মৃত্যুতে রেকর্ড গড়লো ডেঙ্গু
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:৫৬:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ২৩ বার পড়া হয়েছে
সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ১১ জন মারা গেছেন। যা চলতি বছরে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। গত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এক হাজার ৭৯ জন। রোববার (২৪ নভেম্বর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিঞ্জপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ১১ জন। এরমধ্যে ৯ জনই ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা। পাঁচজন উত্তর সিটির, চারজন দক্ষিণ সিটির। অন্য দু’জন খুলনা বিভাগের।
একই সময়ে হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৭৯ জন। এরমধ্যে বরিশাল বিভাগে ৯৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৩৩ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ২৭২ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৯৪ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১২১ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৫ জন, খুলনা বিভাগে ১৪৩ জন, রংপুর বিভাগে ১৭ জন এবং সিলেট বিভাগে ৯ জন।
এদিকে, ২৪ ঘন্টায় সারা দেশে ১ হাজার ২৩০ জন ডেঙ্গু রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছে। চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছে ৮২ হাজার ৬১২ জন।
এদিকে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ৮৬ হাজার ৭৯১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে ৪৫৯ জনের।
প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।
এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয় ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলো। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেনতনা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।