ঢাকা ০৬:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কারাগারে হাজতির আত্মহত্যা,কারারক্ষীর বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০২:৫৪:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪ ৫ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে জুয়েল (৩৬) নামে বিচারাধীন মামলার এক কয়েদি গ্রিলে গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন । বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১১টা ১০ মিনিটে তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় এক কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি দুজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।
মো. জুয়েল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা গ্রামের আবু চান মিয়ার ছেলে। তিনি ২০২০ সালে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে ছিলেন।

এ ব্যাপারে জেলা কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেল সুপার মো. ইকরামুল হক নাহিদ জানান, স্ত্রী হত্যা মামলায় বিচারাধীন ছিলেন জুয়েল। তিনি মাদকাসক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে। তাকে কারাগারে সেলে রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি সেলের গ্রিলে গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ অবস্থায় কারারক্ষীরা দেখে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রিপন বড়ুয়া নামের এক কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়াও প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রশিদ ও সহকারী কারারক্ষী উত্তম কান্তি বড়ুয়ার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। মরদেহের ময়নাতদন্তের শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কারাগারে হাজতির আত্মহত্যা,কারারক্ষীর বিরুদ্ধে মামলা

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০২:৫৪:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে জুয়েল (৩৬) নামে বিচারাধীন মামলার এক কয়েদি গ্রিলে গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন । বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১১টা ১০ মিনিটে তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় এক কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি দুজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।
মো. জুয়েল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা গ্রামের আবু চান মিয়ার ছেলে। তিনি ২০২০ সালে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে ছিলেন।

এ ব্যাপারে জেলা কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেল সুপার মো. ইকরামুল হক নাহিদ জানান, স্ত্রী হত্যা মামলায় বিচারাধীন ছিলেন জুয়েল। তিনি মাদকাসক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে। তাকে কারাগারে সেলে রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি সেলের গ্রিলে গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ অবস্থায় কারারক্ষীরা দেখে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রিপন বড়ুয়া নামের এক কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়াও প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রশিদ ও সহকারী কারারক্ষী উত্তম কান্তি বড়ুয়ার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। মরদেহের ময়নাতদন্তের শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।