ঢাকা ০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বামীকে আটকে রেখে নারীকে ধর্ষণ/ জাবির ছাত্রলীগ নেতাসহ ৫ জনকে স্থায়ী বহিষ্কার

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:০৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪ ৯৪ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সেই নেতা মোস্তাফিজুর রহমানসহ ৭ জনের শাস্তি স্থায়ী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে পাঁচজনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অপর দু’জনের একাডেমিক সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় রোববার (১০ মার্চ) রাতে এ সিদ্ধান্ত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান বলেন, সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও তার সাহায্যকারী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মুরাদ হোসেনের সনদ স্থায়ীভাবে বাতিল করা হয়েছে।

বাকী অভিযুক্তদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিরতরে বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত করা হয়েছে।

স্থায়ী বহিষ্কৃতরা হলো- আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোস্তফা মনোয়ার সিদ্দিকী সাগর, ৪৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহ পরান, ৪৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. হাসানুজ্জামান ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান সাগর। তবে স্থায়ী বহিষ্কৃতদের মধ্যে আরেকজন শিক্ষার্থীর নাম জানা যায়নি। আর ঘটনার পর মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও মো. মুরাদ হোসেনেরও স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি এক সিন্ডিকেট সভায় দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির সুপারিশ প্রদানের জন্য চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটিকে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছিল।

উল্রেখ্য, চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে মীর মশাররফ হোসেন হলের ‘এ’ ব্লকের ৩১৭ নম্বর কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে জঙ্গলে নিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। পরে ভুক্তভোগী নারীর স্বামী আশুলিয়া থানায় ছয়জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

স্বামীকে আটকে রেখে নারীকে ধর্ষণ/ জাবির ছাত্রলীগ নেতাসহ ৫ জনকে স্থায়ী বহিষ্কার

সংবাদ প্রকাশের সময় : ১২:০৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ মার্চ ২০২৪

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সেই নেতা মোস্তাফিজুর রহমানসহ ৭ জনের শাস্তি স্থায়ী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে পাঁচজনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অপর দু’জনের একাডেমিক সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় রোববার (১০ মার্চ) রাতে এ সিদ্ধান্ত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান বলেন, সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও তার সাহায্যকারী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মুরাদ হোসেনের সনদ স্থায়ীভাবে বাতিল করা হয়েছে।

বাকী অভিযুক্তদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিরতরে বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত করা হয়েছে।

স্থায়ী বহিষ্কৃতরা হলো- আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোস্তফা মনোয়ার সিদ্দিকী সাগর, ৪৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহ পরান, ৪৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. হাসানুজ্জামান ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান সাগর। তবে স্থায়ী বহিষ্কৃতদের মধ্যে আরেকজন শিক্ষার্থীর নাম জানা যায়নি। আর ঘটনার পর মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও মো. মুরাদ হোসেনেরও স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি এক সিন্ডিকেট সভায় দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির সুপারিশ প্রদানের জন্য চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটিকে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছিল।

উল্রেখ্য, চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে মীর মশাররফ হোসেন হলের ‘এ’ ব্লকের ৩১৭ নম্বর কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে জঙ্গলে নিয়ে স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। পরে ভুক্তভোগী নারীর স্বামী আশুলিয়া থানায় ছয়জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।