ঢাকা ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাইকারদের ভিড়ে স্থানীয় বাজার তরমুজশূণ্য

উত্তম কুমার হাওলাদার, পটুয়াখালী
  • সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:৫২:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪ ১৮১ বার পড়া হয়েছে
বাংলা টাইমস অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিস্তীর্ণ ক্ষেতজুড়ে কাজ করছেন চাষী ও শ্রমিক। কেউ তরমুজ কাটছেন, কেউ স্তুপ করছেন। কেউ আবার বিক্রির উদ্দেশে ট্রলি কিংবা ট্রাকে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কেউ কেউ আবার তরমুজ ক্ষেত কেনার জন্য দর হাকাচ্ছেন। মোটকথা পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মাঠজুড়ে কৃষক ও পাইকারদের সরব। চলমান মাহে রমজানে মিষ্টি স্বাদের রসালো তরমুজের চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ। তাই পাইকারদের ভিড়ে একপ্রকার স্থানীয় বাজারগুলো তরমুজশূণ্য।

চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় ১৩শ ২৩ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে ধানখালী, বালীয়াতলী ও টিয়াখালী ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি। এবছর তরমুজ চাষীরা ভালো দাম পাওয়ার পাশাপাশি লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে বলে উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ক্ষেতের পাশেই পাকা তরমুজ কেটে স্তুপ করে রেখেছেন চাষীরা। কিছুক্ষণ পরপর একটি করে ট্রলি আসছে। ক্ষেত চুক্তিতে ক্রয় করা তরমুজ ট্রলি কিংবা ট্রাক বেঝাই করে নিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। রসালো এই মৌসুমি ফল কিনতে আগত পাইকাররা বিভিন্ন কৃষকের ক্ষেতে হন্যে হয়ে ঘুরছেন। তবে তরমুজের ভালো দাম পাওয়ায় চাষীদের চোখে মুখে আনন্দের ছাপ লেগে রেয়েছে।

টিয়াখালী গ্রামের তরমুজ চাষি রুহুল গাজী জানান, তার তিনটি ক্ষেতে মোট ৪১ একর জমিতে বিট ফ্যামিলি এবং ড্রাগন প্রজাতির তরমুজ চাষ করেছেন। এতে ৪৬ লাখ টাকা খরচ করেছেন। এরই মধ্যে তিনটি ক্ষেত বিক্রি করেছেন ৭১ লাখ টাকায়। ধানখালী ইউনিয়নের দেবপুর গ্রামের মিঠু মৃধার সঙ্গে যৌথভাবে ১৮ একর জমিতে করেছেন তরমুজ চাষ। ফলন ভালো হওয়ায় হাসি ফুটেছে এই কৃষকের মুখে।

কৃষক শাহআলম বলেন, এ বছর তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। তার ক্ষেত চুক্তিতেই ৫৪ লাখ টাকায় তরমুজ বিক্রি করেন।

পাইকার আবদুল জব্বার জানান, আমরা এখানের দুই থেকে তিনটা ক্ষেত কিনেছি। বাজারে আগাম তরমুজের চাহিদা বেশি। তাই ভালো দাম পাওয়ার আশায় তিনি ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আরাফাত হোসেন জানান, কৃষকরা যাতে ন্যায্য মূল্য পায় এবং ভোক্তারা যাতে সহনীয় পর্যায়ে তরমুজ কিনতে পারেন এজন্য ই্উএনওর নেতৃত্বে কয়েকবার ভাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

পাইকারদের ভিড়ে স্থানীয় বাজার তরমুজশূণ্য

সংবাদ প্রকাশের সময় : ০৪:৫২:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪

বিস্তীর্ণ ক্ষেতজুড়ে কাজ করছেন চাষী ও শ্রমিক। কেউ তরমুজ কাটছেন, কেউ স্তুপ করছেন। কেউ আবার বিক্রির উদ্দেশে ট্রলি কিংবা ট্রাকে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কেউ কেউ আবার তরমুজ ক্ষেত কেনার জন্য দর হাকাচ্ছেন। মোটকথা পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মাঠজুড়ে কৃষক ও পাইকারদের সরব। চলমান মাহে রমজানে মিষ্টি স্বাদের রসালো তরমুজের চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ। তাই পাইকারদের ভিড়ে একপ্রকার স্থানীয় বাজারগুলো তরমুজশূণ্য।

চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় ১৩শ ২৩ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে ধানখালী, বালীয়াতলী ও টিয়াখালী ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি। এবছর তরমুজ চাষীরা ভালো দাম পাওয়ার পাশাপাশি লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে বলে উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ক্ষেতের পাশেই পাকা তরমুজ কেটে স্তুপ করে রেখেছেন চাষীরা। কিছুক্ষণ পরপর একটি করে ট্রলি আসছে। ক্ষেত চুক্তিতে ক্রয় করা তরমুজ ট্রলি কিংবা ট্রাক বেঝাই করে নিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। রসালো এই মৌসুমি ফল কিনতে আগত পাইকাররা বিভিন্ন কৃষকের ক্ষেতে হন্যে হয়ে ঘুরছেন। তবে তরমুজের ভালো দাম পাওয়ায় চাষীদের চোখে মুখে আনন্দের ছাপ লেগে রেয়েছে।

টিয়াখালী গ্রামের তরমুজ চাষি রুহুল গাজী জানান, তার তিনটি ক্ষেতে মোট ৪১ একর জমিতে বিট ফ্যামিলি এবং ড্রাগন প্রজাতির তরমুজ চাষ করেছেন। এতে ৪৬ লাখ টাকা খরচ করেছেন। এরই মধ্যে তিনটি ক্ষেত বিক্রি করেছেন ৭১ লাখ টাকায়। ধানখালী ইউনিয়নের দেবপুর গ্রামের মিঠু মৃধার সঙ্গে যৌথভাবে ১৮ একর জমিতে করেছেন তরমুজ চাষ। ফলন ভালো হওয়ায় হাসি ফুটেছে এই কৃষকের মুখে।

কৃষক শাহআলম বলেন, এ বছর তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। তার ক্ষেত চুক্তিতেই ৫৪ লাখ টাকায় তরমুজ বিক্রি করেন।

পাইকার আবদুল জব্বার জানান, আমরা এখানের দুই থেকে তিনটা ক্ষেত কিনেছি। বাজারে আগাম তরমুজের চাহিদা বেশি। তাই ভালো দাম পাওয়ার আশায় তিনি ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আরাফাত হোসেন জানান, কৃষকরা যাতে ন্যায্য মূল্য পায় এবং ভোক্তারা যাতে সহনীয় পর্যায়ে তরমুজ কিনতে পারেন এজন্য ই্উএনওর নেতৃত্বে কয়েকবার ভাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়েছে।