ঢাকা ০৬:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রামেক হাসপাতালে ১০ জন অজ্ঞাত রোগীকে পরিবারে পুনঃএকত্রীকরণ

সোহরাব হোসেন সৌরভ, রাজশাহী
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:৩১:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ৩১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য চিকিৎসা কেন্দ্র। এখানে অন্যান্য রোগীর পাশাপাশি প্রায়শই অজ্ঞাত রোগীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এ সকল রোগীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ এর উদ্যোগে এই সংক্রান্ত একটি নীতিমালা ও একটি অস্থায়ী ওয়ার্ড স্থাপন করা হয়েছে। সেইসাথে অত্র ওয়ার্ডে রোগীদের সার্বক্ষণিক সেবা প্রদানের জন্য ৩ জন আয়া নিযুক্ত করা হয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যালয় ও পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাইয়ের মাধ্যমে ১০ জন অজ্ঞাত রোগীকে পরিবারে পুনঃএকত্রীকরণ করা হয়েছে। চলতি বছরের নভেম্বর মাসে পারুল ও ছকুর আলী নামে ২ জন অজ্ঞাত রোগীকে পরিবারের নিকট ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যালয়ের সমাজসেবা অফিসার ড. হামিদুল ইসলাম বলেন, অজ্ঞাত রোগী পারুল দীর্ঘদিন যাবৎ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অজ্ঞাত রোগীদের ওয়ার্ডে ভর্তিকৃত অবস্থায় ছিলেন। ফিঙ্গার প্রিন্ট সনাক্তকরণের মাধ্যমে তার ঠিকানা খুঁজে পাওয়ার পর গত ২৩ নভেম্বর যশোরে তার নিজ বাড়িতে ভাইয়ের নিকট তুলে দেওয়া হয়। হাসপাতালে অবস্থানকালে তার প্রয়োজনীয় ঔষধ, পথ্য, পোশাক প্রভৃতি সরবরাহ করা এবং পরিবারে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে রোগী কল্যাণ সমিতি তথা হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যালয়। সেবা শুশ্রুষা ও যশোরে তাকে পৌঁছে দেয়ার কাজটি সম্পন্ন করেছে আলেয়া খাতুন।

তিনি আরো বলেন, অজ্ঞাত রোগী ছকুর আলী দীর্ঘদিন যাবৎ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অজ্ঞাত রোগীদের ওয়ার্ডে ছিলেন। ফিঙ্গার প্রিন্ট যাচাইয়ের মাধ্যমে ঠিকানা সনাক্তকরণের পর অজ্ঞাত ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত আয়া আলেয়া খাতুন গত ২৮ নভেম্বর তাকে নিয়ে রংপুরে যান। শহর সমাজসেবা কার্যালয়, রংপুরে সমাজসেবা অফিসার আরিফুর রহমান এর সহযোগিতায় ছকুর আলীর ভাই ও অন্যান্য আত্মীয়ের নিকট তাকে তুলে দেওয়া হয়। হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে আর্থিক সহযোগিতা ও যোগাযোগ স্থাপনের কাজটি সম্পন্ন করা হয় বলে জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

রামেক হাসপাতালে ১০ জন অজ্ঞাত রোগীকে পরিবারে পুনঃএকত্রীকরণ

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১০:৩১:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য চিকিৎসা কেন্দ্র। এখানে অন্যান্য রোগীর পাশাপাশি প্রায়শই অজ্ঞাত রোগীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এ সকল রোগীর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহাম্মদ এর উদ্যোগে এই সংক্রান্ত একটি নীতিমালা ও একটি অস্থায়ী ওয়ার্ড স্থাপন করা হয়েছে। সেইসাথে অত্র ওয়ার্ডে রোগীদের সার্বক্ষণিক সেবা প্রদানের জন্য ৩ জন আয়া নিযুক্ত করা হয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যালয় ও পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাইয়ের মাধ্যমে ১০ জন অজ্ঞাত রোগীকে পরিবারে পুনঃএকত্রীকরণ করা হয়েছে। চলতি বছরের নভেম্বর মাসে পারুল ও ছকুর আলী নামে ২ জন অজ্ঞাত রোগীকে পরিবারের নিকট ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যালয়ের সমাজসেবা অফিসার ড. হামিদুল ইসলাম বলেন, অজ্ঞাত রোগী পারুল দীর্ঘদিন যাবৎ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অজ্ঞাত রোগীদের ওয়ার্ডে ভর্তিকৃত অবস্থায় ছিলেন। ফিঙ্গার প্রিন্ট সনাক্তকরণের মাধ্যমে তার ঠিকানা খুঁজে পাওয়ার পর গত ২৩ নভেম্বর যশোরে তার নিজ বাড়িতে ভাইয়ের নিকট তুলে দেওয়া হয়। হাসপাতালে অবস্থানকালে তার প্রয়োজনীয় ঔষধ, পথ্য, পোশাক প্রভৃতি সরবরাহ করা এবং পরিবারে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে রোগী কল্যাণ সমিতি তথা হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যালয়। সেবা শুশ্রুষা ও যশোরে তাকে পৌঁছে দেয়ার কাজটি সম্পন্ন করেছে আলেয়া খাতুন।

তিনি আরো বলেন, অজ্ঞাত রোগী ছকুর আলী দীর্ঘদিন যাবৎ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অজ্ঞাত রোগীদের ওয়ার্ডে ছিলেন। ফিঙ্গার প্রিন্ট যাচাইয়ের মাধ্যমে ঠিকানা সনাক্তকরণের পর অজ্ঞাত ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত আয়া আলেয়া খাতুন গত ২৮ নভেম্বর তাকে নিয়ে রংপুরে যান। শহর সমাজসেবা কার্যালয়, রংপুরে সমাজসেবা অফিসার আরিফুর রহমান এর সহযোগিতায় ছকুর আলীর ভাই ও অন্যান্য আত্মীয়ের নিকট তাকে তুলে দেওয়া হয়। হাসপাতাল সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে আর্থিক সহযোগিতা ও যোগাযোগ স্থাপনের কাজটি সম্পন্ন করা হয় বলে জানান তিনি।