হাতের দিকে তাকিয়েই সময় বলে দেন ইয়াছিন
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৭:৪৭:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪ ৮৩ বার পড়া হয়েছে
অবিশ্বাস্য নয়, সত্য। ঘড়ি ছাড়াই হাতের দিকে তাকিয়ে সময় বলে দিতে পারেন ৭৫ বছর বয়সী ইয়াছিন আলী। সকাল-দুপুর, বিকেল-সন্ধ্যা কিংবা রাতে যেকোন সময় তার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলে দেন, এখন সময় কত। তার বলা সময় হুবহু ঘড়ির কাঁটার সাথে মিলে যায়।
ইয়াছিন আলীর বাড়ি নওগাঁর রানীনগর উপজেলার রাতোয়াল গ্রামে। এই ইয়াছিন আলী এখন ‘ঘড়ি ইয়াছিন’ হিসেবে পরিচিত। বয়স ৭৫ হলেও সাইকেল চালিয়ে কাঁচা সবজির ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। ঘড়ি ছাড়া সময় বলতে পারায় তার নামে একটি গ্রামের নামও হয়েছে। সেই গ্রামের নাম ইয়াছিনপুর গ্রাম।
ইয়াছিন আলী পড়ালেখা না জানলেও কোনোরকম প্রযুক্তিগত সহায়তা ছাড়াই হুবহু সময় বলে দেন। রাস্তাঘাটে কেউ তাকে কয়টা বাজে জিজ্ঞাসা করলে ঘড়ি ছাড়াই হাতের দিকে তাকিয়ে হুবহু সময় বলে দেয়া তার বিরল এমন প্রতিভা দেখে স্থানীয়রা রীতিমতো বিষ্মিত। তাকে নিয়ে গর্বও করেন স্থানীয়রা।
মেহেদী চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি বলেন, রাস্তাঘাটে দেখা হলে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সময় বলে দেন। পরে ঘড়ির সাথে মিলালে তার বলার সময় মিলে যায়। তার এমন প্রতিভা আমরা ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি। তার এমন সময় বলে দেওয়া একটি অস্বাভাবিক কাজ। যা কখনোই কল্পনা করা যায় না।
স্কুল ছাত্রী সুবর্ণা বলেন, স্কুলে যাওয়া বা আসার পথে দাদুর সাথে (ইয়াছিন আলী) দেখা হলে সময় জানার জন্য দাদুকে জিজ্ঞাসা করা হয়, দাদু কয়টা বাজে? দাদু ঘড়ি বা মোবাইল কোন কিছু না দেখেই সঠিক সময় বলে দেন। তার মতো একজন লেখাপড়া না জানা মানুষ এরকম যুগে ঘড়ি ছাড়াই সময় বলে দেন এটা কল্পনাও করা যায় না।
এসব বিষয়ে ইয়াছিন আলী জানান, পাকিস্তান আমল থেকেই তিনি ঘড়ি ব্যবহার করতেন। সেসময় তিনি হঠাৎ করে একটি রেলস্টেশনে এক সুইপারের হাতে ঘড়ি দেখে অবাক হয়ে য়ান। এরপর ক্ষোভে নিয়ত করেন ঘরে আর ব্যবহার করবেন না।
তিনি আরও জানান, তখন থেকে চলার পথে বা যে কোন সময় চোখ বন্ধ করে করে ঘড়ি না দেখে সময় আয়ত্ত করার চেষ্টা শুরু করেন। এরই একপর্যায়ে আস্তে আস্তে তিনি ঘড়ি না দেখে হাতের দিকে তাকিয়ে সময় বলে দেওয়া শুরু করলেন। প্রচার শুরু হয়ে গেল ইয়াছিন ঘড়ি না দেখে সময় বলতে পারেন। এইভাবেই ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে ঘড়ি না দেখে সময় বলে দিয়ে আসছেন বলে দাবি করেন ৭৫ বছর বয়সী ইয়াছিন আলী।