ঢাকা ০১:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংকট দেখা দিতে পারে, দৈনিক ঘাটতি ২০ লাখ ডিম

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:১২:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১০৮ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাজারে সংকট দেখা দিতে পারে ডিম-মুরগির। চলমান তাপপ্রবাহের ফলে হিটস্ট্রোকে সারাদেশে প্রতিদিন এক লাখ মুরগি মারা যাচ্ছে। এর আনুমানিক বাজার মূল্য ২০ কোটি টাকা। এমনটাই দাবি করেছে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সংগঠনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন দাবি করা হয়।

বিঞ্জপ্তিতে বলা হয়, চলমান তাপপ্রবাহের ফলে ডিম ও মুরগি উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে ৪ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত । এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী দিনে ব্রয়লার মুরগি ও ডিম সরবরাহে সংকট দেখা দিতে পারে। ঈদের পর গত ১০ থেকে ১২ দিনে সারাদেশে ১০ লাখের বেশি ব্রয়লার, লেয়ার ও সোনালী মুরগি মারা গেছে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ ছিল ব্রয়লার মুরগি এবং ১০-১৫ শতাংশ ছিল লেয়ার মুরগি। এছাড়া সোনালীসহ অন্যান্য মুরগির ৫ শতাংশ মারা গেছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২০০ কোটি টাকা। এই অবস্থা আরও কয়েকদিন চলতে থাকলে খামারগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। ডিম ও মুরগির উৎপাদন কমে যাবে।

প্রান্তিক খামারিদের কর্পোরেট কোম্পানির জিম্বি দশা থেকে মুক্তি করে ডিম মুরগির উৎপাদন ঠিক রাখতে মুরগির বাচ্চা ও পোল্ট্রি ফিড বিদেশ থেকে আমদানির অনুমতি দিতে দিলে প্রান্তিক খামারিরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে এমনটাই দাবি সংগঠনটির।

তথ্য অনুযায়ী, মুরগির মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি নরসিংদীতে। এই অঞ্চলে ১২ দিনে প্রায় তিন লাখ, ময়মনসিংহ গাজিপুর অঞ্চলে ২ লাখ, চট্টগ্রাম অঞ্চলে এক লাখ ৭৫ হাজার, সিলেট অঞ্চলে ৫০ হাজার যশোর এক লাখ ৫০ হাজার, পাবনা ৫০ হাজার, চুয়াডাঙ্গা এক লাখ , মুরগি মারা গেছে।

প্রতিদিন ব্রয়লার মুরগির চাহিদা ৩ হাজার ৫০০ টন, সোনালী লেয়ার মুরগির চাহিদা ১২০০ টন। আর স্বাভাবিক সময়ে ব্রয়লার সোনালী লেয়ার মুরগির মাংস উৎপাদন হতো ৫ হাজার ২০০ টন। চাহিদার চেয়ে উৎপাদন বেশি ছিল, তবে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে অনেক খামার বন্ধ হয়ে যাবে তাই মাংসের মুরগি উৎপাদন নেমে আসতে পারে ৪০০০ টনে ।

সংগঠনটির হিসাব মতে, দৈনিক ডিমের চাহিদা ৪ কোটি পিচ। যেখানে স্বাভাবিক সময়ে সাড়ে চার কোটি পিচ ডিম উৎপাদিত হয়। যা চাহিদার চেয়ে বেশি। তবে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে এখন দৈনিক মাত্র ৩ কোটি ৮০ লাখ থেকে ৯০ লাখ পিচ ডিম উৎপাদন হচ্ছে। দৈনিক ২০ লাখ ডিমের ঘাটতি রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সংকট দেখা দিতে পারে, দৈনিক ঘাটতি ২০ লাখ ডিম

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০১:১২:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

বাজারে সংকট দেখা দিতে পারে ডিম-মুরগির। চলমান তাপপ্রবাহের ফলে হিটস্ট্রোকে সারাদেশে প্রতিদিন এক লাখ মুরগি মারা যাচ্ছে। এর আনুমানিক বাজার মূল্য ২০ কোটি টাকা। এমনটাই দাবি করেছে বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সংগঠনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন দাবি করা হয়।

বিঞ্জপ্তিতে বলা হয়, চলমান তাপপ্রবাহের ফলে ডিম ও মুরগি উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে ৪ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত । এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী দিনে ব্রয়লার মুরগি ও ডিম সরবরাহে সংকট দেখা দিতে পারে। ঈদের পর গত ১০ থেকে ১২ দিনে সারাদেশে ১০ লাখের বেশি ব্রয়লার, লেয়ার ও সোনালী মুরগি মারা গেছে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ ছিল ব্রয়লার মুরগি এবং ১০-১৫ শতাংশ ছিল লেয়ার মুরগি। এছাড়া সোনালীসহ অন্যান্য মুরগির ৫ শতাংশ মারা গেছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২০০ কোটি টাকা। এই অবস্থা আরও কয়েকদিন চলতে থাকলে খামারগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। ডিম ও মুরগির উৎপাদন কমে যাবে।

প্রান্তিক খামারিদের কর্পোরেট কোম্পানির জিম্বি দশা থেকে মুক্তি করে ডিম মুরগির উৎপাদন ঠিক রাখতে মুরগির বাচ্চা ও পোল্ট্রি ফিড বিদেশ থেকে আমদানির অনুমতি দিতে দিলে প্রান্তিক খামারিরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে এমনটাই দাবি সংগঠনটির।

তথ্য অনুযায়ী, মুরগির মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি নরসিংদীতে। এই অঞ্চলে ১২ দিনে প্রায় তিন লাখ, ময়মনসিংহ গাজিপুর অঞ্চলে ২ লাখ, চট্টগ্রাম অঞ্চলে এক লাখ ৭৫ হাজার, সিলেট অঞ্চলে ৫০ হাজার যশোর এক লাখ ৫০ হাজার, পাবনা ৫০ হাজার, চুয়াডাঙ্গা এক লাখ , মুরগি মারা গেছে।

প্রতিদিন ব্রয়লার মুরগির চাহিদা ৩ হাজার ৫০০ টন, সোনালী লেয়ার মুরগির চাহিদা ১২০০ টন। আর স্বাভাবিক সময়ে ব্রয়লার সোনালী লেয়ার মুরগির মাংস উৎপাদন হতো ৫ হাজার ২০০ টন। চাহিদার চেয়ে উৎপাদন বেশি ছিল, তবে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে অনেক খামার বন্ধ হয়ে যাবে তাই মাংসের মুরগি উৎপাদন নেমে আসতে পারে ৪০০০ টনে ।

সংগঠনটির হিসাব মতে, দৈনিক ডিমের চাহিদা ৪ কোটি পিচ। যেখানে স্বাভাবিক সময়ে সাড়ে চার কোটি পিচ ডিম উৎপাদিত হয়। যা চাহিদার চেয়ে বেশি। তবে তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে এখন দৈনিক মাত্র ৩ কোটি ৮০ লাখ থেকে ৯০ লাখ পিচ ডিম উৎপাদন হচ্ছে। দৈনিক ২০ লাখ ডিমের ঘাটতি রয়েছে।