সরকারি দামে মিলছে না নিত্যপণ্য
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৮:১৬:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪ ৮৩ বার পড়া হয়েছে
সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে ২৯টি পণ্যের দাম বেঁধে দিলেও তা কেউই মানছে না। বেঁধে দেয়া দামে বাজার করা স্বপ্ন মাত্র এমনটাই বলছেন ক্রেতারা । খুচরা পর্যায়ে যে দাম বেঁধে দেয়া হয়েছে, সেই দামে পাইকারিতে পণ্য মিলবে না বলে জানিয়েছে বিক্রেতারা।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ঝুলছে মুল্য তালিকা, যেখানে নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দেয়া হয়েছে। ডাল, ছোলা, মসুর, মাছ, মাংস, সবজি, পেয়াজ রসুন্সহ মোট ২৯টি পণ্য রয়েছে তালিকায়। উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা তিন কলামে তিন স্তরে দাম।
রোববার (১৭ মার্চ) রাজজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা যায়, সরকার নির্ধারিত ৯২ টাকা ৬১ পয়সা কেজির খেসারি ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায। এছাড়া বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিম, বেগুন, কাঁচা মরিচ, টমেটো ও কুমড়া সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের একটি মুদি দোকানদার বলেন, আমরা যে দামে পাইকারি বিক্রেতাদের কাছ থেকে কিনি, সরকার যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে তার চেয়েও অনেক কম। পাইকারি দাম কমাতে পারলে সরকারের বেঁধে দেয়া দামে বিক্রি করতে পারব।
মাংসের বাজারেও একই অবস্থা, এই দামের নিচে বিক্রি সম্ভব নয় সাফ কথা। মুরগি বিক্রেতারা বলেন, সরকারি তালিকা মতো খুচরা দামে খামার থেকেও মুরগি কেনা অসম্ভব। সরকার নির্ধারিত খাশির মাংসের দাম প্রতি কেজি ১০০৩ টাকা ৫৬ পয়সা নির্ধারণ করে দিলেও তা বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৫০ টাকায়।
সরকার নির্ধারিত সোনালী মুরগির দাম ২৬২ টাকা হলেও বিক্রি হয় ৩২০-৩৩০ টাকায়। আর, মসুর, মুগ ও মাসকলাইসহ বিভিন্ন রকমের ডাল সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ৫ টাকা থেকে ৩৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি করতে দেখা যায়।
সরকারের বেঁধে দেয়া দামে ২৯টি পণ্যের মধ্যে শুধু বিক্রি হচ্ছে ডিম ও কাতল মাছ। এছাড়া প্রতিটি ডিম ১০-১০ টাকা ৫০ পয়সা বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি কাতল মাছ বিবক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকায় । তবে আশা দেখাচ্ছে কাচামরিচ। কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন সীমিত ও নিম্ন আয়ের পরিবারের মানুষ। অনেক ভোক্তাই বলছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ঠিক করে আগেও কখনো কাজ হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না।