শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় জমে উঠেছে ঈদ বাজার
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:৩৭:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৬৪ বার পড়া হয়েছে
শেষ মহূর্তে জমে উঠেছে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার গ্রাম গুলোতে ঈদের বাজার। গ্রাম গুলোর দোকানীরা যে যার মত পন্যের পসরা সাজিয়ে দোকানের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও মনোরম লাইটিং দিয়ে দোকানের সাজসজ্জা বৃদ্ধি করে রেখেছেন। সেই সাথে ঈদের কোনাকাটায় কমতি নেই।
গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষেরা ঈদের আনানন্দ উপভোগে পরিবারের সদস্যদের জন্য যে যার সাধ্যমত করছে কেনাকাটা। আর এই কেনাকাটার জন্য দোকানগুলোতে ভীড় লক্ষ করা যাচ্ছে। সরেজমিনে উপজেলার পিরিজপুর, বিদিরপুর, প্রেমতলী, রাজাবাড়ীহাট, কমুরপুর, গোপালপুর, রেলগেটসহ বিভিন্ন গ্রাম গুলো ঘুরে দেখা যায় ঈদের কেনাকাটার ধুম পড়েছে। এসব কেনাকাটায় গ্রামের দোকান গুলোতে ছেলেদের চাইতে মেয়েদেরই বেশী ভিড় করতে ধেখা যাচ্ছে। তারা পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে পছন্দমাফিক পোশাকা আশাক, কসমেটিক সামগ্রী, জুতা স্যান্ডেল ক্রয় করছেন। তবে গ্রামাঞ্চলের বাজার গুলোতে দিনের চাইতে ইফতারীর পর রাতে বেশী ভিড় দেখা যাচ্ছে।
পিরিজপুর বাজারের কসমেটিক সামগ্রী ব্যাবসায়ি জানায়, আগে তেমন বেচা বিাক্র ছিলনা। গত ২ /৩ দিন থেকে বেচা বিক্রি জমে উঠেছে।
একই বাজারের জুতার দোকানী জানান, এবার ঈদকে সামনে রেখে নতুন নতুন জুতা সেন্ডেল এনেছেন তারা। তার দোকানে লেডিস সেন্ডেলের বেশি মডেল রয়েছে। তবে এবার দাম কিছুটা বেশি বলে জানান দোকানীরা।
বিদিরপুর বাজারের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী জানান, ৩/৪ দিন আগেও ঈদের বেচা বিক্রি তেমন ছিলনা। তবে ২/৩ দিন থেকে বেচা বিক্রি ভালই হচ্ছে। যা আশা করে ছিলাম তার চাইতে ভালই বেচা বিক্রি হচ্ছে। তার দোকান থেকে শিশুদের পোশাক ও মেয়েদের থ্রি পিস, সেলোয়ার কামিজ বেশি বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে ঈদকে সামনে রেখে গ্রামের বাজার গুলোতে স্বল্পআয়ের মানুষেরা ঈদের কেনাকাটা করছেন। শহরে বা উপজেলা সদরের মার্কেট গুলোতে স্বল্প আয়ের মানুষেরা অর্থের অভাবে বাজার করতে যাচ্ছে না। কারন হিসেবে তারা বলছে ওই সব মার্কেট গুলোতে পোশাক, জুতা স্যান্ডেলের দাম বেশী। যা তাদের সাধ্যের বাইরে। তাই তারা গ্রামের বাজার গুলোতে সাধ্যের মধ্যে বাজার করছে।
পিরিজপুর গ্রামের আব্দুল এসেছেন এই মার্কেটে কেনাকাটা করতে। কথা হয় তার সাথে। তিনি বলেন, নাতির জন্য পানজাবি, স্যান্ডেল ও তার স্ত্রীর জন্য একটি শাড়ি কিনতে এসেছেন। তবে গতবারের চেয়ে এবার দাম কিছুটা বেশি বলে জানালেন আব্দুল। তবে ঈদুল ফিতরের দিন ঘনিয়ে আসায় প্রতিটি দোকানে বিক্রয় বৃদ্ধি পেয়েছে। শেষ সময়ে এসে ব্যাপক হারে ক্রেতার আগমন ঘটেছে।