স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক কমিটির ১৫ জন শিক্ষার্থী সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। শনিবার (১৭ আগস্ট) যৌথ বিবৃতিতে তারা সরে দাঁড়ানোর কথা জানান। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সড়ে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন সমন্বয়ক মো. নূর নবী।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের লড়াকু বীর ইকরামুল হক সাজিদ দীর্ঘ যন্ত্রণাদায়ক অপেক্ষার পর ১৪ আগস্ট শহীদ হন। আমরা তার আত্মত্যাগকে স্মরণ করছি। একই সাথে স্মরণ করছি আবু সাঈদ, মীর মুগ্ধ, তানভিন, ফাহাদসহ সব শহীদকে। যাদের রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি কাঙ্ক্ষিত বিজয়। আমরা সবার উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারা এ আত্মত্যাগকে অঙ্কুরে বিনষ্ট হতে দেবেন না।

যৌথ বিবৃতি দেয়া সমন্বয়করা হলো-সিয়াম হোসাইন, অরুণাভ আশরাফ, ইভান তাহসীব, কিশোর সাম্য, কাজী আহাদ, আপেল মৌলানা, মুজাহিদ বাপ্পি, শওরীন হাসান ইরা, নাজমুল হাসান, খাদিজা তুল কুবরা, ফয়সাল মুরাদ, মুগ্ধ আনন,কামরুল হাসান রিয়াজ, যুবায়ের আহমেদ শাফিন।

অন্যদিকে, ফেসবুক স্ট্যাটাসে নূর নবী লেখেন, ‘আমি মো. নুর নবী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সমন্বয়ক হিসেবে শুরু থেকেই সব আন্দোলনের সাথে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করেছি। এক্ষেত্রে আমাদের প্রাথমিক চাওয়াগুলো পূরণ হয়েছে বলে আমি মনে করি। আমাদের বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে শহীদরা যে রক্ত দিয়েছে, তা এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। শহীদদের আত্মত্যাগে অর্জিত এই স্বাধীন বাংলাদেশে যেকোনো বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমি একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করবো, ইনশাআল্লাহ। আজ থেকে আমি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলাম।