ব্রাহ্মণবাড়িয়া/ জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা
- সংবাদ প্রকাশের সময় : ১১:৫৫:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ মার্চ ২০২৪ ২৭৮ বার পড়া হয়েছে
আগামী ৯ মার্চ শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন। উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩ জন প্রার্থী।
এরা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার দুইবারের সাবেক মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন (চশমা প্রতিক), জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শফিকুল আলম এমএসসি (আনারস প্রতিক) এবং জেলা পরিষদের সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করা মোঃ বিল্লাল মিয়া-(ঘোড়া প্রতিক)। প্রার্থীরা এখন প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। যাচ্ছেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি জেলার ৬টি সংসদীয় আসন, ৯টি উপজেলা, ৫টি পৌর সভা ও ১০০টি ইউনিয়ন নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ গঠিত। চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে মোট ভোটার ১৩৮৪ জন।
এর মধ্যে রয়েছে নাসিরনগর উপজেলায় ১৭১ জন, সরাইল উপজেলায় ১১৯ জন, আশুগঞ্জ উপজেলায় ১০৪ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ১৬১ জন, বিজয়নগর উপজেলায় ১৩০ জন, কসবা উপজেলায় ১৪৬ জন, আখাউড়া উপজেলায় ৮১ জন, নবীনগর উপজেলায় ২৮৮ ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ১৮৪জন ভোটার।
প্রতিক বরাদ্দের পর থেকেই প্রার্থীরা জোরোশোরে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন। শহরে ও গ্রামের বিভিন্ন সড়ক ও বাজারে শোভা পাচ্ছে প্রার্থীদের পোষ্টার।
জেলা পরিষদের নির্বাচনে দলীয়ভাবে মনোনয়ন দেয়া না হলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগ থেকে মোঃ হেলাল উদ্দিনকে দলের একক প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে সমর্থন দেয়া হয়েছে।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী মোঃ হেলাল উদ্দিন আওয়ামীলীগের একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতা। তিনি ছাত্রলীগের মাধ্যমেই রাজনীতিতে হাতে খড়ি মোঃ হেলাল উদ্দিনের। তিনি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভায় দুই বার মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। মোঃ হেলাল উদ্দিন চশমা প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শফিকুল আলম এমএসসি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি। তিনি জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। ৫ বছর চেয়ারম্যান থাকাকালে তিনি জেলার ৯টি উপজেলাতেই উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করেছেন। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শফিকুল আলম এমএসসি জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকারের কাছে হেরে যান। উপ-নির্বাচনে শফিকুল আলম এমএসসি আনারস প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ মোঃ বিল্লাল মিয়ার রাজনৈতিক কোন পদ-পদবী নেই। পেশা ব্যবসায়ী বিল্লাল মিয়া গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে আশুগঞ্জ উপজেলা থেকে সদস্য জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। আগামী ৯ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে বিল্লাল মিয়া সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করে ঘোড়া প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, দল আমাকে সমর্থন দিয়েছে। আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদি।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. শফিকুল আলম এমএসসি বলেন, চেয়ারম্যান থাকাকালে ৫ বছর জেলার সকল উপজেলাতেই কাজ করেছি। তিনি আগামী নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদের নির্বাচনে জেলা আওয়ামীলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছিলেন। কিন্তু আল-মামুন সরকার দায়িত্বভার গ্রহনের পর এক বছর পূর্ন হওয়ার আগেই ২০২৩ সালের ২ অক্টোবর তিনি মৃত্যুবরণ করলে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৯ মার্চ শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে।