণ মানুষ যখন তার প্রয়োজনীয় কথা বলে বা বলতে চাই তখন এমন ঘটনাও ঘটে কল ড্রপ বা নেটওয়ার্ক শূন্য আবার কখনো কখনো ইমার্জেন্সিও দেখায়, যার ফলে ঘটে সকল শ্রেণি- পেশার মানুষের সমস্যা। কিছু কিছু মানুষ নিজের প্রয়োজনে সরকারি, বেসরকারি, আধাসরকারি, শায়িত শাসিত প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতমকর্মকর্তার সাথে কথা বলতে বলতে কল কেটে যায়, এ কারনে বড় সমস্যায় পড়তে হয় গ্রাহকে বা কলারকে। আবার এ ধরনের সমস্যার কারনে অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটে জায়, যা একেবারে কাম্যনয়। নেটওয়ার্ক এর কারণে কল কেটে গেলে অপরজন মনে করে ইচ্ছাকৃতভাবে কল কেটে দিলো, এটাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় দুজনের মধ্যে ঝামেলা। এ ধরনের ঘটনাও কম নয় বিভিন্ন এলাকায়।

আর এ ধরনের সমস্যায় ভুগছে হরিশংকরপুর, কুমার পাড়া, বাঙাবাড়ী, খড়পাড়া, সাহেব নগর, পিরিজপুর, পিরিজ পুর লাইন পাড়া, দিয়াড় মহব্বতপুর হরিশংকরপুর লাইন পাড়া গ্রামের মোবাইল ব্যবহারকারীরা। এসব এলাকার মানুষকে কিছু যায়গা নির্দিষ্ট করে নিতে হয় কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য। এই এলাকার মানুষ সাধারণত বাড়ির ভিতরে নেটওয়ার্ক সিগন্যাল পাইনা বললেও চলে, যদি আবার নেটওয়ার্ক পায়েও তা ঘরের কোন কোণা বা বাড়ির আঙিনা, বেলকনিতে।

স্থানীয় সূত্রে জানা জায়, মোবাইল ব্যবহারকারীরা সিম কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করলে, তারা বলে এ নিয়ে কাজ চলছে সমাধান হলে জানিয়ে দেওয়া হবে। স্থানীয় মানুষজন বলছে, তাদের এ ধরনের বক্তব্য ২০১৬ সাল থেকে শুনেছি। কিন্তু এর সমাধান দেখছিনা।

মূলত মোবাইল টাওয়ারগুলো সমান দূরত্বে হওয়ার কথা, যাতে ফোনের ট্রান্সমিশন রেঞ্জের মধ্যে সহজেই হয় এবং তা নিখুঁত কাঠামোর- কিন্তু তা সবক্ষেত্রে হয় না।

মোবাইল টাওয়ার স্থাপন করা হয় যেখানে সবচেয়ে বেশি বাস্তবিক এবং ব্যবসায়িক সুবিধা রয়েছে সেখানে। শহরাঞ্চলে কাছাকাছি অনেক টাওয়ার থাকে কিন্তু গ্রামাঞ্চলে এর দূরত্ব অনেক বেশি থাকে। টাওয়ার থেকে আপনি যতদূরে অবস্থান করবেন, নেটওয়ার্ক তত দুর্বল থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। মোবাইল নেটওয়ার্ক আপ-ডাউন এর কারণে মোবাইল এর ব্যাটারীর চার্জ তাড়াতাড়ি ডিসচার্জ হয়।

মোবাইল ব্যাবহারকারী মোঃ রাসেল (৩৫) বলেন, ভাই কি আর বলবো নেটওয়ার্ক থাকেনা মাঝে মাঝে আসে। আমার বাড়িতে ও আমার বাড়ির আশেপাশে নেট পাইনা। বাড়ির সাথে যখন কথা বলি হঠাৎ কল কাট্যা গেলে বাড়ির মানুষ মনে করে আমাকে কিনে দিবেনা তাই কল কাট্যা দিয়াছে। পরে যখন বাড়ি যায় তখন শুরু হয় বর্ষণ মানে কথার ঝাল।


কথা হয় আরেক মুদি ব্যবসায়ী হাসান আলীর সাথে, সে জানায় আমি ফ্লেক্সি লোড দেয় কিন্তু একটা নাম্বারে টাকা রিচার্জ করতে দুই থেকে তিনবার চেষ্টা করে সফল হতে পারি, ভয়েস কলে কথা বললে কথা আটকে – আটকে আসে, আমার দোকানে এ অবস্থা আর বাড়ির অবস্থা কি বলবো বাড়িতেতো নেটওয়ার্ক পাইনা বললেই চলে, কথা বললে একবার বাইরে একবার ভিতরে, একবার বাইরে একবার ভিতরে যাওয়া – আসা করে কথা বলতে হয়, তাছাড়া ঘরের ভিতরেতো নেটওয়ার্ক বার লাল দেখায়। আর ইন্টারনেট ব্যবহার করা সম্ভবই হয় না। আমি জিপি অফিসে নেটওয়ার্ক বিষয়ে কথা বলেছি তারা বলেছে, আপনার বিষয়টি কম্পিলিন আকারে রেখে দিলাম, আপনার কম্পিলিন নং Ticket ID: C2024042400101 পরবর্তীতে আপনাকে জানানো হবে।

অন্যের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য মোবাইলের গুরুত্ব নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। অথচ এমনটা হয় যে, আপনি কাউকে ফোন করবেন কিন্তু আপনার মোবাইল নেটওয়ার্ক পাচ্ছে না কিংবা আপনি ভালোমতো যোগাযোগ করতে পারছেন না কারণ নেটওয়ার্ক সমস্যায় ফোনের লাইন বারবার কেটে যাচ্ছে।

আগের তুলনায় মোবাইল এখন আমাদের আরও বেশি সংস্পর্শে থাকে। মোবাইল এবং নেটওয়ার্ক নিয়ে আপনি যতটা খুশি থাকেন, সবসময় কিন্তু তা ততটা ভালো কাজ নাও করতে পারে।

আপনার মোবাইল রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করে একটি মোবাইল টাওয়ারের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে, যা একটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অন্য টাওয়ারে প্রেরণ করে এবং অন্য একটি ফোনও একইভাবে সংযুক্ত হয়।

জনসংখ্যার ঘনত্ব অবশ্যই একটা বড় ফ্যাক্টর কিন্তু তারপর কঠিন ভূখন্ডের ওপর টাওয়ার স্থাপন অতিরিক্ত খরচের ব্যাপার থাকে এবং নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের একটি এলাকায় একটি কুদর্শন মোবাইল টাওয়ার স্থাপন প্রায়ই নিষিদ্ধ করা হয়।

স্বাভাবিক নিয়মানুযায়ী, আপনি অন্য মানুষ থেকে যতটা দূরত্বে অবস্থান করবেন, মোবাইল নেটওয়ার্ক সে ক্ষেত্রে দুর্বল হবে। পাহাড়-পর্বত, ভবন এমনকি গাছও অনেক সময় নেটওয়ার্ক সংকেতের বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মোবাইল নেটওয়ার্ক’র মান নিয়ে প্রশ্ন, ক্ষোভ ব্যবহারকারীদের

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:১৭:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪

বর্তমানে বিশ্ব অনেক এগিয়েছে এটা হরহামেশাই বলা যায়। মুহূর্তের মধ্যে এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ঘটানো যায় অনেক কিছু। বাংলাদেশও উন্নত দেশগুলোর পথেই হাঁটছে। বর্তমানে বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হয়েছে। যার ছোঁয়ার একটা প্রভাব স্মার্ট মোবাইল ফোন। বর্তমানে বাংলাদেশে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক। আর সেই মোবাইল ফোন গুলোকে সার্ভিস দিচ্ছে বিভিন্ন সিম কোম্পানি।

বাংলাদেশে মোবাইল অপারেটর হিসাবে সারাদেশে গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি, এয়ারটেল কোম্পানিগুলো সেবা দিয়ে থাকে। এগুলোর মধ্যে গ্রামীণফোন অন্যতম। সারাদেশে অন্যান্য অপারেটর এর চেয়ে গ্রামীণফোন ব্যবহাকরীর সংখ্যাও কম নয়। ব্যবহারকারীরা ব্যবহার করে থাকে ভয়েস কল ও ইন্টারনেট। মোবাইলের নেটওয়ার্ক সমস্যায় পড়েননি এমন মোবাইল ব্যবহারকারী খুঁজে পাওয়া যায় না। কোনো না কোনো সময়ে মোবাইলের নেটওয়ার্কের ঝামেলায় পড়তে হয়। অনেক সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে অনেক সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যায়। সাধারণত মানুষ তাদের প্রয়োজনে মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে থাকে, কিন্তু কোন কোন ক্ষেত্রে ঘটে এর বিপরীত।

কারণ মানুষ যখন তার প্রয়োজনীয় কথা বলে বা বলতে চাই তখন এমন ঘটনাও ঘটে কল ড্রপ বা নেটওয়ার্ক শূন্য আবার কখনো কখনো ইমার্জেন্সিও দেখায়, যার ফলে ঘটে সকল শ্রেণি- পেশার মানুষের সমস্যা। কিছু কিছু মানুষ নিজের প্রয়োজনে সরকারি, বেসরকারি, আধাসরকারি, শায়িত শাসিত প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতমকর্মকর্তার সাথে কথা বলতে বলতে কল কেটে যায়, এ কারনে বড় সমস্যায় পড়তে হয় গ্রাহকে বা কলারকে। আবার এ ধরনের সমস্যার কারনে অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটে জায়, যা একেবারে কাম্যনয়। নেটওয়ার্ক এর কারণে কল কেটে গেলে অপরজন মনে করে ইচ্ছাকৃতভাবে কল কেটে দিলো, এটাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় দুজনের মধ্যে ঝামেলা। এ ধরনের ঘটনাও কম নয় বিভিন্ন এলাকায়।

আর এ ধরনের সমস্যায় ভুগছে হরিশংকরপুর, কুমার পাড়া, বাঙাবাড়ী, খড়পাড়া, সাহেব নগর, পিরিজপুর, পিরিজ পুর লাইন পাড়া, দিয়াড় মহব্বতপুর হরিশংকরপুর লাইন পাড়া গ্রামের মোবাইল ব্যবহারকারীরা। এসব এলাকার মানুষকে কিছু যায়গা নির্দিষ্ট করে নিতে হয় কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য। এই এলাকার মানুষ সাধারণত বাড়ির ভিতরে নেটওয়ার্ক সিগন্যাল পাইনা বললেও চলে, যদি আবার নেটওয়ার্ক পায়েও তা ঘরের কোন কোণা বা বাড়ির আঙিনা, বেলকনিতে।

স্থানীয় সূত্রে জানা জায়, মোবাইল ব্যবহারকারীরা সিম কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করলে, তারা বলে এ নিয়ে কাজ চলছে সমাধান হলে জানিয়ে দেওয়া হবে। স্থানীয় মানুষজন বলছে, তাদের এ ধরনের বক্তব্য ২০১৬ সাল থেকে শুনেছি। কিন্তু এর সমাধান দেখছিনা।

মূলত মোবাইল টাওয়ারগুলো সমান দূরত্বে হওয়ার কথা, যাতে ফোনের ট্রান্সমিশন রেঞ্জের মধ্যে সহজেই হয় এবং তা নিখুঁত কাঠামোর- কিন্তু তা সবক্ষেত্রে হয় না।

মোবাইল টাওয়ার স্থাপন করা হয় যেখানে সবচেয়ে বেশি বাস্তবিক এবং ব্যবসায়িক সুবিধা রয়েছে সেখানে। শহরাঞ্চলে কাছাকাছি অনেক টাওয়ার থাকে কিন্তু গ্রামাঞ্চলে এর দূরত্ব অনেক বেশি থাকে। টাওয়ার থেকে আপনি যতদূরে অবস্থান করবেন, নেটওয়ার্ক তত দুর্বল থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। মোবাইল নেটওয়ার্ক আপ-ডাউন এর কারণে মোবাইল এর ব্যাটারীর চার্জ তাড়াতাড়ি ডিসচার্জ হয়।

মোবাইল ব্যাবহারকারী মোঃ রাসেল (৩৫) বলেন, ভাই কি আর বলবো নেটওয়ার্ক থাকেনা মাঝে মাঝে আসে। আমার বাড়িতে ও আমার বাড়ির আশেপাশে নেট পাইনা। বাড়ির সাথে যখন কথা বলি হঠাৎ কল কাট্যা গেলে বাড়ির মানুষ মনে করে আমাকে কিনে দিবেনা তাই কল কাট্যা দিয়াছে। পরে যখন বাড়ি যায় তখন শুরু হয় বর্ষণ মানে কথার ঝাল।


কথা হয় আরেক মুদি ব্যবসায়ী হাসান আলীর সাথে, সে জানায় আমি ফ্লেক্সি লোড দেয় কিন্তু একটা নাম্বারে টাকা রিচার্জ করতে দুই থেকে তিনবার চেষ্টা করে সফল হতে পারি, ভয়েস কলে কথা বললে কথা আটকে – আটকে আসে, আমার দোকানে এ অবস্থা আর বাড়ির অবস্থা কি বলবো বাড়িতেতো নেটওয়ার্ক পাইনা বললেই চলে, কথা বললে একবার বাইরে একবার ভিতরে, একবার বাইরে একবার ভিতরে যাওয়া – আসা করে কথা বলতে হয়, তাছাড়া ঘরের ভিতরেতো নেটওয়ার্ক বার লাল দেখায়। আর ইন্টারনেট ব্যবহার করা সম্ভবই হয় না। আমি জিপি অফিসে নেটওয়ার্ক বিষয়ে কথা বলেছি তারা বলেছে, আপনার বিষয়টি কম্পিলিন আকারে রেখে দিলাম, আপনার কম্পিলিন নং Ticket ID: C2024042400101 পরবর্তীতে আপনাকে জানানো হবে।

অন্যের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য মোবাইলের গুরুত্ব নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। অথচ এমনটা হয় যে, আপনি কাউকে ফোন করবেন কিন্তু আপনার মোবাইল নেটওয়ার্ক পাচ্ছে না কিংবা আপনি ভালোমতো যোগাযোগ করতে পারছেন না কারণ নেটওয়ার্ক সমস্যায় ফোনের লাইন বারবার কেটে যাচ্ছে।

আগের তুলনায় মোবাইল এখন আমাদের আরও বেশি সংস্পর্শে থাকে। মোবাইল এবং নেটওয়ার্ক নিয়ে আপনি যতটা খুশি থাকেন, সবসময় কিন্তু তা ততটা ভালো কাজ নাও করতে পারে।

আপনার মোবাইল রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করে একটি মোবাইল টাওয়ারের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে, যা একটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অন্য টাওয়ারে প্রেরণ করে এবং অন্য একটি ফোনও একইভাবে সংযুক্ত হয়।

জনসংখ্যার ঘনত্ব অবশ্যই একটা বড় ফ্যাক্টর কিন্তু তারপর কঠিন ভূখন্ডের ওপর টাওয়ার স্থাপন অতিরিক্ত খরচের ব্যাপার থাকে এবং নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের একটি এলাকায় একটি কুদর্শন মোবাইল টাওয়ার স্থাপন প্রায়ই নিষিদ্ধ করা হয়।

স্বাভাবিক নিয়মানুযায়ী, আপনি অন্য মানুষ থেকে যতটা দূরত্বে অবস্থান করবেন, মোবাইল নেটওয়ার্ক সে ক্ষেত্রে দুর্বল হবে। পাহাড়-পর্বত, ভবন এমনকি গাছও অনেক সময় নেটওয়ার্ক সংকেতের বাধা হয়ে দাঁড়ায়।